Loading...

খাওয়ারিজম সাম্রাজ্যের মহান বীর সুলতান জালালুদ্দিন খাওয়ারিজমশাহ (হার্ডকভার)

অনুবাদক: ইমরান রাইহান

স্টক:

৩৫০.০০ ২৫২.০০

সুলতান জালালুদ্দিন খাওয়ারিজমশাহ। ইতিহাস থেকে বিস্মৃত হতে চলা এক সুলতান; অথচ তিনি ছিলেন পিশাচ তাতারদের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরােধকারী। ছিলেন বাগদাদের আব্বাসি খিলাফতের প্রাচীর, মুসলিম উম্মাহর ঢাল। ছিলেন পথহারা মানবতার পথপ্রদর্শক। মানবতা আর মুসলিম উম্মাহর জন্য তিনি কী করেননি? রাজ্য হারালেন! নারী-শিশুসহ পরিবারকে উত্তাল নদীতে নিজ হাতে নিক্ষেপ করলেন। দেশ থেকে দেশান্তরে ঘুরে বেড়ালেন। শূন্য থেকে শুরু করে প্রতিরােধের প্রাচীর দাঁড় করালেন। বাদশাহি আরাম-আয়েশের জীবন ত্যাগ করে পাহাড়ে-পর্বতে, জঙ্গলে, মরুভূমিতে ঘুরে বেড়ালেন।

কী জন্য তার এত ত্যাগ? তিনি তাে চাইলে এ সবকিছু বাদ দিয়ে অন্য শাসকদের মতাে | বিলাসী জীবন বেছে নিতে পারতেন। বাগদাদের তখনকার আব্বাসি খলিফাদের মতাে নপুংসকের জীবন কাটাতে পারতেন। কিন্তু এমন কিছুই করেননি। উম্মাহর তরে সব বিসর্জন দিয়েছেন।

সব যুদ্ধে তিনি বিজয়ী হননি; কিন্তু প্রতিরােধের যেসব দেয়াল তিনি দাঁড় করিয়েছেন, সেগুলাে না করলে হয়তাে আরও অনেক আগেই মুসলমানরা নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত। ক্ষতির পরিমাণ আরও অনেক বেশি হতে পারত। তার প্রতিরােধের কারণেই হয়তাে বিশ্ব একেবারে বিরান হওয়া থেকে নিরাপদ থেকেছে।

হ্যাঁ, এই অপ্রতিরােধ্য মােঙ্গাল আর তাতাররাও একসময় পরাজিত হয়েছিল। একেবারে নাই হয়ে গিয়েছিল। কারণ, তাদের জুলুমেরও মাত্রা শেষ হয়ে এসেছিল। আইন জালুত প্রান্তরে সুলতান সাইফুদ্দিন কুতুজ আর রুকনুদ্দিন বাইবার্সের হাতেই তাদের পতনের ঘণ্টা বেজেছিল। এর পর থেকে ছিল তাদের পরাজয়ের ধারাবাহিকতা। তাতারবধের এই দুই মহানায়ক সম্পর্কে জানতে কালান্তর প্রকাশিত দ্য ব্যাটালিয়ন ও দ্য প্যান্থার গ্রন্থ দুটি পড়া যেতে পারে।

প্রকাশক হিসেবে এখানে আরও কিছু কথা বলা দরকার মনে করছি। পাকিস্তানের বিশিষ্ট লেখক ও ইতিহাসবিদ ইসমাইল রেহানের এই গ্রন্থটির সংক্ষিপ্ত অনুবাদ করেছেন ইমরান রাইহান। যদিও গ্রন্থটি সংক্ষিপ্ত অনুবাদ; কিন্তু আমার জানামতে প্রয়ােজনীয় কিছুই বাদ পড়েনি। কোনাে কোনাে বর্ণনা অধিক লম্বা বা তাত্ত্বিক হলে শুধু সেগুলাে তিনি সংক্ষিপ্ত করেছেন। আশা করি এই গ্রন্থটি পড়লে পাঠকের মনে হবে যে, অনুবাদে ইনসাফ করা হয়নি। অনুবাদকের পক্ষ থেকেও প্রয়ােজনীয় অনেক বিষয় সংযােজন করা হয়েছে। অনুবাদক সামসময়িক অনেক বিষয়ের সঙ্গে তৎকালের অবস্থার পর্যালােচনা করেছেন, নির্দেশনা দিয়েছেন।

