ইংরেজি ‘গড'-এর আরবি প্রতিশব্দ ‘আল্লাহ'। তিনি হলেন মহাবিশ্বের একমাত্র স্রষ্টা এবং তিনি কোনাে সৃষ্টির অংশ নন। তিনি আদি ও অন্ত। সাধারণ মানুষের মধ্যে একটি ভ্রান্ত ধারণা আছে যে, মুসলমান এক আল্লাহতে বিশ্বাসী এবং ইহুদি ও খ্রিস্টানরা ‘গড'-এ বিশ্বাসী এবং মুসলমানদের ‘আল্লাহ' এবং ইহুদি খ্রিস্টানদের ‘গড' ভিন্ন সত্তা। প্রকৃতপক্ষে এ ধারণা ভুল। আরবি ভাষাভাষী ইহুদি এবং খ্রিষ্টান-এ দুই জাতি গডের পরিবর্তে আল্লাহ শব্দ ব্যবহার করে থাকে। ইহুদি, খ্রিস্টান এবং মুসলমানদের মধ্যে সবচাইতে বড় মিল হচ্ছে যে, সবাই এক আল্লাহ্ বা গড'-এ বিশ্বাসী। মুসলমানরা নূহ (আ.) বা Noah, ইব্রাহিম (আ.) বা Abraham, মুসা (আ.) বা Moses, দাউদ (আ.) বা David এবং ঈসা (আ.) বা Jesus-কে আল্লাহ্ প্রেরিত রাসূল বা প্রতিনিধি হিসেবে মান্য করে এবং তাঁদের ওপর ভক্তিসহকারে সালাম পেশ করে থাকে। মুসলমানরা সকল আসমানি বা আহলি কিতাবকে বিশ্বাস করে এবং কিতাব অবলম্বনকারীদেরকে শ্রদ্ধার চোখে দেখে। এ তিন ধর্মের সবাই ইব্রাহিম (আ.)-এর মতাবলম্বী এবং এক আল্লাহ বা গড়ে বিশ্বাসী। কিন্তু কিছু ধারণাতে বিভ্রান্তি রয়েছে। খ্রিস্টানরা ট্রিনিটি বা ত্রিত্ববাদে বিশ্বাসী এবং তারা বলে যে ঈসা বা জিসাস আল্লাহর পুত্র। কিন্তু এ কথা ঠিক নয়। এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, “অবশ্যই তারা কুফরি করেছে, তারা বলে-আল্লাহ্ তাে তিনের মধ্যে একজন। অথচ এক মাবুদ ব্যতীত অন্য কোনাে মাবুদ নেই" (আলমায়িদাহ, আয়াত ৭৩)। বিষয়টি কোরআনে আরাে স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যাসহকারে বর্ণনা করা হয়েছে। বর্ণনায় বলা হয়েছে, “মাহিহ ইবনু মারইয়াম একজন রাসূল ব্যতীত আর কিছু নয়। তার আগে অনেক রাসূল গত হয়েছেন এবং তাঁর মা একজন সত্যনিষ্ঠ নারী ছিলেন। তাঁরা দুজনই খাদ্য গ্রহণ করতেন..." (সূরা আল-মায়িদাহ, আয়াত ৭৫)।