বাংলা বর্ষপঞ্জির সর্বশেষ ঋতু বসন্তকাল। শীতের পর বসন্তকাল বাংলাদেশের প্রকৃতিতে অপরূপ শােভা বিস্তার করে আবির্ভূত হয়। ফারুন ও চৈত্রমাস (ফেব্রুয়ারির মধ্যভাগ থেকে এপ্রিলের মধ্যভাগ পর্যন্ত) বসন্তকাল। এ ঋতুতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য চমৎকারভাবে উদ্ভাসিত হয়ে উঠে। গাছপালা, তরুলতাসমূহ নতুন পত্রপুষ্পে সুশােভিত হয়। বসন্তকে বলা হয় ঋতুরাজ। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন “আহা আজি এ বসন্তে এত ফুল ফোটে, এত বাঁশি বাজে, এত পাখি গায়”। ঋতুরাজ বসন্ত আমাদের বাঙালি জীবনে এতটা গভীরে প্রথিত যে, ফুলের অনুপস্থিতিতে বসন্তের নির্যাস আমাদের এমনভাবে ভাবালু করে যাকে সুভাষ মুখােপাধ্যায় কাব্যায়িত করেছেন “ফুল ফুটুক আর না ফুটুক, আজ বসন্ত"। ঋতুরাজ বসন্তকে নিয়ে কবি, সাহিত্যিকরা লিখেছেন অনেক। বাংলাভাষায় যারা কবিতা, ছড়া, গান লিখেছেন ও লেখেন প্রবীণনবীন মিলে প্রায় সকলের কবিতাই এ বইয়ে দেয়ার ইচ্ছে ছিল, সে চেষ্টাও করেছি। যাদের কবিতা, ছড়া ও গান এ বইয়ে দেয়া রয়েছে তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি এবং ঋণ স্বীকার করছি। যথেষ্ট মনােযােগ দিয়েই এ কাজটি করার চেষ্টা করা হলাে। তদুপরি কিছু ভুল-ত্রুটি থাকা অস্বাভাবিক নয়। কোনাে গুণী পাঠক, লেখক বা অনুসন্ধানী মানুষের দৃষ্টিতে কোনাে ক্রটি চোখে পড়লে এবং জানালে পরবর্তী সংস্করণে কৃতজ্ঞতা প্রকাশান্তে সংশােধন করে দেয়ার চেষ্টা করা হবে। বইটি প্রকাশের দায়িত্ব নেয়ায় তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধি নালন্দা প্রকাশনীর কর্ণধার জনাব রেদওয়ানুর রহমান জুয়েলকে ধন্যবাদ।ছয় খণ্ডে বাংলার ষড়ঋতুকে গ্রন্থবদ্ধ করার এ প্রয়াস পাঠক আদৃত হলে প্রাণিত হব।