গ্রন্থটিতে আমরা আরও কিছু কাজ করেছি। পাঠকের সুবিধার্থে শিরােনাম-উপশিরােনাম ইত্যাদি নিজেদের মতাে করে সাজিয়েছি। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি আলােচনার উপশিরােনাম দেওয়ার চেষ্টা করেছি, যাতে পাঠক বিষয়গুলাে হৃদয়ঙ্গম করতে পারেন; আবার পাঠ যেন বিরক্তিকর না হয়, সে দিকেও লক্ষ রাখা হয়েছে। কিছু টীকা সংযােজন করা হয়েছে। মূল বইয়ে যতটি মানচিত্র ছিল, সবগুলাে আমরা বাংলাভাষায় রূপান্তর করে সংযােজন করে দিয়েছি। যদিও এ কাজটি করতে আমাদের বেশ কষ্ট হয়েছে। কারণ, আমাদের কাছে গ্রন্থের যে কপিটি ছিল, সেখানে মানচিত্রের অনেক কিছু স্পষ্ট ছিল না।<প্রকাশক হিসেবে এখানে আরও কিছু কথা বলা দরকার মনে করছি। পাকিস্তানের বিশিষ্ট লেখক ও ইতিহাসবিদ ইসমাইল রেহানের এই গ্রন্থটির সংক্ষিপ্ত অনুবাদ করেছেন ইমরান রাইহান। যদিও গ্রন্থটি সংক্ষিপ্ত অনুবাদ; কিন্তু আমার জানামতে প্রয়ােজনীয় কিছুই বাদ পড়েনি। কোনাে কোনাে বর্ণনা অধিক লম্বা বা তাত্ত্বিক হলে শুধু সেগুলাে তিনি সংক্ষিপ্ত করেছেন। আশা করি এই গ্রন্থটি পড়লে পাঠকের মনে হবে যে, অনুবাদে ইনসাফ করা হয়নি। অনুবাদকের পক্ষ থেকেও প্রয়ােজনীয় অনেক বিষয় সংযােজন করা হয়েছে। অনুবাদক সামসময়িক অনেক বিষয়ের সঙ্গে তৎকালের অবস্থার পর্যালােচনা করেছেন, নির্দেশনা দিয়েছেন।

গ্রন্থটিতে আমরা আরও কিছু কাজ করেছি। পাঠকের সুবিধার্থে শিরােনাম-উপশিরােনাম ইত্যাদি নিজেদের মতাে করে সাজিয়েছি। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি আলােচনার উপশিরােনাম দেওয়ার চেষ্টা করেছি, যাতে পাঠক বিষয়গুলাে হৃদয়ঙ্গম করতে পারেন; আবার পাঠ যেন বিরক্তিকর না হয়, সে দিকেও লক্ষ রাখা হয়েছে। কিছু টীকা সংযােজন করা হয়েছে। মূল বইয়ে যতটি মানচিত্র ছিল, সবগুলাে আমরা বাংলাভাষায় রূপান্তর করে সংযােজন করে দিয়েছি। যদিও এ কাজটি করতে আমাদের বেশ কষ্ট হয়েছে। কারণ, আমাদের কাছে গ্রন্থের যে কপিটি ছিল, সেখানে মানচিত্রের অনেক কিছু স্পষ্ট ছিল না।প্রকাশক হিসেবে এখানে আরও কিছু কথা বলা দরকার মনে করছি। পাকিস্তানের বিশিষ্ট লেখক ও ইতিহাসবিদ ইসমাইল রেহানের এই গ্রন্থটির সংক্ষিপ্ত অনুবাদ করেছেন ইমরান রাইহান। যদিও গ্রন্থটি সংক্ষিপ্ত অনুবাদ; কিন্তু আমার জানামতে প্রয়ােজনীয় কিছুই বাদ পড়েনি। কোনাে কোনাে বর্ণনা অধিক লম্বা বা তাত্ত্বিক হলে শুধু সেগুলাে তিনি সংক্ষিপ্ত করেছেন। আশা করি এই গ্রন্থটি পড়লে পাঠকের মনে হবে যে, অনুবাদে ইনসাফ করা হয়নি। অনুবাদকের পক্ষ থেকেও প্রয়ােজনীয় অনেক বিষয় সংযােজন করা হয়েছে। অনুবাদক সামসময়িক অনেক বিষয়ের সঙ্গে তৎকালের অবস্থার পর্যালােচনা করেছেন, নির্দেশনা দিয়েছেন।

