রূপমহলে আজ আলােক রােশনাই। সৈয়দ বাড়ির দুই মেয়ের বিয়ে। দুই ভাইয়ের দুই মেয়ে। জুই এবং যুথী। জুই-এর বরযাত্রী আসবে পাটখালি থেকে এবং যুথীর নােয়াগ্রাম থেকে। চারদিকে হৈচৈ... আনন্দ কলরব। অত্র এলাকার সবচেয়ে প্রভাবশালী এবং ধনাঢ্য পরিবারের উৎসবে শামিল হয়েছে সবাই। ভাইবােনদের উচ্ছ্বসি, বয়ােজ্যষ্ঠদের হাঁকডাক... সব মিলিয়ে মহা আয়ােজন। জুইয়ের বর সৈয়দ আশরাফ আলী ওরফে হিরু। বিএ পাস। শিক্ষা অধিদপ্তরে চাকরি করে। যে আমলে ম্যাট্রিক পাস করলে মানুষ দেখতে আসত, সেই আমলের বিএ পাস। শান্ত-স্নিগ্ধ-নম্র ... দেখলেই মায়া হয়। বরকর্তা সৈয়দ আতর আলী বরের বড় ভাই ... খুব আমুদে, মিশুক। অল্প সময়েই আপন মহিমায় অবতীর্ণ হয়ে আসরের মধ্যমণি হয়ে উঠেছেন। বিয়ে হয়ে গেলে সৈয়দ সাহেবের স্ত্রীকে ডেকে বললেন, 'মাওই সাহেব, মা মরা ভাই আমার। সম্প্রদান আপনি মেয়েকে যতটুকু করলেন ... তার চেয়ে বেশি করলাম আমি আমার ভাইকে। ওকে ছেলের মতাে দেখেন।' প্রত্যুত্তরে সৈয়দ গিন্নি বলেন, আমি জামাই না, ছেলেকে পেলাম।' | শিক্ষিত জামায়ের হাতে সম্মান স্মারক কলম তুলে দিলেন সৈয়দ সাহেব। আর দিলেন মেয়েকে। গভীর রাতে বাসর। প্রদীপের আলােতে আশরাফ দেখলেন নীল। বেনারসিতে লাজুক রাঙা জুইকে। সালংকারা। ১৯৪৭ সাল,..