এ বিশ্ব সৃষ্টির মূল উদ্দেশ্য আল্লাহর বিরাট ও অনন্ত মহিমার প্রকাশ। এ বিশ্বের প্রত্যেক সৃষ্টির দিকে লক্ষ্য করলে অতি সহজেই স্রষ্টার অসীম কুদরতের বিষয় উপলব্ধি করা যায়। বিনা প্রয়ােজনে তাঁর এখানে কোন সৃষ্টি নেই। আপাত দৃষ্টিতে যেসব সৃষ্টি মানুষের কাছে অপ্রয়ােজনীয় ও নিরর্থক বলে গণ্য হয়, বিশেষ ভাবে প্রনিধান করলে সে সবেও প্রয়ােজনীয়তার উৎস খুঁজে পাওয়া যায়। প্রত্যেক প্রয়ােজনীয় বস্তু সৃষ্টি মেহনতের তােয়াক্কা রাখে। বিনা মেহনতে প্রাপ্ত বস্তুতে কখনাে মানুষের সার্বিক প্রয়ােজন মিটে না। পক্ষান্তরে, অনুরূপ সৃষ্টি হতে কোনাে মহৎ উদ্দেশ্যও সাধিত হয় না। | হযরত আদম (আঃ) সৃষ্টির পর স্রষ্টার সকল সৃষ্টির উদ্দেশ্য সিদ্ধ হয়। স্বর্গচ্যুৎ হয়ে আদম (আঃ) এ মাটির পৃথিবীতে আগমনের পূর্বে যখন স্বর্গের অলিন্দে দাঁড়িয়েছিলেন, আল্লাহ তখন তার হাতের মুঠোতে এক গাদা অক্ষর গুজে দেন এবং সে গুলাে দিয়ে তিনি তাকে কি শব্দ সৃষ্টি করতে পারেন, তা তৈরী করার আদেশ দেন। এ প্রসঙ্গে নিম্নোক্ত উদ্ধৃতি দেওয়া হলােঃ Before man parted for this earthly strand, while yet upon the verge of heaven he stood, God put a heap of letters in his hand, And bade him to make with them what word he could, And man has turned them many times, made Greece, Rome, England, France-yetnot in vain-essayed Way after away, changes that never cease! The letters have combined, Something was made? | অতঃপর মানব আপন বুদ্ধি ও বিবেকের আদেশে সে সব অক্ষর আগে পিছে ব্যবহার করে ক্রমান্বয়ে গ্রিস, রােম, ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স ইত্যাদি শব্দ বানিয়ে চলল। যদিও তার সে শব্দ গঠন প্রক্রিয়া বিফল যায়নি এবং পন্থার পর পন্থা অবলম্বন করে অবশেষে তাকে এমন একটা কিছু বানাতে দেখা যায়, যার চির স্থায়িত্ব রয়েছে।