Loading...

শেষ রাতের ট্রেন (হার্ডকভার)

স্টক:

১৬০.০০ ১২০.০০

একসাথে কেনেন

তখন ‘চট্রগ্রাম রেলওয়ে’ স্কুলের ছাত্র ছিলাম। পাশেই ছিল রেল জংশন। ট্রেনের আসা যাওয়ার শব্দ কানে নয় শুধু অন্তরেও বেজে উঠত। ট্রেন এলেই মনে হত কারো আপনজন এসেছে। আবার ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার সময় মনে হত কারো আপনজন চলে যাচ্ছে! যাহোক এ ট্রেনেই শেষ বিদায় দিয়েছিলাম কিশোরের ভাল লাগাকে। আবার এ ট্রেনেই দেখা কিছুকাল পরে......। নিজেও সব সময় ট্রেনেই ভ্রমণ করতাম। কারন বাস জার্নি তেমন পছন্দ করতাম না। ষ্টেশনের মায়াবী লাইটের ধাঁধানো আলো আমাকে খুব আকৃষ্ট করতো। মাঝে, মাঝে ইচ্ছে করে কোন একটা গন্তব্যহীন রাতের ট্রেনে উঠে পড়ি। যে ট্রেন শুধু রাতেই চলে। দিনের বেলায় বিরতি দেয়! ট্রেনে ভ্রমণ করা যাত্রীরা কিছুক্ষনের জন্য অদৃশ্য মায়ার বলে একে অপরের আপনজন হয়ে উঠে। নিঃস্বার্থ আপনজন। তারপর দূরে বহুদূরে কোথাও চলে যাই। ট্রেনের জানালা দিয়ে তাকিয়ে- আকাশের নক্ষত্রদের সাথে নিয়ে চলি। দমকা হাওয়ারা এসে হামলে পড়বে মুখ মণ্ডলে। আকাশের মেঘগুলো আচমকা গুড়ুম গুড়ুম করে উঠবে। পরিশেষে বৃষ্টিরা ঝেঁপে পড়বে। বখাটের মত বৃষ্টির ফোঁটারা ট্রেনের জানালা দিয়ে ভিজিয়ে দিতে চাইবে। পাশের সারিতে হাতের বামে বসা নিলা নামের মেয়েটা আড়চোখে বার বার তাকাবে। ট্রেন যেতে যেতে ভিড়ে যাবে কোন অচেনা মফস্বলের ষ্টেশনে...। যে ষ্টেশনে নেমে দেখা পাওয়া যাবে ঠিক হারিয়ে যাওয়া কোন পুরানো জীবনের প্রতিচ্ছবিগুলো। যে প্রতিচ্ছবিগুলো আধুনিকতার নামে আমরা হারিয়ে ফেলেছি। হারিয়ে ফেলেছি শিহরণগুলো! নতুবা ‘শেষ রাতের ট্রেনে করে জীবনের দুঃস্মৃতিগুলোকে যদি কোন অচিন ষ্টেশনে পাঠিয়ে দেয়া যেত’! মনে কি পড়ে সেই খড়ের গাঁদায় লুটোপুটি খাওয়া দিনগুলির কথা! পাকা ইটে গাঁথা দালানের আগে সেই নড়বড়ে ভাঙ্গা ঘরের মায়া মমতার কথা? পাঠকের অকৃত্রিম ভালোবাসার উৎসাহে এই গল্প বই প্রকাশের প্রয়াস। আশা করি এই বইটি অনেকেরই ভাল লাগবে। লিখে যেতে চাই সে লেখা যা মানুষের মনে কিছুটা হলেও ছাপ ফেলে। এই গল্পের বইটাও আকুল মনের নিরন্তর প্রচেষ্টা। ব্যস্ততম এই যুগে যদি আমার লেখা কোন পাঠকের মনে বিন্দু মাত্র শিহরণ জাগাতে পারে সেটা আমার জন্য বিশাল প্রাপ্তি। যদিও বা ফেসবুকের যুগে এ চেষ্টা এখন অনেক কষ্টে পরিণীত হয়ে পড়েছে। তবে ইদানীং তরুণদের পাঠে আগ্রহ দেখে আবার আশার আলো দেখতে পাচ্ছি। আমার এই বই যদি কাউকে কিছুক্ষনের জন্য অন্য জগতে হারাতে পারে; তবে আমার সার্থকতা। আমাদের যাদের স্বপ্নের জগতে যাওয়ার সাধ্য নেই একটি গল্প অথবা একটি বই আমাদের সে সাধ পুরন করতে পারে। সবার প্রতি নিখাদ ভালোবাসা রইল। -কাজী সুলতানুল আরেফিন

Shesh Rater Train,Shesh Rater Train in boiferry,Shesh Rater Train buy online,Shesh Rater Train by Kazi Sultanul Arefin,শেষ রাতের ট্রেন,শেষ রাতের ট্রেন বইফেরীতে,শেষ রাতের ট্রেন অনলাইনে কিনুন,কাজী সুলতানুল আরেফিন এর শেষ রাতের ট্রেন,Shesh Rater Train Ebook,Shesh Rater Train Ebook in BD,Shesh Rater Train Ebook in Dhaka,Shesh Rater Train Ebook in Bangladesh,Shesh Rater Train Ebook in boiferry,শেষ রাতের ট্রেন ইবুক,শেষ রাতের ট্রেন ইবুক বিডি,শেষ রাতের ট্রেন ইবুক ঢাকায়,শেষ রাতের ট্রেন ইবুক বাংলাদেশে
কাজী সুলতানুল আরেফিন এর শেষ রাতের ট্রেন এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 128.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Shesh Rater Train by Kazi Sultanul Arefinis now available in boiferry for only 128.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন হার্ডকভার | ৪৮ পাতা
প্রথম প্রকাশ 2021-02-01
প্রকাশনী দাঁড়িকমা
ISBN:
ভাষা বাংলা

ক্রেতার পর্যালোচনা

কাজী সুলতানুল আরেফিন
লেখকের জীবনী
কাজী সুলতানুল আরেফিন (Kazi Sultanul Arefin)

কাজী সুলতানুল আরেফিন ১৯৮৪ সালের ১৭ই এপ্রিল ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার আওতাধীন পাঠাননগর ইউনিয়নের অন্তর্গত পূর্ব শিলুয়া গ্রামের ঐতিহ্যবাহী কাজী বাড়িতে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। মা-বাবাসহ দুই ভাই ও এক বোনের সংসারে তিনি বড়। লেখাপড়া সম্পন্ন করেছেন চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজ থেকে। শহরের আধুনিকতা ছেড়ে গ্রামের সবুজ সমারোহে মিশে যাওয়া এই লেখকের মন বারবার ছুটে যায় ফেলে আসা চট্টগ্রামে। তবুও লেখকের মতে গ্রামেই প্রশান্তি। দেশের জাতীয় দৈনিকগুলো দাপিয়ে বেড়ানো এই লেখকের একটি গল্প সঙ্কলন, ৩টি উপন্যাস ও ‘মেপে হাসুন চেপে হাসুন’ নামে রম্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। উল্লেখ্য ২০১৬ সালে প্রকাশিত রম্য উপন্যাস ‘আগুনি কমল’ ও ২০১৮ সালে প্রকাশিত কিশোর উপন্যাস ‘কমল ও পরীর দল’ বই দুটি পাঠক সমাজে ব্যাপক সাড়া ফেলে।

সংশ্লিষ্ট বই