যাবি?’
আমি জানি রতন ভাইয়ের অনেক সাহস। আমাদের অত সাহস নেই। আমি ভয়ে ভয়ে বলি, ‘কোথায় যাব?’ রতন ভাই মুখ শক্ত করে বলে, ‘চল ভূতের সেলফি তুলে আসি।’ এই কথা শুনে আবিরের মুখ শুকিয়ে যায়। তুই যদি তখন আবিরকে দেখতি! হেসে মরে যাতি।
তখনকার আবিরের মুখটা মনে পড়ায় আমি হাসি চেপে রাখতে পারি না। হাসতে থাকি। নাবিলও আমার হাসির সাথে যোগ দেয়। হাসি সংক্রামক, মামা বলেছে। একজনকে হাসতে দেখলে তার আশেপাশে সবার মধ্যেই হাসিটা ছড়িয়ে পড়ে। নাবিল কিছু না বুঝেই হাসতে থাকে। হাসতে হাসতেই বলে, ‘কিরে হাসিস কেন?’ রতন ভাইয়ের কথা শুনে আবির ভয়ে কাঁপতে থাকে। ও বলে, ‘আমি যাব না। মা বকবে।’
তিনজনই পাশাপাশি হেঁটে যাচ্ছি। নাবিল মন দিয়ে শুনছে আমাদের কথা। আবির এতক্ষণ চুপ করে ছিল। এবার সে প্রতিবাদ করে, ‘তোর বুঝি খুব সাহস? তুইও তো প্রথমে ভয়ে যেতে চাসনি।’ নাবিল বলে, ‘আচ্ছা হয়েছে। তোদের যে কত সাহস সে আমি জানি। তারপর বল।’
রতন ভাই বলল, ‘ভয়ের কী আছে। তোরা আমার সাথে থাকবি। আর তিনজন একসাথে থাকলে ভূতেরা কিছু বলে না।’ রতন ভাইয়ের কথাতে আমরা একটু সাহস পাই। আবির কাঁদো কাঁদো গলায় বলে, ‘মা জানলে মেরে ফেলবে।’ ‘তোরা কাউকে বলবি না। আমিও বলব না। তাহলে কাকিমা জানবে কেমন করে? একবার ভেবে দেখ, ভ‚ত সেলফি তুলেছে! তাও আমার ফোনে! তোরা দারুণ একটা ঘটনার সাক্ষী হতে পারবি। আর আমরা তো কখনো ভ‚ত দেখিনি, ভূতের সেলফি অন্তত দেখতে পাব।’ রতন ভাই আমাদের উৎসাহ দেয়। আমি বলি, ‘ভ‚ত যদি সেলফি না তোলে?’ ’অবশ্যই তুলবে।’
‘ভ‚ত কি ফোনের ফাংশন জানে? কীভাবে সেলফি তুলতে হয় সেটা বুঝবে?’
রতন ভাই আমার ওপর এবার রাগ করে। বলে, ‘তোর হাইস্কুলে ওঠা ঠিক হয়নি। প্রাইমারি স্কুলে গিয়ে আবার ভর্তি হ। হাফ প্যান্ট পরা ছেলেদের সাথে গিয়ে স্বরে অ
কুমার অরবিন্দ এর ভূতের সেলফি এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 213 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Vuter Selfi by Kumar Orbindrois now available in boiferry for only 213 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.