Loading...

সুন্দরবনে সাত বৎসর (হার্ডকভার)

স্টক:

১৭৫.০০ ১৩১.২৫

মাঘ মাসে মকর—সংক্রান্তি সাগর—দ্বীপে প্রতি বৎসরই একটি খুব বড় রকমের মেলা বসিয়ে থাকে। মকর—সংক্রান্তিতে গঙ্গাসাগর—স্নান করিতে তখন নানা দেশের লোক আসিয়া জড়ো হয়। এই স্থানে সমুদ্রের গঙ্গার মিলন হইয়াছে, এইজন্য ইহা একটি তীর্থস্থান। প্রতি বৎসর হাজার হাজার লোক বাঙ্গলা, বিহার, উড়িষ্যা এবং নেপাল ও পাঞ্জাব প্রভৃতির দূর দেশ হইতেও এইখানে এই যোগ উপলক্ষে আসিয়া থাকে। বহু সাধু—সন্ন্যাসীরও সমাগম হয় এবং মেলায় নানা দেশ হইতে ব্যবসায়ী লোক আসিয়া উপস্থিত হয়।
সমুদ্রতীরে বিস্তীর্ণ বালুকারাশির উপর এই বৃহৎ মেলাটি বসিয়া থাকে। তীর্থের কাজে তিন দিনের বেশি লাগে না বটে, কিন্তু মেলাটি চলে অনেক দিন। যাত্রীরা ভোরে উঠিয়া সাগরে স্নান করে; তারপর পঞ্চরত্ন দিয়া সাগরের পূজা করিয়া কপিল মুনির মন্দিরে গিয়া মুনির প্রতিমূর্তি দর্শন করে এবং সেখানেও পূজা দেয়। মন্দিরের বাহিরে একটি বটগাছ আছে, তাহার তলায় রাম এবং হনুমানের মূর্তি এবং কপিল মুনিরও একটি মূর্তি দেখিতে পাওয়া যায়। মন্দিরের পিছনে একটি কুণ্ডে আছে, তাহার নাম সীতা—কুণ্ডে। যাত্রীরা পা াদিগকে পয়সা দিয়া এই কুে র এক বিন্দু জল প্রত্যেকেই পান করিয়া থাকে। কপিল মুনির মন্দিরের ভিতর যাইতেও প্রত্যেক যাত্রীকে চারি আনা করিয়া দিতে হয়। পূর্বেই বলিয়াছি, সমুদ্রতীরে বিস্তীর্ণ বালুকারাশির উপর এই মেলাটি বসিয়া থাকে। মেলার জন্য যে সমস্ত কুঁড়েঘর তোলা হয়, তাহা ছাড়া কোনো ঘরবাড়ি এখানে নাই; অন্তত আমরা যে সময়ের কথা লিখিতেছি, সে সময়ে দেখি নাই। সুতরাং নৌকা ভিন্ন অন্য কোনো আশ্রয় যাত্রীদিগের ছিল না। তখন স্টিমার ছিল না, যাত্রীদিগকে নৌকা করিয়াই গঙ্গাসাগরে যাইতে হইত। কিন্তু সেই তীর্থস্থানে নৌকায় বাস করা অপেক্ষা, সেই অনাবৃত বালুকারাশির উপর শয়ন করিয়া রাত্রিযাপন করায় বেশি পূণ্য বলিয়া অনেকে তাহাই করিত!
তীর্থস্থানে অনেকে যেমন পুণ্য সঞ্চয় করিতে যায়, তেমনি অনেকে আবার কুমতলবেও গিয়া থাকে। একদিকে সাধু—সন্ন্যাসীরা আসেন, অন্যদিকে তেমনি চোর—ডাকাতেরও অভাব থাকে না। আমরা যে সময়ের কথা লিখিতেছি, সেসময় দেশে চোর—ডাকাতের অত্যন্ত উপদ্রব ছিল।
তখন আমার বয়স বড় বেশি নয়। আমি দাদামহাশয়ের সহিত গঙ্গাসাগর গিয়াছিলাম। দাদামহাশয় সাগরে গিয়াছিলেন পুণ্যস্নানে; আমি গিয়াছিলাম মেলা দেখিতে। বাড়ির কাহারও ইচ্ছা ছিল না, যে আমি যাই এবং দাদামহাশয়ও আমাকে প্রথমটা সঙ্গে লইয়া যাইতে রাজি হন নাই। কিন্তু আমি জেদ ধরিয়া বসিলাম যাইবই। জানিতাম, আমার আব্দার কখনই অপূর্ণ থাকে না। যখনই যে আব্দার করিতাম, তাহা যতই কেন অসঙ্গত হউক না, যতই কেন অসম্ভব হউক না, তাহা অপূর্ণ থাকিত না। ইহার ফল এই দাঁড়াইয়াছিল যে, ন্যায্য আব্দার ছাড়িয়া ক্রমে আমি নানা প্রকার অন্যায় আব্দার করিতে সাহসী হইয়াছিলাম।

