মানুষের আশঙ্কা ছিল তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ পৃথিবীকে, এ মানব সভ্যতাকে ধ্বংস করে ফেলবে। এরপর পাঁচ পাঁচটি বিশ্বযুদ্ধ হয়ে গেল। মানুষ এখনাে টিকে আছে। তবে পৃথিবীতে নয় মহাশূন্যে! তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সম্ভাবনা থেকে মানুষ মহাশূন্যে বসবাসের পরিকল্পনা গ্রহণ করে। কয়েকটি দেশ এ কাজে সফলও হয়। কিন্তু মঙ্গল গ্রহসহ এর আশেপাশের কয়েকটা গ্রহে পর্যাপ্ত অক্সিজেন না থাকায় সেটা সম্ভব হয়নি। সপ্তম বিশ্বযুদ্ধের পর পৃথিবীর জল-স্থল বা ভূ-গর্ভস্থ কোথাও মানুষের বসবাসের জন্য কোনাে নিরাপদ স্থান অবশিষ্ট রইল না। ফলে তারা উঠে এলাে মহাশূন্যে। তারা হয়ে গেল পুরােপুরি মহাশূন্যচারী। মানুষ তৈরি করল, মহাশূন্যে ভাসমান ছােট ছােট শহর বায়ােড্রোম। সৌরশক্তি ব্যবহার করে তারা মহাশূন্যের বায়ুস্তরে ভেসে থাকে। এভাবে একটা শহরের সাথে আর একটা শহরকে জুড়ে তৈরি করা হয়েছে একটা কমিউনিটি শহর; যার নাম দেয়া হয়েছে নভােড্রোম। প্রতিটা বায়ােড্রোমের সাথে সাথে নভােদ্রোমেও রয়েছে একটা কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ। তাদের সম্মিলিত সিদ্ধান্তে পরিচালিত হয় মহাশূন্যস্ট্রেট নভােড্রোম। মূলত নভােড্রোম পরিচালনায় এর বিজ্ঞান পরিষদই মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে। নভােড্রোমের নির্বাহী পরিষদ শুধু বিজ্ঞান। পরিষদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে। প্রতিটা বায়ােড্রোমে খাবার আর পানির ভীষণ সংকট। ফলে মানুষ তাদের খাবার আর পানি সংগ্রহের জন্য যাযাবরের মতাে মহাশূন্য চষে বেড়ায়।