খুব মেঘ করেছে জেনেও কিছু কিছু মানুষ পথে নামে--
এখানে কে সাথে যাবে,
কবে কে কথা দিয়েছিল
একই পথের একই রেখা হবে বলে;
অথবা ঘোর অপেক্ষা নিয়ে
তাঁরা বসে থাকে না।
তারা জানে--
হয়তো মাঝরাস্তা পর্যন্ত না যেতেই ঝড় উঠতে পারে।
হয়তো পথের ধুলোয় হারিয়ে যাবে খুব চেনা পথ;
তবুও তারা পথ থামতে জানে না!
বিষন্ন আকাশের পথে পথে তারাই তো মেঘ ছুঁয়ে বৃষ্টি নামায়,
তারাই তো শঙ্খচিল…
Shangkhachill,Shangkhachill in boiferry,Shangkhachill buy online,শঙ্খচিল,শঙ্খচিল বইফেরীতে,শঙ্খচিল অনলাইনে কিনুন,ইসমত আরা প্রিয়া এর শঙ্খচিল,9789849626008,Shangkhachill Ebook,Shangkhachill Ebook in BD,Shangkhachill Ebook in Dhaka,Shangkhachill Ebook in Bangladesh,Shangkhachill Ebook in boiferry,শঙ্খচিল ইবুক,শঙ্খচিল ইবুক বিডি,শঙ্খচিল ইবুক ঢাকায়,শঙ্খচিল ইবুক বাংলাদেশে,Shangkhachill by Ismot Ara priya
ইসমত আরা প্রিয়া এর শঙ্খচিল এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 160.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Shangkhachill by Ismot Ara priyais now available in boiferry for only 160.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন |
হার্ডকভার | ৮৮ পাতা |
প্রথম প্রকাশ |
2022-02-12 |
প্রকাশনী |
অন্যধারা |
ISBN: |
9789849626008 |
ভাষা |
বাংলা |
ক্রেতার পর্যালোচনা
1-4 থেকে 4 পর্যালোচনা
-
পর্যালোচনা লিখেছেন 'Tabirul Islam'
'আমাদের জীবনের সবচেয়ে অদ্ভুত বিষয় হলো বেচে থাকা। এই যে বেচে আছি, দিনের পর দিন এক দেয়ালে, এক খেয়ালে কত স্বপ্ন আবার কোথাও মেঘে ঢাকা এক বিষণ্ণ আকাশ। এখানে কেউ ছায়া হয় আবার কেউবা ছবি। মুহূর্তেই খুব চেনা মুখ কেমন পাল্টে মুখোশ! আশে পাশে এতো মানুষ, তবুও সবাই এত একা কেন!?
'আকাশে হাজার হাজার নক্ষত্র, তবুও মানুষ কত একা! পাশাপাশি দুটো মানুষ বসে আছে, এখানে কেউ যেন কারো না, কেউ কোনোদিন কারো ছিলই না। অথচ বুকের ভেতর কী গভীর ভালোবাসা! জীবন এমন ভয়ংকর রকমের অদ্ভুত কেন?
শঙ্খচিল! বিশাল আকাশে যে একাই বিচরণ করে। জীবন-আকাশের কোথাও না কোথাও আমরাও যেন নিঃসঙ্গ এক শঙ্খচিল!
