আজকের পেপারের এককোনে ছােট্ট করে একটা নিখোঁজ সংবাদ এসেছে, এমন সংবাদ আসে প্রায় প্রতিদিন। নাম-মুনিয়া, বয়স ২১, পরনে ছিলাে হালকা গােলাপি রংয়ের শাড়ি, গায়ের রং ফর্সা, উচ্চতা ৫ত, নিচে একটা মােবাইল নম্বর। এই বয়সের মেয়ে কখনাে হারিয়ে যায় না, ইচ্ছে করেই হয়ত বাসা থেকে চলে গেছে অথবা কোন বয়ফ্রেন্ড এর সাথে পালিয়ে গেছে, ভাবে রাহাত । রাহাত এই এলাকায় নতুন এসেছে, ঢাকার একটা অভিজাত এলাকা, এখানকার থানার দায়িত্বে। সাধারণত এমন নিখোঁজ ব্যক্তিদের নামে থানায় একটা জিডি থাকে। কি মনে হতে সেকেন্ড অফিসার হাফিজকে ডেকে পাঠালাে রাহাত। “হাফিজ, মিসিং ডায়েরীটা নিয়ে আসাে তাে।” হাফিজ সালাম দিয়ে বের হয়ে যায়। একটু পর বড় একটা ফাইল নিয়ে আসে, এটাতে সব মিসিং কেসগুলাে আছে। আজ বাইরে সকাল থেকেই টানা বৃষ্টি হচ্ছে খুব, থানায় তাই ভীড় কম, কাজের প্রেসারও কম। রাহাত তাই এইসব ছােট্ট কেসগুলাে চোখ বুলিয়ে নিতে চায়। হ্যা, যা অনুমান করেছিল ঠিক তাই। মুনিয়া নামের মেয়েটির মিসিং ডায়েরি হয়েছে একমাস আগে। মেয়েটি যেদিন হারিয়ে যায় সেদিন সকালে বাসা থেকে ইউনিভার্সিটির উদ্দেশ্যে বের হয়ে যায়, এরপর থেকে আর কোন খোঁজ নেই। রাহাত একটু ভ্ৰ কেঁচকায়, হাফিজ বলে, “স্যার, এই কেসটা নিয়া আমরা ভালােমতাে খোজখবর করছি, হাসপাতাল, মর্গ, কোথাও মেয়েটার খোঁজ পাইনি। সব বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদ করছিলাম, মােবাইলের কল রেকর্ড পরীক্ষা করে দেখছি। মাইয়াটা একদম হাওয়াই মিলাই গেছে।”