গ্রন্থটিতে আমরা আরও কিছু কাজ করেছি। পাঠকের সুবিধার্থে শিরােনাম-উপশিরােনাম ইত্যাদি নিজেদের মতাে করে সাজিয়েছি। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি আলােচনার উপশিরােনাম দেওয়ার চেষ্টা করেছি, যাতে পাঠক বিষয়গুলাে হৃদয়ঙ্গম করতে পারেন; আবার পাঠ যেন বিরক্তিকর না হয়, সে দিকেও লক্ষ রাখা হয়েছে। কিছু টীকা সংযােজন করা হয়েছে। মূল বইয়ে যতটি মানচিত্র ছিল, সবগুলাে আমরা বাংলাভাষায় রূপান্তর করে সংযােজন করে দিয়েছি। যদিও এ কাজটি করতে আমাদের বেশ কষ্ট হয়েছে। কারণ, আমাদের কাছে গ্রন্থের যে কপিটি ছিল, সেখানে মানচিত্রের অনেক কিছু স্পষ্ট ছিল না।প্রকাশক হিসেবে এখানে আরও কিছু কথা বলা দরকার মনে করছি। পাকিস্তানের বিশিষ্ট লেখক ও ইতিহাসবিদ ইসমাইল রেহানের এই গ্রন্থটির সংক্ষিপ্ত অনুবাদ করেছেন ইমরান রাইহান। যদিও গ্রন্থটি সংক্ষিপ্ত অনুবাদ; কিন্তু আমার জানামতে প্রয়ােজনীয় কিছুই বাদ পড়েনি। কোনাে কোনাে বর্ণনা অধিক লম্বা বা তাত্ত্বিক হলে শুধু সেগুলাে তিনি সংক্ষিপ্ত করেছেন। আশা করি এই গ্রন্থটি পড়লে পাঠকের মনে হবে যে, অনুবাদে ইনসাফ করা হয়নি। অনুবাদকের পক্ষ থেকেও প্রয়ােজনীয় অনেক বিষয় সংযােজন করা হয়েছে। অনুবাদক সামসময়িক অনেক বিষয়ের সঙ্গে তৎকালের অবস্থার পর্যালােচনা করেছেন, নির্দেশনা দিয়েছেন।

গ্রন্থটিতে আমরা আরও কিছু কাজ করেছি। পাঠকের সুবিধার্থে শিরােনাম-উপশিরােনাম ইত্যাদি নিজেদের মতাে করে সাজিয়েছি। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি আলােচনার উপশিরােনাম দেওয়ার চেষ্টা করেছি, যাতে পাঠক বিষয়গুলাে হৃদয়ঙ্গম করতে পারেন; আবার পাঠ যেন বিরক্তিকর না হয়, সে দিকেও লক্ষ রাখা হয়েছে। কিছু টীকা সংযােজন করা হয়েছে। মূল বইয়ে যতটি মানচিত্র ছিল, সবগুলাে আমরা বাংলাভাষায় রূপান্তর করে সংযােজন করে দিয়েছি। যদিও এ কাজটি করতে আমাদের বেশ কষ্ট হয়েছে। কারণ, আমাদের কাছে গ্রন্থের যে কপিটি ছিল, সেখানে মানচিত্রের অনেক কিছু স্পষ্ট ছিল না।

