Loading...

ত্রিপুরার কথা (হার্ডকভার)

বিষয়: বিবিধ
স্টক:

৩০০.০০ ২২৫.০০

একসাথে কেনেন

অবিভক্ত ভারতবর্ষে ক্ষুদ্র অথচ প্রাচীন রাজ্য ত্রিপুরা। আমাদের অতি নিকটবর্তী রাজ্যটি ১৯৪৭-এর দেশভাগে ভারত রাষ্ট্রাধীনে অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। ত্রিপুরার মাণিক্য রাজ-পরিবারের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী রানি কাঞ্চন প্রভা দেবী ভারত সরকারের সঙ্গে দিল্লিতে ভারতভুক্তির আনুষ্ঠানিক চুক্তি সম্পন্ন করেন ১৯৪৯ সালের ১৫ অক্টোবর।
পাঁচশত বছরের অধিক কালব্যাপী স্বাধীন রাজ্যটি মোগল, ব্রিটিশদের প্রত্যক্ষ শাসনাধীনে ছিল না। তবে পরবর্তীতে মোগল ও ব্রিটিশদের সীমাহীন আধিপত্য-আগ্রাসনে রাজ্যটি নতজানু নীতি গ্রহণে বাধ্য হয়ে যায়। তাদের আনুগত্য, বশ্যতা স্বীকার করেই মাণিক্য-বংশীয় রাজারা রাজ্য-শাসন নিরাপদ রাখতে বাধ্য হয়েছিল। এতে রাজাদের স্বাধীনতা ছিল সংকীর্ণ ও সীমাবদ্ধ। কেবল পার্বত্য ত্রিপুরাতেই তাঁরা স্বাধীন ভাবে রাজত্ব করতে পেরেছিল। অপরদিকে ত্রিপুরার সমতল চাকলা রোশনাবাদ ছিল রাজাদের জমিদারি অঞ্চল। সেখানে তাদের মর্যাদা ছিল রাজারূপে নয়, জমিদার হিসেবে। ভারতভুক্তির পরই ত্রিপুরার মাণিক্য-রাজাদের রাজতান্ত্রিক শাসনের অবসর ঘটে।
গণতান্ত্রিক শাসনাধীনে ত্রিপুরার আর্থ-সামাজিক অবস্থার খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। ভারত ভূণ্ডের থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন রাজ্যটির সমষ্টিগত মানুষ আজও দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। শিল্প বিনিয়োগ না ঘটায় সামন্তযুগের ন্যায় আজও রাজ্যটি কৃষি অর্থনীতি নির্ভর। উত্তর-পূর্ব ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজ্য হলেও রাজ্যটি আয়তনে এবং জনসংখ্যায় ক্ষুদ্র ও স্বল্প। ভারতের বুর্জোয়ারা মুনাফার ক্ষেত্র সংকীর্ণ বিবেচনায় এরাজ্যে শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠায় উৎসাহী হয়নি। এতে রাজ্যে হিন্দি ভাষার আধিপত্যও গড়ে ওঠেনি। স্থানীয়দের কর্মসংস্থান অত্যন্ত সংকুচিত পরিসরে থাকায় বেকারত্বও সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যটিতে পশ্চিম বাংলা, আসামের পর সর্বাধিক বাঙালির বাস। বাঙালিরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। তাদের বাংলা ভাষা পুরোপুরি পূর্ববঙ্গীয়। পশ্চিম বাংলার ন্যায় নয়। মাণিক্য-রাজাদের আমল থেকে অদ্যাবধি রাজ্যের ভাষা বাংলা। আমাদের অতি নিকটবর্তী এই রাজ্য সম্পর্কে আমাদের জানার পরিসর অত্যন্ত সীমিত। গ্রন্থটি পাঠে ত্রিপুরা সম্পর্কে পাঠকেরা অজানা অনেক তথ্য-উপাত্ত জানতে পারবেন বলেই মনে করি।

Tripurar Katha,Tripurar Katha in boiferry,Tripurar Katha buy online,Tripurar Katha by Dr. Mojharul Islam,ত্রিপুরার কথা,ত্রিপুরার কথা বইফেরীতে,ত্রিপুরার কথা অনলাইনে কিনুন,ড. মযহারুল ইসলাম এর ত্রিপুরার কথা,9789845101325,Tripurar Katha Ebook,Tripurar Katha Ebook in BD,Tripurar Katha Ebook in Dhaka,Tripurar Katha Ebook in Bangladesh,Tripurar Katha Ebook in boiferry,ত্রিপুরার কথা ইবুক,ত্রিপুরার কথা ইবুক বিডি,ত্রিপুরার কথা ইবুক ঢাকায়,ত্রিপুরার কথা ইবুক বাংলাদেশে
ড. মযহারুল ইসলাম এর ত্রিপুরার কথা এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 240.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Tripurar Katha by Dr. Mojharul Islamis now available in boiferry for only 240.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন হার্ডকভার | ১৫৮ পাতা
প্রথম প্রকাশ 2020-02-09
প্রকাশনী কথাপ্রকাশ
ISBN: 9789845101325
ভাষা বাংলা

ক্রেতার পর্যালোচনা

ড. মযহারুল ইসলাম
লেখকের জীবনী
ড. মযহারুল ইসলাম (Dr. Mojharul Islam)

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ফোকলােরবিদ, লেখক, গবেষক, কবি অধ্যাপক মযহারুল ইসলামের জন্ম ১৯২৮ সালের ১০ই সেপ্টেম্বর সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার চরনবীপুর গ্রামে। তাঁর পিতা ডা. মােহম্মদ আলী এবং মাতা সালেহা বেগম। তিনি ১৯৫১ সালে বাংলা সাহিত্যে প্রথম শ্রেণীতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি দুবার পি-এইচ.ডি. ডিগ্রি অর্জন করেন— একবার দেশে, অন্যবার আমেরিকার ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তিনি ঢাকা। কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহী। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন। তিনি ১৯৭২-১৯৭৪ সাল পর্যন্ত বাংলা একাডেমীর প্রথম মহাপরিচালক এবং ১৯৭৪-১৯৭৫ সাল। পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে শিকাগাে, হার্ভার্ড, কলকাতা ও শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং প্রফেসর ছিলেন। তাঁর প্রকাশিত গবেষণা-গ্রন্থগুলাে হল : কবি হেয়াত মামুদ, কবি পাগলা কানাই, লােক-কাহিনী সংগ্রহের ইতিহাস, The Theoretical Study of Folklore, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। The History of Folktale Collections in India and Pakistan 013 আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বই । তিনি ১৯৬৭ সালে বাংলা একাডেমী পুরস্কার এবং ১৯৭০ সালে দাউদ পুরস্কার লাভ করেন।

সংশ্লিষ্ট বই