Loading...

তিব্বতে সওয়া বছর (হার্ডকভার)

স্টক: স্টকে আছে (২ এর বেশি কপি আছে)

৪০০.০০ ৩২০.০০

তিব্বতে সওয়া বছর ও রাহুল সাংকৃত্যায়ন বালক বয়সেই রাহুল সাংকৃত্যায়ন ঘরছাড়া হয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন ভারতবর্যের বিভিন্ন স্থানে। তাই তার প্রতিষ্ঠানিক লেখাপড়ার সুযােগ হয় নি। অবশ্য শৈশবে কাশী ও আগ্রার টোলে ও মাদ্রাসায় কিছুদিন পড়াশুনা করেছেন। ব্যাস ওই পর্যন্তই। তারপর তিনি যে ওন ও পাত্যি অর্জন করেছেন তার সবটাই পৃথিবীর পাঠশালা থেকে। তার এই জ্ঞান ও পাত্যি অর্জনে কাজ করেছে তার কৌতুহলী মন আর জ্ঞান অর্জনের অদম্য ইচ্ছাশক্তি। সেই সাথে দেশ ভ্রমণের বিচিত্র অভিজ্ঞতা। আর সেই অভিজ্ঞতা ও পােিত্যর ফসল তিব্বতে সওয়া বছর। এই বইটি তিনি হিন্দিতে লেখেন। পরে তা বঙ্গানুবাদ হয়। রাহুল সাংকৃত্যায়ন হিন্দি ছাড়াও সংস্কৃত ও তার মাতৃভাষা ভােজপুরীতে লেখালেখি করেছেন। তিব্বতি ভাষায়ও তার বই আছে। তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ১২৭ ছাড়িয়ে গেছে। এছাড়া এখনাে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে তার অনেক রচনা। যা বই আকারে প্রকাশিত হলে বইয়ের সংখ্যা দু'শ ছাড়িয়ে যাবে। | এই মহাপতি ১৯২৮ সালের ডিসেম্বরে অজানা ও নিষিদ্ধ দেশ তিব্বতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। শ্রীলঙ্কার কলম্বাে থেকে যাত্রা করে হিমালয় পেরিয়ে পুরাে পথ পায়ে হেঁটে তিব্বতের রাজধানী লাসায় পৌছান প্রায় ৮ মাস পর ১৯২৯ সালের জুলাই মাসের তৃতীয় সপ্তায়। অবশ্য মাঝেমধ্যে ঘােড়া, গাধা ও খচ্চরের পিঠে চড়ে তিনি তার হাঁটার যন্ত্রণা কিছুটা লাঘব করেছেন। সেই সাথে নৌকায় ব্রহ্মপুত্র পাড়ি দিয়েছেন। বহুকাল আগে এপথেই জ্ঞান তাপস শ্রীজ্ঞান অতীশ দীপঙ্কর সহ বেশ কয়েকজন ভারতীয় পতি হিমালয় পাড়ি দিয়ে তিব্বত যান। অবশ্য অতীশ দীপঙ্কর গিয়েছেন তিব্বতের রাজার আমন্ত্রণে রাজকীয় অতিথি হয়ে। তাই তার যাত্রা পথে প্রয়ােজনীয় সুব্যবস্থা ছিল। আর রাহুলকে নেপাল ও তিব্বত সীমান্ত অতিক্রম করতে হয় ব্রিটিশ, নেপাল ও তিব্বতি সীমান্তরক্ষীদের চোখে ধূলাে দিয়ে অত্যন্ত গােপনে। ছদ্মবেশে। অর্থাৎ প্রতি মুহূর্তে ধরা পড়ার ভয়ভীতি আর শঙ্কার মধ্যে।
Tibbote Showa Bochor,Tibbote Showa Bochor in boiferry,Tibbote Showa Bochor buy online,Tibbote Showa Bochor by Rahul Sangcritayon,তিব্বতে সওয়া বছর,তিব্বতে সওয়া বছর বইফেরীতে,তিব্বতে সওয়া বছর অনলাইনে কিনুন,রাহুল সাংকৃত্যায়ন এর তিব্বতে সওয়া বছর,9789849332633,Tibbote Showa Bochor Ebook,Tibbote Showa Bochor Ebook in BD,Tibbote Showa Bochor Ebook in Dhaka,Tibbote Showa Bochor Ebook in Bangladesh,Tibbote Showa Bochor Ebook in boiferry,তিব্বতে সওয়া বছর ইবুক,তিব্বতে সওয়া বছর ইবুক বিডি,তিব্বতে সওয়া বছর ইবুক ঢাকায়,তিব্বতে সওয়া বছর ইবুক বাংলাদেশে
রাহুল সাংকৃত্যায়ন এর তিব্বতে সওয়া বছর এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 320.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Tibbote Showa Bochor by Rahul Sangcritayonis now available in boiferry for only 320.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন হার্ডকভার | ২৩০ পাতা
প্রথম প্রকাশ 2018-02-01
প্রকাশনী ছায়াবীথি
ISBN: 9789849332633
ভাষা বাংলা