Sultan Jalaluddin Khwarazmshah,Sultan Jalaluddin Khwarazmshah in boiferry,Sultan Jalaluddin Khwarazmshah buy online,Sultan Jalaluddin Khwarazmshah by Ismail Rehan,খাওয়ারিজম সাম্রাজ্যের মহান বীর সুলতান জালালুদ্দিন খাওয়ারিজমশাহ,খাওয়ারিজম সাম্রাজ্যের মহান বীর সুলতান জালালুদ্দিন খাওয়ারিজমশাহ বইফেরীতে,খাওয়ারিজম সাম্রাজ্যের মহান বীর সুলতান জালালুদ্দিন খাওয়ারিজমশাহ অনলাইনে কিনুন,ইসমাইল রেহান এর খাওয়ারিজম সাম্রাজ্যের মহান বীর সুলতান জালালুদ্দিন খাওয়ারিজমশাহ,789849614043,Sultan Jalaluddin Khwarazmshah Ebook,Sultan Jalaluddin Khwarazmshah Ebook in BD,Sultan Jalaluddin Khwarazmshah Ebook in Dhaka,Sultan Jalaluddin Khwarazmshah Ebook in Bangladesh,Sultan Jalaluddin Khwarazmshah Ebook in boiferry,খাওয়ারিজম সাম্রাজ্যের মহান বীর সুলতান জালালুদ্দিন খাওয়ারিজমশাহ ইবুক,খাওয়ারিজম সাম্রাজ্যের মহান বীর সুলতান জালালুদ্দিন খাওয়ারিজমশাহ ইবুক বিডি,খাওয়ারিজম সাম্রাজ্যের মহান বীর সুলতান জালালুদ্দিন খাওয়ারিজমশাহ ইবুক ঢাকায়,খাওয়ারিজম সাম্রাজ্যের মহান বীর সুলতান জালালুদ্দিন খাওয়ারিজমশাহ ইবুক বাংলাদেশে
ইসমাইল রেহান এর খাওয়ারিজম সাম্রাজ্যের মহান বীর সুলতান জালালুদ্দিন খাওয়ারিজমশাহ এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 262.50 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Sultan Jalaluddin Khwarazmshah by Ismail Rehanis now available in boiferry for only 262.50 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন হার্ডকভার | ২৪৭ পাতা
প্রথম প্রকাশ 2020-08-02
প্রকাশনী কালান্তর প্রকাশনী (সিলেট)
ISBN: 789849614043
ভাষা বাংলা

