সুজলা-সুফলা শস্য-শ্যামলা সবুজে ঘেরা বৈচিত্র্যময় আমাদের বাংলাদেশ। এদেশে প্রায় চৌদ্দ কোটি লােক বাস করে। সময় ও প্রকৃতির রেশ ধরে কেটে যাচ্ছে মানুষের জীবনযাত্রা। আর এ জীবন খেলার মঞ্চ ঘরে কেউ থাকে খাট পালংকে, কেউ বা থাকে কুঁড়ে ঘরে। কেউ তিন বেলা পেট ভরে খেতে পায়, কেউ পায় না। কেউ চায়, পায় না। অনেকেই আবার না চেয়ে অনায়াসে পেয়ে যায়। কেউ পেয়েও হারায়। আবার অনেকেই তিন বেলা খেয়েও ফেলে দেয় ডাস্টবিনে। অনেকেই আবার জীবিকা নির্বাহের জন্য উঠে পড়ে লেগে আছে খুনখারাপি, ছিনতাই, রাহাজানি, ভাংচুর ইত্যাদি নানা ধরনের কাজে। আমরা আজ চরম বিপর্যয়ের মুখে। উপরওয়ালার কাছে আমরা আমাদের মন আত্মাকে এখনও পরিপূর্ণভাবে বিলিয়ে দিতে পারিনি। এখনও সত্যিকারার্থে চিনতে পারিনি। এখনও নিজের ঈমানকে পূর্ণাঙ্গভাবে মজবুত করতে পারিনি আমাদের। ঈমান, এখনও সূক্ষ্ম কাচের মত যা ঠুনকো আঘাতেই চূর্ণ-বিচুর্ণ হয়ে যায়। | প্রশ্ন করুন নিজের মনকে ? জানতে পারবেন মহান স্রষ্টা আল্লাহ পাক রাব্বল আলামিন কেন আমাদের দুনিয়ায় প্রেরণ করেছেন। একমাত্র তার ইবাদত বন্দেগী করার জন্য, তার হুকুম পালন করার জন্য। নীলিমায় একে অপরের পেটে লাথি মেরে অস্ত্রের জোরে অন্যায়ভাবে অপরের অধিকার কেড়ে নিয়ে বে-হালাল টাকা-পয়সার বিশাল বিশাল অট্টালিকা গড়া, এ জন্যই কি মহান স্রষ্টা আমাদের আঠারাে হাজার মাখলুকাতের মধ্যে মানব জাতিকে সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি বলে ঘােষণা করেছেন? খেয়াল করে শুনুন, সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টির মধ্যে মানব জাতিই শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। যে যাই বলুক পরকালে হাসরের মাঠে বিচারের ময়দানে বিচার হবে শুধু মানব এবং জ্বীন জাতির। অন্য সব সৃষ্টির কোন বিচার হবে না। সেদিন বিন্দু পরিমাণ ভুল-ভ্রান্তির কড়ায় গণ্ডায় হিসেব হবে, অত্যন্ত সূক্ষ্ম বিচার হবে। পার্থিব এ ক্ষণস্থায়ীর মত নয়। ঘুষের কোন আশ্রয় থাকবে না পৃথিবীর সেখানে। প্রশ্ন জাগে মনের (মত) এসব ভাবনা আজ ক’জনে ভাবে ? সুন্দর মায়াবী ভূবন পেয়ে ভুলে গেছি অন্য সব কথা।