হঠাৎ করে ঘুম ভাঙল। তাকিয়ে দেখি চারিদিকে আধাে আলাে আধাে অন্ধকার। পাখিডাকা ভােরের আলাে আসতে শুরু করেছে। চারিদিকে ভােরের পাখিরা ডাকাডাকি করে সবার ঘুম ভাঙাতে সাহায্য করছে। পাখির কলতান। মৃদু মৃদু বাতাস আর আযানের সুমধুর ধ্বনিতে আমি বিছানা থেকে উঠলাম। পরেই শুরু হলাে পাশের হিন্দুবাড়ি থেকে কাসার শঙ্খ ধ্বনির আওয়াজ। এই দৃশ্যগুলাে শুধু গ্রাম এলাকাতেই বেশি সুন্দর লাগে এবং দেখা যায়। আমাদের বাড়িটি প্রায় তিন একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। দক্ষিণে খােলা বহুদূর পর্যন্ত শুধু ধানি জমি, আর বিল। পূর্ব দিকে পুকুর উত্তরে বনজঙ্গল বাঁশ ঝাড় এবং পশ্চিমে পারিবারিক কবরস্থান আর আম কাঁঠালের বাগান আর গাছ গাছালির বন ও বেত গাছের জঙ্গল। বাড়ির সামনে দিয়ে একটা খাল আমাদের ভারই গ্রামের ভিতর দিয়ে এসে সােজা নিকলা বিল হয়ে চলে গেছে নদীতে খালের পার ঘেঁষেই শিয়ালকোল টু নিকরাইলের রাস্তাটি আমাদের বাড়ির সামনে দিয়ে । চলে গেছে নিকরাইল হয়ে বর্তমানে বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতুর পূর্ব পাড় পর্যন্ত অর্থাৎ । রেল স্টেশন পর্যন্ত। এই রাস্তায় বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করা যায়। এই রাস্তাটি এখনকার, মত এত উচু ছিলাে না। নিচু ছিলাে। আষাঢ় শ্রাবণ মাসে চারি দিকে