Loading...

রাশিয়ার চিঠি (হার্ডকভার)

স্টক:

১০০.০০ ৭৫.০০

একসাথে কেনেন

রাশিয়ায় অবশেষে আসা গেল। যা দেখছি আশ্চর্য ঠেকছে। অন্য কোনাে দেশের মতােই | মস্কো নয়। একেবারে মূলে প্রভেদ। আগাগােড়া সকল মানুষকেই এরা সমান করে জাগিয়ে তুলছে। চিরকালই মানুষের সভ্যতায় এক দল অখ্যাত লােক থাকে, তাদেরই সংখ্যা বেশি, তারাই বাহন; তাদের মানুষ হবার সময় নেই; দেশের সম্পদের উচ্ছিষ্টে তারা পালিত। সব চেয়ে কম খেয়ে, কম পরে, কম শিখে, বাকি সকলের পরিচর্যা করে; সকলের চেয়ে বেশি তাদের পরিশ্রম, সকলের চেয়ে বেশি তাদের অসম্মান। কথায় কথায় তারা উপােসে। মরে, উপরওয়ালাদের লাথি-ঝাটা খেয়ে মরে-জীবন-যাত্রার জন্য যত কিছু সুযােগ সুবিধে সব-কিছুর থেকেই তারা বঞ্চিত । তারা সভ্যতার পিলসুজ, মাথায় প্রদীপ নিয়ে খাড়া দাঁড়িয়ে থাকে—উপরের সবাই আলাে পায়,তাদের গা দিয়ে তেল গড়িয়ে পড়ে। আমি অনেক দিন এদের কথা ভেবেছি, মনে হয়েছে এর কোনাে উপায় নেই। এক দল তলায় না থাকলে আর-এক দল উপরে থাকতে পারে না, অথচ উপরে থাকার দরকার আছে। উপরে না থাকলে নিতান্ত কাছের সীমার বাইরে কিছু দেখা যায় না; কেবলমাত্র জীবিকানির্বাহ করার জন্যে তাে মনুষ্যত্ব নয়। একান্ত জীবিকাকে অতিক্রম করে তবেই তার সভ্যতা। সভ্যতার সমস্ত শ্রেষ্ঠ ফসল অবকাশের ক্ষেত্রে ফলেছে। মানুষের সভ্যতায় এক অংশে অবকাশ রক্ষা করার দরকার আছে। তাই ভাবতুম, যেসব মানুষ শুধু অবস্থার গতিকে নয়, শরীর-মনের গতিকে নীচের তলায় কাজ করতে বাধ্য এবং সেই কাজেরই যােগ্য, যথাসম্ভব তাদের শিক্ষা-স্বাস্থ্য, সুখ-সুবিধার জন্যে চেষ্টা করা উচিত। মুশকিল এই, দয়া করে কোনাে স্থায়ী জিনিস করা চলে না; বাইরে থেকে উপকার করতে গেলে পদে পদে তার বিকার ঘটে। সমান হতে পারলে তবেই সত্যকার সহায়তা। সম্ভব হয়। যাই হােক, আমি ভালাে করে কিছুই ভেবে পাই নি-অথচ অধিকাংশ মানুষকে তলিয়ে রেখে, অমানুষ করে রেখে, তবেই সভ্যতা সমুচ্চ থাকবে, এ কথা অনিবার্য বলে মেনে নিতে গেলে মনে ধিক্কার আসে। | ভেবে দেখাে-না, নিরন্ন ভারতবর্ষের অন্নে ইংলণ্ড পরিপুষ্ট হয়েছে। ইংলণ্ডের অনেক লােকেরই মনের ভাব এই যে, ইংলণ্ডকে চিরদিন পােষণ করাই ভারতবর্ষের সার্থকতা। ইংলণ্ড বড়াে হয়ে উঠে মানবসমাজে বড়াে কাজ করছে, এই উদ্দেশ্য সাধনের জন্যে চিরকালের মতাে একটা জাতিকে দাসত্বে বদ্ধ করে রেখে দিলে দোষ নেই। এই জাতি যদি কম খায়, কম পরে তাতে কী যায় আসে? তবুও দয়া করে তাদের অবস্থার কিছু উন্নতি করা উচিত এমন কথা তাদের মনে জাগে। কিন্তু একশাে বছর হয়ে গেল, না পেলুম শিক্ষা, না পেলুম স্বাস্থ্য, না পেলুম সম্পদ।
Russiar Cithi,Russiar Cithi in boiferry,Russiar Cithi buy online,Russiar Cithi by Rabindranath Tagore,রাশিয়ার চিঠি,রাশিয়ার চিঠি বইফেরীতে,রাশিয়ার চিঠি অনলাইনে কিনুন,রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর রাশিয়ার চিঠি,97898490301157,Russiar Cithi Ebook,Russiar Cithi Ebook in BD,Russiar Cithi Ebook in Dhaka,Russiar Cithi Ebook in Bangladesh,Russiar Cithi Ebook in boiferry,রাশিয়ার চিঠি ইবুক,রাশিয়ার চিঠি ইবুক বিডি,রাশিয়ার চিঠি ইবুক ঢাকায়,রাশিয়ার চিঠি ইবুক বাংলাদেশে
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর রাশিয়ার চিঠি এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 77.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Russiar Cithi by Rabindranath Tagoreis now available in boiferry for only 77.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন হার্ডকভার | ৭৯ পাতা
প্রথম প্রকাশ 2014-02-01
প্রকাশনী আফসার ব্রাদার্স
ISBN: 97898490301157
ভাষা বাংলা

