তাফসীরে মাজহারীতে আছে, জান কব্য করার অর্থ হলাে, দেহ থেকে আত্মার সম্পর্ক ছিন্ন করে দেয়া। কখনাে জাহের এবং বাতেন উভয় দিক দিয়েই তা ছিন্ন করে দেয়া হয়। এটাকে বলা হয় মৃত্যু। আবার কখনও কেবল জাহেরীভাবে ছিন্ন করা হয় এবং বাতেনী সম্পর্ক বহাল রাখা হয়। এর প্রতিক্রিয়া হল, শুধুমাত্র অনুভূতি ও ইচ্ছাধীন নড়াচড়া- যেটা জীবনের বাহ্যিক আলামত তা ছিন্ন হয়ে যায়। কিন্তু আত্মার বাতেনী সম্পর্ক বহাল থাকে। এর দ্বারা সে শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করে এবং বেঁচে থাকে। এর প্রতিক্রিয়া হলাে, মানুষের আত্মাকে ‘আলমে মেসলীর পর্যবেক্ষণে নিয়ােজিত করে দুনিয়ার জগত থেকে বেখবর করে দেয়া হয়, যাতে মানুষ পুরােপুরি আরাম করতে পারে। কখনও আবার এই বাতেনী সম্পর্ককেও বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়, ফলে শারীরিক জীবন একেবারেই শেষ হয়ে যায়। হযরত আলী (রা.) বলেন, দ্রিাকালে মানুষের শরীর থেকে বের হওয়া আত্মাটি জাগ্রত হওয়ার সময় পলকেরও কম সময়ে শরীরে ফিরে আসে। (মাআরিফুল কুরআন : ৭ম খন্ড)। বুঝা গেল, নিদ্রাও এক প্রকার মৃত্যু। হাদীস শরীফে একে মৃত্যুর বােন বলা হয়েছে। এ জন্য মানুষ যখনই ঘুম থেকে জাগ্রত হবে। তার উচিত, সে যেন আল্লাহ রাব্বল আলামীনের হামদ ও প্রশংসা করত: নতুন দিনের জীবনের সূচনা করে। এটাই নবীজীর সুন্নাত।