Loading...

রমাদানের খুশবু প্যাকেজ (পেপারব্যাক)

লেখক: মিজানুর রহমান আজহারি, লেখক: আব্দুল হাই মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ, লেখক: শায়খ আহমাদুল্লাহ

বিষয়: প্যাকেজ
স্টক:

১২৬৫.০০ ৯৫৬.০০

একসাথে কেনেন

হায়াতের দিন ফুরোলে

সবকিছু ফুরিয়ে আসে, মুছে যায় সব রঙ। সমাপ্তির পথে ধাবিত হয় সব আয়োজন। ক্ষয়িষ্ণুতাই হলো দুনিয়ার পরম বাস্তবতা। সব গতি ধীর হয়ে আসে, ক্ষীণ হয়ে আসে সব সুর, ম্লান হয় আলোর উজ্জ্বল রোশনিটুকুও। জীবনের পরিণতিও একই—একদিন অকস্মাৎ বেজে যায় বিদায়ের ঘণ্টা। সত্যি সত্যি ফুরিয়ে যায় হায়াতের দিন।

এই কঠিন এবং অলঙ্ঘনীয় পরিণতি দুয়ারে এসে দাঁড়ানোর আগে, আমরা যদি গুছিয়ে নিতে পারি মহাকালের মহাযাত্রার সম্বল, যদি লাভ করতে পারি সুমহান রবের সন্তুষ্টি—তবেই সার্থক একটা মানবজীবন। দুনিয়া হয়তো আমাদের বিস্মৃত হবে, কিন্তু আসমানে আমাদের অভ্যর্থনা জানানো হবে অপার্থিব আয়োজনে। সেই জীবনের দিকে যারা আপনাকে আহ্বান জানায়, নিঃসন্দেহে তারাই আপনার প্রকৃত শুভাকাঙ্খী। হায়াতের দিন ফুরোলে বইটিও আপনার শুভাকাঙ্খীদের দলে নাম লেখাতে চায়...।

জেগে ওঠো আবার

কত মেঘ, কত রং, আর কত জোছনা। কুরআনের নান্দনিকতা ব্যাখ্যা করার জন্য এ বাক্যটি কতটা যুতসই? না, কুরআনকে আসলে সংজ্ঞার ফ্রেমে বাঁধা যায় না। এ এক মহা বিস্ময়ের নাম।
আচ্ছা, কুরআনকে নানা দৃষ্টিভঙ্গি থেকে পড়ার ইচ্ছে কি কখনো উঁকি দিয়েছে আপনার মনে? মানে, কুরআনের ভাষাগত সৌন্দর্য, ব্যাকরণের সাত-সতেরো, আগের যুগের ইমামদের ব্যাখ্যা—কিংবা আধুনিক যুগের আয়নায় কুরআন পাঠ, এমন শত আকাঙ্ক্ষা ভর করেছে কখনো আপনার মাথায়? কুরআন কি হিউম্যান সাইকোলজি নিয়ে কথা বলে? কুরআন কি মানুষের প্রাত্যহিক একেবারে খুবই আটপৌরে বিষয় নিয়েও কথা বলে?
আচ্ছা, কুরআন নিয়েও কি গল্প করা যায়? এমন প্রশ্ন নিশ্চয়ই আপনার মনে হামেশাই ঘুরপাক খায়। আপনার এই সবগুলো প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন ‘জেগে ওঠো আবার’ বইটির পাতা ওলটালে। ঝরঝরে বাংলায়, অনেকটা সাহিত্যের ঢঙয়ে কুরআনকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে শত দৃষ্টিকোণ থেকে। বইটি পড়ার পর জ্যামে আটকে থাকা বাসে বসেও আপনি টের পাবেন—কুরআন আপনার সাথে কথা বলছে। অলস দুপুরে পুকুর ঘাটে বসেও আপনি অনুভব করবেন—কে যেন আপনার কানে কানে কুরআনের কথা শুনিয়ে যাচ্ছে।
জীবনের সাথে যদি কুরআনকে একাকার করে ফেলতে চান, যদি জীবনটা সাজাতে চান কুরআনের ছন্দ-সূত্র বা মূলনীতি মেনে, তাহলে আর এক পলকও দেরি নয়। খাটের কোণায় একটা সোনালি আলোর ল্যাম্প জ্বেলে, বালিশে হেলান দিয়ে ডুব দিন ‘জেগে ওঠো আবার’-এর রহস্য অরণ্যে—সেথায় কখনো মেঘ, কখনো রদ্দুর, আর কখনো-বা জোছনা ফোটে।

