লোকে বলে কিশোরী বয়সটা নাকি আবেগী হয়।সহজেই জড়িয়ে পড়ে যে কারো সাথেই।চোখের সামনে যাকে দেখে তাকেই নাকি ভালো লেগে যায় এই বয়সে।কিন্তু আমার বেলায় তো তেমন ছিলো না। শিশু বলো কিংবা কিশোরী, সত্যিকারের অনুভূতি বলো কিংবা আবেগ, ভালো লাগা কিংবা ভালবাসা সবই ছিলে তুমি।সেই ছোট্ট বয়স থেকেই তোমাকে ভালো লাগতো।বড় হওয়ার ধাপে ধাপে ভালো লাগা পরিণত হয় ভালোবাসায়।একটা সময় বুঝতে পারলাম তুমিও ভালবাসো আমায়।হয়তো আমার মতো করে বাসো না।ভালবাসা তো ছিলো।অতঃপর জড়িয়ে গেলাম উভয়ে এক স্বপেড়বর জীবনে।যেখানে শুধু ছিল আমাদের স্বপড়ব, কল্পনার আল্পনা আঁকা।চলতে লাগলো সময়।পেরিয়ে গেলো দুটি বছর।খুব ভালোই ছিলাম আমরা। সুখী ছিলাম ভিষণ।কিন্তু সেই ভালো থাকার ইতি ঘটিয়ে দিলে তুমি নিজেই।শ্রাবণের এক সন্ধ্যা বেলায় উপস্থিত হয়েছিলো একটি মেয়ের হাত ধরে।প্রথমে কি হতে চলেছে বুঝতে না পারলেও শেষে বুঝেছিলাম। মেয়েটি তোমার প্রকৃত ভালবাসা।আমি তোমার আবেগ মাত্র।অবশ্য কথাটা তুমি নিজেই বলেছিলে সেদিন।এও বলেছিলে যে দুই বছরের সম্পর্কটাকে আবেগ বলে ভুলে যেতে।তুমি আর সেই মেয়েটি বিয়ে করবে শীগ্রই। নিষিদ্ধ করে গেলে তোমার আমার সম্পর্কটাকে। তোমাকে নিয়ে ভাবা স্বপড়ব গুলোকে। নিষিদ্ধ করে গেলে তোমাকে ছুঁয়ার। তুমি পুরোটাই আমার জন্য নিষিদ্ধ হয়ে গেলে। যাকে সেই ছোট্ট থেকে মনের গহীনে ভালোবাসার আবরণে যতনে আগলে রেখে পুষে ছিলাম সেই মানুষটাই আমার ভালবাসাটাকে আবেগ বলে সম্পর্ক ছিনড়ব করে গেলো। নিষিদ্ধ করে গেলো আমার পুরোটা জীবন।তাতে কি এই জীবন নিষিদ্ধ তুমিময় ভাবনা নিয়েই কাটিয়ে দিবো না হয়। তুমি তোমার প্রকৃত ভালবাসা নিয়ে সুখী হও এটাই কাম্য।