ক্রেতার পর্যালোচনা

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
লেখকের জীবনী
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore)

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন একাধারে ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, ছোটগল্পকার, চিত্রশিল্পী, সংগীতস্রষ্টা, অভিনেতা, কন্ঠশিল্পী, কবি, সমাজ-সংস্কারক এবং দার্শনিক। গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য প্রথম বাঙালি হিসেবে ১৯১৩ সালে তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার লাভ করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৬১ সালের ৭ মে তৎকালীন ব্রিটিশ-শাসিত ভারতে কলকাতার ধনাঢ্য ও সংস্কৃতিমনা জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব থেকেই তিনি লেখালেখিতে মনোনিবেশ করেন। ভানুসিংহ ঠাকুর ছিল তাঁর ছদ্মনাম। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর বই মানেই এক মোহের মাঝে আটকে যাওয়া, যে মোহ পাঠককে জীবনের নানা রঙের সাথে পরিচিত করিয়ে দেয় নানা ঢঙে, নানা ছন্দে, নানা সুর ও বর্ণে। তাঁর ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮টি নাট্যগ্রন্থ, ১৩টি উপন্যাস, ৩৬টি প্রবন্ধ ও অন্যান্য গদ্যসংকলন জীবদ্দশায় বা মৃত্যুর কিছুদিন পরই আলোর মুখ দেখে। কাবুলিওয়ালা, হৈমন্তী, পোস্টমাস্টারসহ মোট ৯৫টি গল্প স্থান পেয়েছে তাঁর ‘গল্পগুচ্ছ’ গ্রন্থে। অন্যদিকে ‘গীতবিতান’ গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে ১,৯১৫টি গান। উপন্যাস, কবিতা, সঙ্গীত, ছোটগল্প, গীতিনাট্য, প্রবন্ধ, ভ্রমণকাহিনীসহ সাহিত্যের সকল শাখাই যেন ধারণ করে আছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর বই সমূহ। তিনি একাধারে নাট্যকার ও নাট্যাভিনেতা দুই-ই ছিলেন। কোনো প্রথাগত শিক্ষা ছাড়া তিনি চিত্রাংকনও করতেন। তৎকালীন সমাজ-সংস্কারেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন এই গুণী ব্যক্তিত্ব। বিশ্বের বিভিন্ন ভাষাতেই অনূদিত হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর বই সমগ্র। তাঁর যাবতীয় রচনা ‘রবীন্দ্র রচনাবলী’ নামে ত্রিশ খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে। ১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট জোড়াসাঁকোর বাড়িতেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুর পর এতদিন পেরিয়ে গেলেও তাঁর সাহিত্যকর্ম আজও স্বমহিমায় ভাস্বর। আজও আমাদের বাঙালি জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রেখেছে বিশ্বকবির সাহিত্যকর্ম।

সংশ্লিষ্ট বই