ঋতু বৈচিত্রে মুখরিত বাংলার উদ্বোধনী ঋতু গ্রীষ্ম। গ্রীষ্মের আগমনের কারণ গ্রীষ্মকালীন মৌসুমী বায়ু। শুষ্ক বায়ু, প্রচণ্ড রােল, খরী, কালবৈশাখী, বজ্র, ঝড়-ঝাপটা গ্রীষ্মের চিরায়ত বৈশিষ্ট্য। বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ দুমাস জুড়ে গ্রীষ্মের অবস্থান। দক্ষের কন্যা বিশাখার নামানুসারে বাংলা সনের প্রথস মাসের নাম “বৈশাখ”। মােঘল সম্রাট আকবরের সময় রাজজ্যোতিষী আমির ফতেহউল্লাহ সিরাহি চান্দ্রমাসের সঙ্গে সৌরসনের সময়ে বাংলা সন প্রবর্তন করেন। তাই বর্ষতালিকায় বৈশাখ বাংলা সনের প্রথম মাস হিসেবে স্থীত্ব পায়। গ্রীষ্মকে উপলক্ষ করে কবি, সাহিত্যিকরা রচনা করেছেন অসংখ্য কবিতা, ছড়া ও পনি, লিখেছেন অসংখ্য লেখা। গ্রীমের প্রাকৃতিক দূর্যোগগুলাে যেমন-ঘূর্ণিঝড়, কালবৈশাখী, খরা আমাদের সতর্ক থাকতে সাহায্য করে। বাংলাদেশে বৈশাখকে বরণ করা হয় জাঁকজমকের সঙ্গে। বিশ্বকবি বৈশাখকে স্বাগত জানিয়ে লিখেছেন, “এসাে, এসাে, এসাে হে বৈশাখ", জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছেন, “তােরা সব জয়ধ্বনি কর, তােরা সব জয়ধ্বনি কর"। পৃথিবীতে বাংলাদেশেই কেবল স্বভুতু বিরাহমান। বৈশ্বিক কারণে ইদানীং ঋতুগুলাের স্থায়ীত্বে ও বৈশিষ্ট্যে হেরফের হচ্ছে। বাংলাভাষায় যারা কবিতা, ছড়া, গনি লিখেছেন ও লেখেন। প্রবীণ-নবীন মিলে প্রায় সকলের কবিতাই এ বইয়ে দেয়ার ইচ্ছে ছিল, সে চেষ্টাও করেছি। যাদের কবিতা, ছড়া ও গান এ বইয়ে দেয়া রয়েছে তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি এবং ঋণ স্বীকার করছি। যথেষ্ট মনােযােগ দিয়েই এ কাজটি করার চেষ্টা করা হলাে। তদুপরি কিছু ভুল-ত্রুটি থাকা অস্বাভাবিক নয়। কোনাে গুণী পাঠক, লেখক বা অনুসন্ধানী মানুষের দৃষ্টিতে কোনাে ত্রুটি চোখে পড়লে এবং জানালে পরবর্তী সংস্করণে কৃতজ্ঞতা প্রকাশান্তে সংশােধন করে দেয়ার চেষ্টা করা হবে। বইটি প্রকাশের দায়িত্ব নেয়ায় তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধি নালন্দা প্রকাশনীর কর্ণধার জনাব রেদওয়ানুর রহমান জুয়েলকে ধন্যবাদ।