Shundorbona Sath Botchor,Shundorbona Sath Botchor in boiferry,Shundorbona Sath Botchor buy online,Shundorbona Sath Botchor by Bivutivushon Bondopadhai,সুন্দরবনে সাত বৎসর,সুন্দরবনে সাত বৎসর বইফেরীতে,সুন্দরবনে সাত বৎসর অনলাইনে কিনুন,বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় এর সুন্দরবনে সাত বৎসর,9789849228837,Shundorbona Sath Botchor Ebook,Shundorbona Sath Botchor Ebook in BD,Shundorbona Sath Botchor Ebook in Dhaka,Shundorbona Sath Botchor Ebook in Bangladesh,Shundorbona Sath Botchor Ebook in boiferry,সুন্দরবনে সাত বৎসর ইবুক,সুন্দরবনে সাত বৎসর ইবুক বিডি,সুন্দরবনে সাত বৎসর ইবুক ঢাকায়,সুন্দরবনে সাত বৎসর ইবুক বাংলাদেশে
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় এর সুন্দরবনে সাত বৎসর এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 122.50 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Shundorbona Sath Botchor by Bivutivushon Bondopadhaiis now available in boiferry for only 122.50 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন হার্ডকভার | ১১২ পাতা
প্রথম প্রকাশ 2021-02-01
প্রকাশনী শোভা প্রকাশ
ISBN: 9789849228837
ভাষা বাংলা

ক্রেতার পর্যালোচনা

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
লেখকের জীবনী
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Bivutivushon Bondopadhai)

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় (১২ই সেপ্টেম্বর, ১৮৯৪ - ১লা নভেম্বর, ১৯৫০[১]) ছিলেন একজন জনপ্রিয় ভারতীয় বাঙালি সাহিত্যিক। তিনি মূলত উপন্যাস ও ছোটগল্প লিখে খ্যাতি অর্জন করেন। পথের পাঁচালী ও অপরাজিত তাঁর সবচেয়ে বেশি পরিচিত উপন্যাস। অন্যান্য উপন্যাসের মধ্যে আরণ্যক, চাঁদের পাহাড়,আদর্শ হিন্দু হোটেল, ইছামতী ও অশনি সংকেত বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। উপন্যাসের পাশাপাশি বিভূতিভূষণ প্রায় ২০টি গল্পগ্রন্থ, কয়েকটি কিশোরপাঠ্য উপন্যাস ও ভ্রমণকাহিনি এবং দিনলিপিও রচনা করেন। বিভূতিভূষণের পথের পাঁচালী উপন্যাস অবলম্বনে সত্যজিৎ রায় পরিচালিত চলচ্চিত্রটি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন। ১৯৫১ সালে ইছামতী উপন্যাসের জন্য বিভূতিভূষণ পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার রবীন্দ্র পুরস্কার (মরণোত্তর) লাভ করেন।

সংশ্লিষ্ট বই