—আসলে সত্যি বলতে, যে কোনো ভালো কিছু হোক না কেন, সেটা যদি মাপ কাঠি দিয়ে মাপা হয় তাহলে সেটার একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ মাপকাঠির প্রয়োজন হয়। কিন্তু কিছু ভালো লাগা বা কিছু সুন্দর জিনিসের মাপ করতে নেই, কারণ সেটা এতোটা সুন্দর যে মাপকাঠিতে নির্দিষ্ট করলে সেটাকে তুচ্ছ করা হয়।
— ঠিক তেমনি শঙ্খচিল বইটির বাস্তবতা, আবেগ বা ভালোলাগা যেটাই বলেন না কেন এর পরিমাণ কখনোই আমি মাপকাঠিতে নির্দিষ্ট করতে পারবো না। এবং লিখেও সেটার প্রকাশ করতে ব্যর্থ হবো।
তবে সংক্ষেপে এটুকু বলতে পারি বইটি আমার কাছে ভীষণ ভীষণ ভীষণ ভালো লেগেছে এবং সেই সাথে আমার নিজেকেই শঙ্খচিল বলে মনে হচ্ছে।।
ধন্যবাদ আপু Ismot Ara Priya 🥰🥰
এতো সুন্দর একটা বই পাঠকের জন্য লিখার জন্য।।
June 29, 2022
-
পর্যালোচনা লিখেছেন 'Tasnuba nusrat Tahi'
Yes
March 28, 2023
-
পর্যালোচনা লিখেছেন 'Tasnuba nusrat Tahi'
🍁প্রচ্ছদ ও নাম:-বইটির নাম বইটির কাহিনী,ভাবার্থ,মূল বিষয় সবটার মতোই সুন্দর।সম্পূর্ণ বইটি পড়লেই বুঝা যাবে প্রচ্ছদটা কাহিনীর মতোই সচ্ছ।যা দেখলেই মনে হবে এক চির অটুট বন্ধন।প্রতিটি পাতা উল্টানো গেলেই পুরো গল্প গুলো গভীর ভাবে দেখা যায়।সমস্ত বইয়ের ভাব যেনো নাম আর প্রচ্ছদের সাথে ভীষণ ভাবে সংশ্লিষ্ট।
🍁কাহিনী সংক্ষেপ:-আমাদের জীবনটা ক্ষণিকের নীড়।জীবনের এই ক্ষণিককালে আমরা সম্মুখীন হই নানা ঘাত-প্রতিঘাতের।জীবন ক্ষনে ক্ষনে বুঝিয়ে দেয় সে কতটা নির্মম,অসহনীয় যন্ত্রনার।বেঁচে থাকাটা জীবনের সবচেয়ে অদ্ভুত বিষয়।বেঁচে থাকার মাঝেই মরে যেতে যেতে ও রোজ বেঁচে থাকার প্রার্থনা চালিয়ে যাই আমরা।চারপাশটা যখন ভিষন ভাবে সংকীর্ণ হয়ে যায় তখনই হাঁপিয়ে উঠি আমরা।
তেমনি এক জীবনবোধের গল্প শঙ্খচিল।ঠিক গল্প ও না জীবনের বাস্তব রূপের ন্যায় শঙ্খচিলের প্রতিটি চরিত্র।কিন্তু শঙ্খচিলরা থেমে থাকে না।মানিয়ে নিয়েই চলতে থাকে তারা।
আতাউর সাহেব আর রোকসানা বেগমের মেয়ে বড় মেয়ের অরু।ছোট মেয়ে জেবু।বড় মেয়ে হওয়া সত্তে ও তার জীবনটা ছিলো এলোমেলো।অরু এক ভিন্ন চরিত্র।পড়তে পড়তে কোথাও যেয়ে মনে হবে অরু চরিত্রটা একদম বাস্তব দৃশ্যা।যা রোজ দেখি আমরা,প্রতিফলন ঘটে রোজ,তবু ও আমরা বুঝে উঠতে পারিনা অরুদের জীবনের মোড় গুলো।
অরু আর নবনী প্রধান চরিত্র।অরু ছাড়া নবনীর কেউ নেই।নবনীকে কেউ ভালোবাসে না।নবনীর জীবনটা ও বা কেনো এমন??কি ঘটেছিলো?
সহজ সাদামাটা জীবন নিয়ে যার বাস ছিলো সে হলো মোতাহের ভাই।জীবনের পরিস্থিতিকে সে হাঁসি মুখে বরণ করে নিতো।তাই বলেই কি মোতাহের ভাইয়ের পরিণতিটা এত করুণ?কোথায় আছে মোতাহের?
