১৯৫৮ সাল আমি সম্ভবত ক্লাস সিক্সে পড়ি, আঠারবাড়ি স্কুলে। স্কুলটি আঠারবাড়ির জমিদারদের প্রতিষ্ঠিত। জমিদার বাড়ির পাশেই স্কুলটি, বিস্তির্ণ খেলার মাঠ, সামনে পিছনে বিশাল জায়গা নিয়ে স্কুলটি তৈরি করা হয়েছে। পাকিস্তান হওয়ার পর জমিদাররা ভারতে চলে গেছে। পাকিস্তান সরকার জমিদার বাড়িটিতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও আঠারবাড়ি স্কুলের হােস্টেল তৈরি করেছে। আমাদের বাড়ি ঈশ্বরগঞ্জ হলেও আঠারবাড়িতে ভর্তি হয়েছি। কারণ আমাদের বাড়ি থেকে ঈশ্বরগঞ্জ স্কুলে যেতে প্রায় তিন মাইল হাঁটতে হয়। তাই আঠারবাড়িতে ভর্তি করে দিয়েছেন আমার বাবা। আমার এক মামা এবং খালু আমার মায়ের বড় ভাই তিনি আঠারবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। দীর্ঘদিন ধরে আছেন। তার প্রভাব প্রতিপত্তি ছিল বিরাট। তার আঙ্গুলি হেলেনে সবকিছু পরিচালিত হতাে। তাছাড়া তিনি মুসলিম লীগ করতেন। বাবা আমাকে মামার কাছে তার বাসায় থেকে পড়াশােনা করতে বললেন। যথারীতি ভর্তি হয়ে ক্লাস করতে শুরু করলাম। স্কুলটি ছিল খেলাধুলায় অত্যন্ত উন্নত। ওই স্কুলের বেশকিছু ছাত্র জাতীয় টিমের ফুটবলার হয়েছিল। খেলাধুলায় আমার বিশেষ আগ্রহ ছিল। সেই সুবাদে আমাকে স্কুল টিমের সদস্য করা হয়। মামা যেহেতু চেয়ারম্যান আর আমি তার ভাগ্নে ফলে আমার একটি বিশেষ প্রভাব স্কুলে প্রতিষ্ঠিত হতে থাকে। আমার মামার বাড়িটি ছিল আঠারবাড়ি রেলস্টেশন থেকে কেন্দুয়া ডিস্ট্রিকবাের্ডের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে । স্টেশন থেকে বেরিয়ে আধা কিলােমিটার উত্তর পশ্চিমে যাওয়ার পথে রায়েরবাজার । এই বাজারটি ময়মনসিংহ জেলার বিখ্যাত