Loading...

উজানে মৃত্যু (হার্ডকভার)

স্টক:

১০০.০০ ৭৫.০০

উজ্জ্বল জ্যোৎস্নাউদ্ভাসিত-মঞ্চ শূন্য এবং নিস্তব্ধ। শীঘ্র নেপথ্যে একটি মানুষের হাঁপানির আওয়াজ শোনা যায়। আওয়াজটি ক্রমশ উট হয়ে ওঠে। এবার অস্পষ্ট আলাে দেখা দেয়। দিনাগমন শুরু হয়েছে। কিন্তু দৃশ্য এখনাে পরিষ্কার নয়। তারপর বাঁ-দিক থেকে আবছায়ার মধ্যে দিয়ে একটি মানুষ মধ্যে প্রবেশ করে। তার পরনে কাছমারা লুঙ্গি ; তাছাড়া সম্পূর্ণ দেহ উলঙ্গ। সে দড়ি দিয়ে নৌকা টানে। নৌকাটি দেখা না-গেলেও একটি মানুষের জন্যে যে সেটি অতিশয় ভারি এবং সেটি যে লােকটি অনেকক্ষণ ধরে টানছে, তা বুঝতে বিলম্ব হয় না। নৌকাবাহক মঞ্চের মাঝামাঝি পৌছলে আলাে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। এবার এ আলনা দাশ বিলীল অলখা এবং সেখানে।
Ujaner Mrithu,Ujaner Mrithu in boiferry,Ujaner Mrithu buy online,Ujaner Mrithu by Syed Waliullah,উজানে মৃত্যু,উজানে মৃত্যু বইফেরীতে,উজানে মৃত্যু অনলাইনে কিনুন,সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্‌ এর উজানে মৃত্যু,9789843411891,Ujaner Mrithu Ebook,Ujaner Mrithu Ebook in BD,Ujaner Mrithu Ebook in Dhaka,Ujaner Mrithu Ebook in Bangladesh,Ujaner Mrithu Ebook in boiferry,উজানে মৃত্যু ইবুক,উজানে মৃত্যু ইবুক বিডি,উজানে মৃত্যু ইবুক ঢাকায়,উজানে মৃত্যু ইবুক বাংলাদেশে
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্‌ এর উজানে মৃত্যু এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 75.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Ujaner Mrithu by Syed Waliullahis now available in boiferry for only 75.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন হার্ডকভার | ৬১ পাতা
প্রথম প্রকাশ 2016-02-01
প্রকাশনী ঝিনুক প্রকাশনী
ISBN: 9789843411891
ভাষা বাংলা

ক্রেতার পর্যালোচনা

সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্‌
লেখকের জীবনী
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্‌ (Syed Waliullah)

Syed Waliullah (তাঁর জন্ম চট্টগ্রাম শহরের ষোলশহর এলাকায়, ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ আগস্ট) তাঁর পিতা সৈয়দ আহমাদুল্লাহ ছিলেন একজন সরকারি কর্মকর্তা; মা নাসিম আরা খাতুনও সমতুল্য উচ্চশিক্ষিত ও রুচিশীল পরিবার থেকে এসেছিলেন, সম্ভবত অধিক বনেদি বংশের নারী ছিলেন তিনি। ওয়ালীউল্লাহর আট বছর বয়সের সময় তার মাতৃবিয়োগ ঘটে। দুই বছর পর তার বাবা দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন টাঙ্গাইলের করটিয়ায়। বিমাতা এবং বৈমাত্রেয় দুই ভাই ও তিন বোনের সঙ্গে ওয়ালীউল্লাহর সম্পর্ক কখনোই অবনতি হয় নি। তার তেইশ বছর বয়সকালে কোলকাতায় চিকিৎসা করতে গিয়ে মারা যান। তার পিতৃমাতৃবংশ অনেক শিক্ষিত ছিলেন। বাবা এম এ পাশ করে সরাসরি ডেপুটি মেজিস্ট্রেট চাকুরিতে ঢুকে যান; মাতামহ ছিলেন কোলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স থেকে পাশ করা আইনের স্নাতক; বড়ো মামা এমএবিএল পাশ করে কর্মজীবনে কৃতি হয়ে খানবাহাদুর উপাধি পেয়েছিলেন এবং স্ত্রী ওয়ালীউল্লাহর বড়ো মামী ছিলেন নওয়াব আবদুল লতিফ পরিবারের মেয়ে, উর্দু ভাষার লেখিকা ও রবীন্দ্রনাথের গল্প নাটকের উর্দু অনুবাদক। ১৯৩৯ সালে তিনি কুড়িগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় হতে ম্যাট্রিক, এবং ১৯৪১ সালে ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন। তার আনুষ্ঠানিক ডিগ্রি ছিলো ডিস্টিঙ্কশনসহ বিএ এবং অর্থনীতি নিয়ে এমএ ক্লাশে ভর্তি হয়েও শেষে পরিত্যাগ করেন। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর ওয়ালীউল্লাহ ঢাকায় এসে প্রথমে ঢাকা বেতার কেন্দ্রের সহকারী বার্তা-সম্পাদক ও পরে করাচি কেন্দ্রের বার্তা-সম্পাদক (১৯৫০-৫১) হন। ১৯৫১-৬০ সাল পর্যন্ত তিনি পাকিস্তান সরকারের পক্ষে নয়াদিল্লি, সিডনি, জাকার্তা ও লন্ডনে বিভিন্ন উচ্চ পদে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬০-১৯৬৭ সাল পর্যন্ত তিনি প্যারিসে পাকিস্তান দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি এবং ১৯৬৭-৭১ সাল পর্যন্ত ইউনেস্কোর প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট ছিলেন। সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ দুটি গল্পগ্রন্থ নয়নচারা (১৯৫১), দুই তীর ও অন্যান্য গল্প এবং তিনটি নাটক বহিপীর (১৯৬০), তরঙ্গভঙ্গ (১৯৬৪) ও সুড়ঙ্গ (১৯৬৪) রচনা করেছেন। ছোটগল্প ও নাটকেও তিনি সমাজের কুসংস্কার, ধর্মীয় ভন্ডামি, মানসিক ও চারিত্রিক স্খলন ইত্যাদিকে প্রতিভাসিত করেছেন। তিনি দেশ-বিদেশের নানা সাহিত্য পুরস্কার এবং বাংলাদেশ সরকারের ‘একুশে পদক’ (মরণোত্তর, ১৯৮৩) লাভ করেন। ১৯৭১ সালের ১০ অক্টোবর প্যারিসে তাঁর মৃত্যু হয় এবং প্যারিসের উপকণ্ঠে মদোঁ-স্যুর বেল্ভু-তে তিনি সমাহিত হন।

সংশ্লিষ্ট বই