দিনশেষে অরু,নবনী একা।তাদের জীবন ছুঁতে পারেনি কেউ।শাহিদ,ফরহাদ,মিনহাজ নামের মানুষগুলো কেউ কোনো পারেনি অরু,নবনীর জীবনের আরেকটু আলো হতে.?মিনহাজ নামের মানুষের কাছে অরু ছিলো কবিতার মতো সুন্দর।এই ফুলের মতো,সুন্দরী মেয়েটার জীবন কেনো হয়েছিলো ছন্নছাড়া.?
রোকসানা বেগমের বোন রুনু।তার চরিত্রটা ভিষণ আলাদা।এক অন্য জগতের মানুষের মতো সে।রুনু আসলেই পুরো বাড়ি থমথমে।অরু,জেবুর মন খারাপ থাকে।রেনুর কেনোই বা এত সমস্যা অরুকে নিয়ে?
কি তার রহস্য..!?অরু,নবনী ভালো আছে তো?কি হয়েছিলো নিষ্পাপ মানুষ দুটোর জীবনে?অরুর কেনো মনে হয় মা হিসেবে সে ব্যার্থ?
সব প্রশ্নের উত্তর কেবল বইটি পড়লেই পাবেন।
🍁ব্যাক্তিগত মতামত:-একটা পরিবারের প্রায় সবাই যখন একটা মানুষের বিরুদ্ধে থাকে,তার ইচ্ছে গুলোর মূল্য দেয়না,তখন সেই মানুষটি বুঝে জীবনের স্বপ্নগুলো মিছে।তবুও,প্রতিনিয়ত সে স্বপ্ন দেখে।দিনশেষে সে একা,ভিষণ একা।
সমাজের সকল বাধাকে জয় করে যে এগিয়ে চলে সে অরু।অরু চরিত্রটা ভিষণ ভালো ছিলো।পাঠক মন জয় করবেই।ইন শা আল্লাহ!
বইটি পড়ে আসলেই একক রকম ভালো লাগা সৃষ্টি হয়েছে।প্রিয় বইয়ের মধ্যে একটি।পাঠক পড়া ছাড়া কখনোই উপলব্দি করতে পারবেনা বিষয় গুলো।বইয়ের কোয়ালিটি ও ভালো ছিলো।বাধাঁই,ছাপা সব মিলিয়ে পারফেক্ট।কিছু কিছু জিনিস খুব সুক্ষ,সাবলীল ভাবে তুলে ধরা হয়েছে।যা পাঠক প্রিয় হবে।
🍁প্রিয় লাইন:
(১)খুব মেঘ করেছে জেনেও কিছু কিছু মানুষ পথে নামে--
বিষন্ন আকাশের পথে পথে তারাই তো মেঘ ছুঁয়ে বৃষ্টি নামায়,
তারাই তো শঙ্খচিল..
(২)
মেয়েদের একটা সময় পর তাদের আর কোথাও যাওয়ার থাকেনা।
(৩)
কষ্ট কেবল যতক্ষণ নিজের মধ্যে থাকে ততক্ষণই তা গভীরভাবে অনুভূত হয়।
(৪)
মানুষ বরাবরই ভুল মানুষকে আপন ভাবে,ভুল মানুষের উপর ভরসা করে।বারবার কষ্ট পাবার পর ও ভুল মানুষটাকেই ভালোবাসে,তাকে নিয়েই স্বপ্ন বোনে।সবকিছু জেনেও বুক পেতে ক্ষতটাকে আগলে রাখে,এটাই মানুষের জন্মগত স্বভাব।
(৫)
মৃত্যু কেন এমন ভয়ংকর,কেন এভাবে সব কিছু হারিয়ে দেয়!কেন এত সহজেই স্বাভাবিকভাবে চলতে থাকা জীবনটাকে ও হঠাৎ স্মৃতি বানিয়ে দেয়।
(৬)
এই পৃথিবীতে সবচেয়ে অদ্ভুত হচ্ছে মানুষের ভালো লাগা।একেকজন মানুষের ভালো লাগা একেক রকম।
(৭)
আকাশে হাজার হাজার নক্ষত্র,তবুও মানুষ কত একা।পাশাপাশি দুটো মানুষ বসে আছে,এখানে কেউ যেনো কারো না,কেউ কোনোদিন কারো ছিলই না।অথচ বুকের ভেতর কি গভীর ভালোবাসা।জীবন এমন ভয়ংকর রকমের অদ্ভুত কেন!
