লন্ডন হিথরাের পাঁচ নম্বর টার্মিনালে বসে আছেন মালা খুররম। তার গন্তব্য ঢাকা। কিন্তু যাবেন দিল্লি হয়ে। দিল্লিতে দু'তিন দিন থাকবেন। ব্রিটি এয়ারওয়েজের টিকিট দিল্লি পর্যন্ত। ডিরেক্ট ফ্লাইট। ঢাকা পর্যন্ত তারা ফ্লাইট অপারেট করে না। কয়েক বছর হলাে বন্ধ করে দিয়েছে। মাইকে ঘােষণা আসছে অনিবার্য কারণে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের দিল্লি ফ্লাইট এক ঘন্টা লেট। এখন সকাল আটটা। আরাে এক ঘন্টা বসে থাকতে হবে। এ রকম অভিজ্ঞতা তার এই প্রথঅনেকবার তিনি ব্রিটিশ এয়ারওয়েজে ফ্লাই করেছেন, কিন্তু এমনটি কখনও হয়নি। যান্ত্রিক ত্রুটি নয়, অনিবার্য কারণ। ব্যাগ থেকে একটা বই বের করলেন তিনি। বইটির নাম অদ্ভুত রকমের। বইটির লেখক বলছেন, এটি তার প্রথম উপন্যাস। এর আগে উল্লেখ করার মতাে কোন গদ্য তিনি লেখেননি। উপন্যাস নিয়ে ছােট একটি ভূমিকাও তিনি লিখেছেন। ভূমিকাটিতে লেখকের স্পষ্ট স্বীকারােক্তি মেলে। এটির উৎসর্গপত্রও চমৎকার। জীবনের প্রথম উপন্যাসখানিকে সামান্য নৈবেদ্য মনে করে তুলে দিয়েছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় ও নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের হাতে। তিনি মরণব্যাধি ক্যান্সারের চিকিৎসা নিচ্ছেন নিউইয়র্কে। তবুও তার কলম থেমে নেই। অফুরন্ত প্রাণশক্তিতে লিখে যাচ্ছেন একটার পর একটা বেস্ট সেলার। অদ্ভুত নামের বইটির নাম ননসেন্স ক্লাব। মাস দুয়েক আগে ঢাকা থেকে এক নারী অধিকার নেত্রী বইটি তাকে পাঠিয়েছেন। নানা কারণে বইটি পড়া হয়ে ওঠেনি। এবার যাত্রাপথে পড়ার জন্য আরাে দুটি বইয়ের সঙ্গে ননসেন্স ক্লাবও নিয়েছেন।