ক্রেতার পর্যালোচনা

5
1 reviews

1-1 থেকে 1 পর্যালোচনা

  • পর্যালোচনা লিখেছেন 'Ruponti Shahrin'
    পড়লাম ‘সুলতান জালালুদ্দিন খাওয়ারিজম শাহ’। শেষ থেকে শুরু। শুরু থেকে শেষ। মুগ্ধতার আরেক নাম। সুলতান জালালুদ্দিন খাওয়ারিজম শাহঃ বুদ্ধিদীপ্ত টগবগে তরুণের টানটান উত্তেজনার রক্তেরঞ্জিত কাহিনী। হিজরি সপ্তম শতাব্দীর শুরুতে খাওয়ারিজমই ছিল মুসলিমবিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী জনপদ। যারা যেকোনো ধরনের শত্রুর মোকাবিলায় সক্ষম ছিল। খাওয়ারিজম ছিল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। ছিল অতুলনীয়। সাইর নদী ও আমু দরিয়া থেকে অসংখ্য ছোট নদী প্রবাহিত হচ্ছিল। এসব নদীতে চলত সওদাগরের নৌকা। চাষাবাদ ও পানির ব্যবস্থা ছিল। সকল প্রকারের ফলমূলসহ পাহাড়ি অঞ্চলের জন্মাত নামীদামী ফল। কিশমিশ, আখরোট ও বাদাম ছিল বিখ্যাত। লোকে পেয়ালা ভরে পান করত ডালিমের রস। দারগান শহরের চারপাশে ছিল কয়েক মাইল জুড়ে আঙ্গুগের বাগান। দামগানের আপেল ছিল সুস্বাদু। শাস শহর ছিল কারপাস তুলার জন্য বিখ্যাত। আরগেঞ্চ, সমরকন্দ ও বুখারা ছিল বাণিজ্যিক শহর হিসেবে বিখ্যাত। বলখ, মার্ভ আর নিশাপুর ছিল বাণিজ্যের জন্য বিখ্যাত। প্রায় প্রতিদিন আসত বাণিজ্যকাফেলা। তাদের সঙ্গে থাকত হালাবের শিসা, রোমের রেশমি কাপড়, ইয়ামেনের চাদর, চীনা বাসনপত্র, ভারতবর্ষের মসলা। খাওয়ারিজমের কোনো কোনো শহর ছিল চামড়ার জন্য বিখ্যাত। সে কালে কাসানের মখমল ছিল বিখ্যাত। ফারগানার মিহি কাপড় মন কাড়ত আমিরদের। এখানকার তলোয়ার ছিল যোদ্ধাদের অতিপ্রিয়। তিরমিজে ছিল সাবান বানানোর কারখানা। তুর্কিস্থানের খারাপ খঞ্জর আর তেজী ঘোড়া উভয়ই নিজেদের দ্রুততার জন্য বিখ্যাত ছিল। মাওয়ারাউন নাহারের অনেক এলাকাতেই ছিল সোনা, রুপা ও লোহার খনি। সাম্রাজ্যের সর্বত্রই নির্মিত হচ্ছিল দৃষ্টিনন্দন মসজিদ। বুখারার শাহী মসজিদ ছিল সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। অমুসলিম পর্যটকেরা এই মসজিদ দেখে থমকে দাড়াত। তারা ভাবত এটি রাজপ্রাসাদ। শহরের সড়কগুলো ছিল প্রশস্ত, পরিচ্ছন্ন। দুপাশে থাকত সারিবদ্ধ গাছ। ঘরবাড়ি বানানো হত ইট, পাথর ও কাঠ দিয়ে। অনেক সময় শুধু কাঠের বাড়িই হত। প্রতিটি মসজিদে ছিল মক্তবের ব্যবস্থা। এর বাইরেও ছিল অসংখ্য মাদরাসা। সাম্রাজ্যের পক্ষ থেকে এসব মাদরাসার জন্য ওয়াকফ বরাদ্দ হত। শিক্ষকদের ভাতা নির্ধারিত হত। ছাত্রদের পড়া ও আবাসিক ব্যবস্থা ছিল সম্পূর্ণ অবৈতনিক। আরগেঞ্চের জামে মসজিদে পড়াতেন মুসলিম বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী আলিম ইমাম ফখরুদ্দীন রাজী (রাহ)। আত তাফসিরুল কাবির গ্রন্থের লেখক তিনি। নির্মল বাতাস, সবুজ মাঠ, ঘন জঙ্গল, ফলের বাগান কিংবা শীতে মৃদু তুষারপাত, এসব ছিল পরিচিত দৃশ্য। ইবনু খালদুন তাই লিখেছেন, “আল্লাহর জমীনে এরচেয়ে নির্মল, সুন্দর শহর আর নেই।” তারপর কী এমন হলো যে, পালটে