কবির কবিতায় গল্পকারের গল্পে হৃদয়ের পরতে পরতে চিরদিন যে দোলা। দিয়ে যাচ্ছে সে আমার বাংলার আকাশ বাতাস মাটি ফুল ফসল, নদ-নদী, পাখ-পাখালী। এ দেশের কত রূপ, কত সােভা কত আনন্দ কত বিষাদ সবই আন্দোলিত করে চলেছে- চিরদিনের পথ পরিক্রমায়। দ্রাবির অনাৰ্য্য আর্যরা এ দেশে এসে এ দেশের মা-মাটির সাথে মিশে বাঙ্গালিত্বে একাকার হয়ে গেছে। তারা বাংলার মাটিকে ভালবেসে এখন বাংলার সব কিছুকেই নিজের করে ভাবে। আমরা তাদেরই উত্তরসূরী। যে দেশের মাটি হাজার বছরে লালন করেছে বাঙ্গালিত্ব তাদের ঘারে চেপে বসেছে বার বার বিদেশী শাসক গােষ্টি। কিন্তু বাঙ্গালিরা তা নিরবে হজম করে নাই। বার বার বিদ্রোহ করে তার স্বাধীনতা অর্জন করেছে। পূর্বকালে সুর পাঠান মুঘল এরা তল্কালীন ভারত বর্ষের খন্ড রাজ্যগুলি দখল করে একছত্র আধিপত্য বিস্তার করে শাসন করেছে শােষন করেছে। কিন্তু বাঙ্গলাকে স্থায়ীভাবে কোন দিনই শান্তিমত রাজত্ব করতে পারে নাই। বিদ্রোহী বাংলা চিরদিন বুকে বিদ্রোহের আগুন জ্বেলে বিদেশী শাসক কূলকে অস্থির করে রেখেছে। বাংলা বিহার উড়িষ্যার স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে পরাজিত করে ইংরেজরা এদেশে। দুশাে বছর রাজত্ব করেছে সত্য কিন্তু শত শত বিদ্রোহের মােকাবেলা করতে হয়েছে তাদেক। সর্বশেষে পাকিস্তান নামধারী শাসক গােষ্ঠি দীর্ঘ ২৩ বছর মিথ্যা ধর্মের দোহাই দিয়ে শােষনের বেড়া জালে আটকে রেখেছিল বাংলার স্বাধীনতা। প্রকৃত স্বাধীনতার যুদ্ধ সেই সময় থেকেই জ্ঞানীজনদের মাথায় চক্কর খেলছিল। তার মধ্যে সর্বকালের সর্ব শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান প্রকৃত স্বাধীনতার ডাক দিয়ে বাঙালি জাতিস্বত্তাকে আন্দোলিত করে এ দেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনে। দুই লক্ষ্য মা বােনের ইজ্জত, ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তে স্নাত এ বাংলার স্বাধীনতার পতাকা আজ তাই বাংলার আকাশে বাতাসে পতপত করে অড়ে। কী দুরান্ত সাহস কী