ক্রেতার পর্যালোচনা

রাহুল সাংকৃত্যায়ন
লেখকের জীবনী
রাহুল সাংকৃত্যায়ন (Rahul Sangcritayon)

রাহুল সাংকৃত্যায়ন তাঁর জন্ম ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে সনাতন হিন্দু ভূমিহার ব্রাহ্মণ পরিবারে। জন্মস্থান উত্তর প্রদেশের আজমগড়ের একটি ছোট্ট গ্রাম। তাঁর আসল নাম ছিল কেদারনাথ পাণ্ডে। ছোটোবেলাতেই তিনি মাকে হারান। তাঁর পিতা গোবর্ধন পান্ডে ছিলেন একজন কৃষক। বাল্য কালে তিনি একটি গ্রাম্য পাঠশালায় ভর্তি হয়েছিলেন। আর এটিই ছিলো তাঁর জীবনে একমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। অষ্টম শ্রেণী অবধি অধ্যয়ন করেছিলেন। এখানে তিনি উর্দু ও সংস্কৃতের উপর প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। তিনি বহু ভাষায় শিক্ষা করেছিলেন যথা : হিন্দি, উর্দু, বাংলা, পালি, সংস্কৃত, আরবি, ফারসি, ইংরেজি, তিব্বতি ও রুশ। পুরস্কার তালিকা পদ্মভূষণ (১৯৬৩) সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার (১৯৫৮) ব্যক্তিগত জীবন জালিওয়ানওয়ালা বাগের হত্যাকান্ড (১৯১৯) তাঁকে একজন শক্তিশালী জাতীয়তাবাদী কর্মীতে রূপান্তরিত করে। এ সময় ইংরেজ বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে তাকে আটক করা হয় এবং তিন বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হয়। এ সময়টিতে তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ সংস্কৃতে অনুবাদ করেন। পালি ও সিংহল ভাষা শিখে তিনি মূল বৌদ্ধ গ্রন্থগুলো পড়া শুরু করেন। এ সময় তিনি বৌদ্ধ ধর্ম দ্বারা আকৃষ্ট হন এবং নিজ নাম পরিবর্তন করে রাখেন রাহুল (বুদ্ধের পুত্রের নামানুসারে) সাংকৃত্যায়ন (আত্তীকরণ করে যে)।, জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তিনি বিহারে চলে যান এবং ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ-এর সাথে কাজ করা শুরু করেন। তিনি গান্ধিজীর আদর্শে অনুপ্রাণিত ছিলেন এবং এসময় তিনি গান্ধীজী প্রণীত কর্মসূচীতে যোগদান করেন। যদিও তাঁর কোনো আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ছিলো না, তবুও তার অসাধারণ পান্ডিত্যের জন্য রাশিয়ায় থাকাকালীন লেনিনগ্রাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাকে শিক্ষকতার অনুরোধ করা হয়। তিনি তা গ্রহণ করেছিলেন। ভারতে এসে তিনি ডঃ কমলা নামক একজন ভারতীয় নেপালি মহিলা কে বিয়ে করেন। তাদের দুই সন্তান হয়, কন্যা জয়া ও পুত্র জিৎ। পরে শ্রীলংকায় (তৎকালীন সিংহল) বিদ্যালঙ্কার বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। এখানে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে দার্জিলিংয়ে, ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দের ১৪ এপ্রিল তারিখে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

সংশ্লিষ্ট বই