গেল দৃশ্যপট? এই সুন্দর ভূমির উপর নজর পড়েছিল হিংস্র, পাষন্ড চেঙ্গিস খানের। শত্রুকে খাটো করে দেখতে নেই। আর সেটাই করেছিল সুলতান আলাউদ্দিন খাওয়ারিজম শাহ। চেঙ্গিস খানের পাঠানো দুতকে তিনি বন্ধুরুপে নিজের গুপ্তচর বানিয়ে প্রথম ভুল করেছিলেন। আব্বাসিয় খিলাফাতের সাথে দ্বন্দ্ব ছিল তুষচাপা আগুনে বাতাস দেয়ার মত কাজ। সুলতানের বড় দুর্বলতা ছিল নিজস্ব শক্তিশালী গোয়ান্দাবাহিনী গঠন না করেই সীমানাপ্রাচীর নিয়েই তিনি সন্তুষ্ট ছিলেন। এদিকে নাসিরের ষড়যন্ত্র, আরেকদিকে চেঙ্গিস খানের প্রস্তুতি। খাওয়ারিজম শাহের সাথে আব্বাসি খিলাফাতের দ্বন্দ্ব তাতারদের জন্য পরিষ্কার বার্তা ছিল। মুসলিমরা যতদিন নিজেদের মাঝে দ্বন্দ্বে লিপ্ত থাকবে বহিঃশত্রুর আক্রমণে তারা কেউ কারো সাহায্যে এগিয়ে আসবে না। খাওয়ারিজম সাম্রাজ্য ভূলুণ্ঠিত হওয়ার ছিল। এ ছিল নিয়তি। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। তখনও আল্লাহর এক বান্দার সাহসীকতায় তাতারদের বিরুদ্ধে তুলে নিয়েছিল ঈমানী হাতিয়ার। বিশ্বের বুক থেকে মুসলিমরা নিশ্চিহ্ন হওয়ার পূর্বেই তার অবদান ইতিহাসের পাতায় যেন অলিখিত সোনালি অধ্যায়। অনেকেই মনে করেন সুলতান জালালুদ্দিন খাওয়ারিজম শাহ, যিনি ছিল আলালুদ্দিন খাওয়ারিজম শাহের পুত্র, তিনি শুধু তাতারদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মেধাধারণ করার জন্যই ইতিহাসের পাতায় ও মুসলিমদের অন্তরে সদা জাগ্রত। এটি একটি ভ্রান্ত ধারণা। সাম্রাজ্য পরিচালনা ও ধর্মের ঝান্ডা ধারণে তার ত্যাগ ও তিতিক্ষা অবিস্মরণীয়। তবে তা বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ। মানুষের বিবেক জাগ্রত করতে বহুল প্রচার নেই। সব পশ্চিমা সংস্কৃতির বদৌলতে। এ এক এমন রোমহর্ষক কাহিনী পাতায় পাতায় লোম দাঁড়িয়ে যায়। অন্তরে রক্তক্ষরণ হয়। তাতারদের পৈশাচিকতা, সুলতানের ব্যক্তিত্ব ও গুণের কাছে কীভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছিল আপনাকে জানতেই হবে। সুলতানের জীবনের রাজকীয় সূচনা ও শেষ দিনগুলোর মাঝে বড়ই তফাৎ। যখন সকলে দুনিয়াবি সুখশান্তি অর্জনে ব্যস্ত, তখন তিনি পরিবারের নারী ও শিশুদের আল্লাহর ভরসায় কীভাবে অকূল দরিয়ার বুকে ছুড়ে ফেলেছিলেন, কীভাবে একত্র করেছিলেন সীমাহীন সাহসীকতা। এক বিশাল নরপিশাচের দলের বিপরীতে ক্ষুদ্র বাহিনী পরিচালনার দক্ষ কৌশল খাটিয়ে মুসলিমদের জন্য আদর্শ হয়েছিলেন, আপনাকে জানতে হবে। শিক্ষাগ্রহণ করতে হবে। সুলতানকে নিয়ে বইটির শেষে আলোচনা ও সমালোচনাও রয়েছে। পাঠকের একরাশ মুগ্ধতার জায়গা এই পরিচ্ছেদটিও দখল করে নেবে। বইয়ের প্রচ্ছদটি আমার কাছে যেমন ইউনিক মনে হয়েছে, এর সাথে মানানসই রিবন বুকমার্কটিও রুচিশীল। এ এক এমন হারিয়ে যাওয়া ইতিহাস, যা আপনার হৃদয় অশ্রুও হরণ করে নেবে।
    July 04, 2022
ইসমাইল রেহান
লেখকের জীবনী
ইসমাইল রেহান (Ismail Rehan)

ইসমাইল রেহান

সংশ্লিষ্ট বই