(৮)
আমরা সবচেয়ে সহজে যা পারি তা হলো ভুলে যেতে।সারাজীবন কেউ কাউকে মনে রাখবে, এমন কোনো নিয়ম এ পৃথিবীতে নেই।তবে এমন একটা নিয়ম রাখা খুব জরুরি ছিল।জরুরি ছিল একটা ভালোবাসা মাপার যন্ত্র থাকার।কেন এমন কোনো নিয়ম নেই!যে কেউ কাউকে ভেতরে ভেতরে ভালোবেসে মরে যাচ্ছে তবুও যেনো কেউ দেখার নেই।কেনো এমন হবে!
June 29, 2022
-
পর্যালোচনা লিখেছেন 'Md Mohiuddin Nabil'
রেটিং: ৭/১০
চাইলেই আমি আরো ১ মার্ক যুক্ত করে গল্পটাকে এ প্লাস ক্যাটাগরীতে রাখতে পারতাম। তবু্ও পূর্ণ মার্ক দিতে না পেরে নিজের মধ্যে অপরাধবোধ কাজ করলেও অনুশোচনা হচ্ছেনা বিধায় মার্কটা দেওয়া হয়নি।
উপন্যাসটি লেখক তার মুখশ্রীর মতই যথাসম্ভব ফুটিয়ে তুলতে চেষ্টা করেছেন এবং আমার মনে হয় লেখক তার কর্মে সফল। কারণ, মা কে নিয়ে কোন লেখাই ব্যর্থ হতে পারেনা। "মা" একটি সফল শব্দ।
জীবন মাত্রই তুচ্ছ, যেন এই আছি এই নেই। এই পৃথিবীটাই একটা ক্ষনিকের নীড়। আর লেখক উপন্যাসে "ক্ষণিকের নীড়" নেমপ্লেট সংযুক্ত একটি পুরনো বাড়ীর গল্প তুলে ধরেছেন। যার মূল চরিত্র, আতাউর সাহেব, রোকসানা বেগম, অরু, জেবু, নবনী ও মোতাহের।
মূলত অরুর জীবন ও নবনীর বেড়ে উঠার নিয়ে গল্প এগুলেও গল্পটি মূলত প্রেম, প্রণয়, দুঃখ, কষ্ট আর মাতৃস্নেহের যুগলবন্দীর ফলে পরিপূর্ণতা পেয়েছে বলে আমি মনে করি।
উপন্যাসের মূল চরিত্র অরু হচ্ছে মা চরিত্রের একটি আদর্শ রূপ। কারণ, এই পৃথিবীতে সবাই সবার উপর কঠিন হতে পারে, মুহূর্তেই অস্বীকার করতে পারে সবকিছু। কিন্তু মা কখনো তার সন্তানকে অস্বীকার করতে পারেনা। যেমনটা হাজার প্রতিবন্ধকার ভিড়ে অরু নবনীকে অস্বীকার করেনি। বরং পৃথিবীর অন্য সবকিছু অস্বীকার করেছে নবনীর জন্য অরু।
গল্পে অরুর স্বামী ও নবনীর পিতা শাহেদ হলেও আমার মতে গল্পের নায়ক মোতাহের। কারণ লেখকের মতে, ভালোবাসা হবে নিশ্চুপ, খুব গভীর, খুব গোপন, নিঃস্বার্থ। ধরুন, কারো চোখে তাকিয়ে ডুবে মরে গেলেও বলা যাবে না, জানো আমি খুব তৃষ্ণার্ত। আবার অরু মেতোহের শেষ বিদায় বেলায় ও তার মুখ দেখেনি। কারণ, কিছু কিছু মুখ আছে, শেষবার দেখা যায় না। তার থেকে আর দেখা না হোক তবুও অরু জানবে সে কোথাও না কোথাও ঠিক বেঁচে আছে। তারপরও শেষবার দেখা হওয়ার মত যন্ত্রণা নিয়ে বিদায় জানানো খুব কঠিন।
গল্পে আতাউর সাহেব আর রোকসানা বেগমের চরিত্র এক অসহায় বাবা মায়ের রুপ হিসাবে তুলে ধরেছেন লেখক। যার শেষ উপলব্ধি লেখক আতাউর সাহেবে মুখের "আমাদের ভুলটা কী জানো রোকসানা? আমরা প্রায় সকল বাবা-মা মনে করি একটা মেয়ের বিয়ে মানেই সে সুখী। কিন্তু চার দেওয়ালের খবর আমরা কেউ রাখি না"" উক্তিটির মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন।
গল্পে জেবু চরিত্রটি ছিল খুবই সক্রিয়। জেবু চঞ্চলতার মাঝে হুট করে বিরহ নিয়ে অরুকে করা প্রশ্নগুলো গল্পে তার গুরত্ব বুঝিয়ে দিয়েছে।
- আপা এই পৃথিবীতে সবচেয়ে ভয়ংকর জিনিস কি জানিস?
