"সাড়ে তিন হাত ভূমি" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
১৯৭১ সাল। বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ চলছে। বর্ষাকাল। আগরতলায় ট্রেনিং নিয়ে একদল মুক্তিযােদ্ধা ঢুকেছেন বাংলাদেশে। এই দলে আছেন রবি। ঢাকায় গেরিলা অপারেশন শুরু হওয়ার আগে দুদিনের জন্য এসেছেন নিজেদের গ্রামে। বিকেলবেলা বাড়িতে ঢুকে দেখেন উঠোনে পড়ে আছে বাবার লাশ, বসার ঘরে মায়ের লাশ, বােনের লাশ তার ঘরে, সন্তান সম্ভবা স্ত্রীর লাশ পেছন দিককার উঠোনে। এই দেখে অনুভূতিহীন হয়ে যান রবি। এক সময় উঠোনে কবর খুঁড়তে শুরু করেন। যখন যার কবর খুঁড়ছেন, ঢুকে যাচ্ছেন তার স্মৃতির। ভেতর। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ‘সাড়ে তিন হাত ভূমি’ একেবারেই অন্য মাত্রার উপন্যাস।
Sare Tin Haat Vumi,Sare Tin Haat Vumi in boiferry,Sare Tin Haat Vumi buy online,Sare Tin Haat Vumi by Imdadul Haq Milan,সাড়ে তিন হাত ভূমি,সাড়ে তিন হাত ভূমি বইফেরীতে,সাড়ে তিন হাত ভূমি অনলাইনে কিনুন,ইমদাদুল হক মিলন এর সাড়ে তিন হাত ভূমি,9789849132967,Sare Tin Haat Vumi Ebook,Sare Tin Haat Vumi Ebook in BD,Sare Tin Haat Vumi Ebook in Dhaka,Sare Tin Haat Vumi Ebook in Bangladesh,Sare Tin Haat Vumi Ebook in boiferry,সাড়ে তিন হাত ভূমি ইবুক,সাড়ে তিন হাত ভূমি ইবুক বিডি,সাড়ে তিন হাত ভূমি ইবুক ঢাকায়,সাড়ে তিন হাত ভূমি ইবুক বাংলাদেশে
ইমদাদুল হক মিলন এর সাড়ে তিন হাত ভূমি এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 360.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Sare Tin Haat Vumi by Imdadul Haq Milanis now available in boiferry for only 360.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন |
হার্ডকভার | ২৭২ পাতা |
প্রথম প্রকাশ |
2015-02-01 |
প্রকাশনী |
অনন্যা |
ISBN: |
9789849132967 |
ভাষা |
বাংলা |
লেখকের জীবনী
ইমদাদুল হক মিলন (Imdadul Haq Milan)
১৯৫৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর বিক্রমপুরের মেদিনীমণ্ডল গ্রামে প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলনের জন্ম। লেখনীশক্তির পাশাপাশি তার রয়েছে নাট্যরচনায় পারদর্শিতা। বর্তমানে বাংলাদেশের মূলধারার সংবাদপত্র ‘কালের কন্ঠ’-এর সম্পাদক পদেও নিয়োজিত রয়েছেন তিনি। শিশুতোষ গল্প দিয়ে সাহিত্য অঙ্গনে এ গুণী লেখকের প্রবেশ, যা প্রকাশিত হয়েছিলো ‘কিশোর বাংলা’ নামক এক পত্রিকায়। তবে পাঠকের নজরে পড়েছিলেন ‘সজনী’ নামের ছোট গল্প লিখে। খুব অল্প বয়সে তিনি লেখালেখিকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। ফলে তার লেখার বিষয়বস্তুতে কোনো জটিল সমীকরণের দেখা মিলতো না, পাঠককে বিমল আনন্দ দেয়ার উদ্দেশ্যে প্রথমদিকে তিনি ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ বিষয়গুলোকে পরিহার করেছিলেন। তবে পরবর্তীতে ইমদাদুল হক মিলন এর বই সমূহ-তে মুক্তিযুদ্ধ, হাজাম সম্প্রদায়ের জীবন, প্রবাসী শ্রমিকদের দুঃখগাথা, পাটচাষী, গ্রাম বাংলার সমাজের এক নিখুঁত চিত্রও ফুটে উঠতে দেখা যায়। এ প্রসঙ্গে লেখকের বক্তব্য, তিনি নিজেই লেখার এরকম বিপরীতধর্মী দুটি ধরন আপন করে নিয়েছেন, আর এক্ষেত্রে তার অণুপ্রেরণা ছিলেন সমরেশ বসু। ইমদাদুল হক মিলন এর বই সমগ্র-তে স্থান পেয়েছে প্রায় দেড় শতাধিক নাটক এবং প্রায় দু’শো উপন্যাস। শিশুতোষ গল্প এবং ভৌতিক উপন্যাস রচনাতেও তার জুড়ি নেই। এই বৈচিত্র্যপূর্ণ সৃষ্টিশীলতার কারণে বাংলা উপন্যাস ইমদাদুল হক মিলন এর কাছে কৃতজ্ঞ। শুধু বাংলাদেশ না, পশ্চিমবঙ্গেও তার সমান জনপ্রিয়তা রয়েছে। দুই বাংলায় আলোড়ন সৃষ্টিকারী তার বহুল পঠিত উপন্যাস হলো ‘নূরজাহান’। এছাড়াও ইমদাদুল হক মিলন এর উপন্যাস সমগ্র বিভিন্ন পাঠকপ্রিয় উপন্যাসে ঠাসা। তাঁর কিছু উল্লেখযোগ্য উপন্যাস হলো ‘জিন্দাবাহার’, ‘নিঝুম নিশিরাতে’, ‘যাবজ্জীবন’, ‘কালাকাল’, ‘কালো ঘোড়া’, ‘ভূমিপুত্র’, ‘পরাধীনতা’, ‘কে’, ‘তাহারা’, ‘ভূতের নাম রমাকান্ত কামার’ ইত্যাদি। দেশি-বিদেশি নানা সম্মানজনক পুরস্কারের পাশাপাশি ২০১৯ সালে তিনি একুশে পদক পান।