- হুম জানি
- বলত কী?
- চেনা মানুষের অচেনা রূপ
- আচ্ছা আপা, মানুষ কেন রূপ বদলায় বলতে পারিস?
- হুম, প্রয়োজনে, স্বার্থে।
এছাড়াও লেখক তার গল্পের অপ্রধান চরিত্রগুলা সৃষ্টিতেও রেখেছে অনন্য সাহিত্যকর্মের পরিচয়। যার জ্বলন্ত উদাহরণ হচ্ছে রুনু খালার মত বাস্তবিক চরিত্র, মিনহাজ সাহেবের মত হুট করে আসা জীবনের কিছু মানুষ, আবার ফরহাদ সাহেবে মত সুন্দর একটি স্থায়ী সমাধান।
এই পৃথিবীতে আমরা কখনো নিজের জন্য বাঁচি না, আমাদের কাউকে না কাউকে ঘিরেই বাঁচতে হয়। অরু যেমন নবনীবে ঘিরে বাঁচার স্বপ্ন দেখে, ঠিক তেমনই ফরহাদ সাহেব গড়ে তুলুক অরুকে নিয়ে বেঁচে থাকার স্বর্গ রাজ্য।
অরুর জীবনে আর কখনো না আসুক শাহেদের মত কেউ। কারণ লেখক তার শেষ উক্তি ব্যবহার করেছেন, মেয়ে মানুষের জন্মই তার এক জনম কান্নার অসুখ।
June 29, 2022
লেখকের জীবনী
ইসমত আরা প্রিয়া (Ismot Ara priya)
তরুণ লেখক ইসমত আরা প্রিয়ার জন্ম কুষ্টিয়া জেলায়। পড়ালেখা করেছেন বাংলা সাহিত্যে। ভালোবাসেন বই।
সেই কিশোরীকাল থেকেই বিচিত্র সব ভাবনা লিখে রাখতে পছন্দ করেন। রাগ,অভিমান, ভালোবাসা- সব কিছুই
তিনি জমাতেন কাগজের পৃষ্ঠায়, ডায়েরিতে লেখালেখি তার কাছে সাধনা। সেই সাধনায় ব্রতী দীর্ঘদিন। লেখক
হয়ে ওঠার সাধনায় এগিয়ে যাচ্ছেন একটু একটু করে। ইতিমধ্যে প্রকাশিত কান্নাগুলোর প্রার্থনা;আওয়াজ
এবং তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের নিয়ে লেখা ;যাবজ্জীবন; শঙ্খচিল, বসন্ত ফিরে আসে উপন্যাস পাঁচটি পাঠক
সমাদৃত হয়েছে। এছাড়াও প্রকাশ পেয়েছে নীলপদ্ম’ নামে একটা কবিতার বই। নিজের অনুভূতিগুলোকে
শব্দশৈলীতে তুলে আনতে লিখছেন নিরন্তর। লেখালেখি নিয়েই কাটাতে চান বাকি জীবন।