জীবনের আয়নায়

নির্মল একটি জীবন চাই আমরা সবাই। যেখানে হতাশা আর গ্লানির কোনো ঠাঁই নেই। আছে পরিচ্ছন্ন অন্তর, পারিবারিক সৌন্দর্য ও জীবনকে দেখার সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি। এমন একটি জীবন গঠনের পথ ও পাথেয় সন্ধান দিবে এ বইটি। বইটির পাতায় পাতায় লেখক নতুন প্রজন্মের ভাই-বোনদের উপযোগী করে অনেক বোধ-উপলব্ধি ভাগাভাগি করেছেন। খানিক পরপরই উপভোগ্য গল্পের ভেতর থেকে তুলে ধরেছেন জীবনঘনিষ্ঠ শিক্ষা। বইটি পড়তে গিয়ে মনে হবে আপনি যেন একটি আয়নার সামনে বসে নিজের জীবনযাত্রাকে দেখতে পাচ্ছেন।

তারাবীহর সালাতে কুরআনের বার্তা

মানব জাতির প্রতি আল্লাহর সবচে বড় অনুগ্রহগুলোর একটি হলো কুরআনুল কারীম। কুরআন আমাদের পথপ্রদর্শক। কুরআন আমাদের অন্ধকার থেকে আলোর পথে চালিত করার দিকনির্দেশক। কুরআন সত্যিকারের উন্নতি-অগ্রগতির মাধ্যম। কুরআনের সাথে নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন করা মুমিনের কর্তব্য। প্রতিদিন কুরআনের জন্য কিছু সময় বরাদ্দ রাখা আমাদের জরুরি দায়িত্ব। অথচ আমাদের বেশিরভাগ মানুষের কুরআনের সাথে দূরতম সম্পর্কও নেই।

রমাদান কুরআন নাযিলের মাস। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমাদানে জিবরীলের সাথে কুরআন শোনাশুনি করতেন। আমরা অনেকে রমাদানে কুরআন তিলাওয়াত করি, খতম দিই। তবে সবচেয়ে বেশি কুরআনের সান্নিধ্য লাভ হয় তারাবীহতে। তারাবীহতে কুরআনের হাফেজদের সুললিত কণ্ঠের তিলাওয়াত আমাদেরকে মুগ্ধ করে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো, তারাবীহর তিলাওয়াতে আল্লাহর কালাম আমাদেরকে কী নির্দেশনা দেয়, তা খুব কম মানুষই বুঝতে পারেন। তারাবীহর সালাতে কুরআনের বার্তা বইটি সে অভাবমোচনের প্রয়াস মাত্র। আমরা যদি তারাবীহর তিলাওয়াতের মাধুর্য উপভোগের পাশাপাশি মর্মও অনুধাবন করতে পারি, উপলব্ধি করতে পারি আল্লাহর বার্তাগুলো— তাহলে আমাদের তারাবীহ পরম অর্থবহ এবং অত্যন্ত তৃপ্তিদায়ক হয়ে উঠবে।

আমাদের দেশে প্রায় সব মসজিদে সাতাশ তারাবীহতে কুরআন খতমের প্রচলন আছে। সে হিসেবে প্রতিদিনের তারাবীহতে পঠিতব্য অংশের ঘটনাবলি, ঈমান-আকীদা, আদেশ-নিষেধ, হালাল-হারাম, দৃষ্টান্ত, দোয়া এবং গুরুত্বপূর্ণ আয়াতসমূহের নির্যাস তুলে ধরা হয়েছে এই বইয়ে। এ ছাড়াও আজকের শিক্ষা নামে সংশ্লিষ্ট পারার গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষনীয় বিষয়গুলো তুলে আনা হয়েছে। তারবীহর সালাতে যাওয়ার আগে অথবা পরে যদি সেদিনের তারাবীহর পঠিতব্য অংশ কেউ নিয়মিত পড়তে পারেন, আশা করা যায়, মাস শেষে তিনি পুরো কুরআন সম্পর্কে একটা ধারণা পেয়ে যাবেন। শুধু রমাদানই নয়, রমাদানের বাইরেও কুরআনের সারমর্ম অনুধাবন ও কুরআনের সাথে নিবিড় সম্পর্ক তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই বই, ইনশাআল্লাহ।
মহান আল্লাহ আমাদের ভুল-বিচ্যুতি ক্ষমা করে বইটিকে উপকারী এবং আমাদের নাজাতের মাধ্যম হিসেবে কবুল করুন। আমীন।

রমাদান প্ল্যানার (২০২৪ সংস্করণ)

সাইজঃ 6.8×9.4 inchএই প্লানারে রয়েছে রমাদান মাসব্যাপী আত্মশুদ্ধি পূর্ণ পরিকল্পনা। প্ল্যানারটির উল্লেখযোগ্য কিছু অংশ হলো দিনের আয়াত, দিনের হাদিস, দিনের দুআ, দৈনিক চেকলিস্ট। এছাড়াও রয়েছে আল্লাহর গুণবাচক নাম ও প্রতিদিনের কাজ। ফলে পাঠক খুব সহজেই প্রতিদিন একটি করে কুরআনের আয়াত, একটি হাদিস এবং একটি করে দুআ মুখস্ত করতে পারবেন। কোন কাজটা কখন করবেন, পাঠক তার সময়ানুযায়ী খুব সহজেই তা ভাগ করে নিতে পারবেন। এছাড়া এতে রয়েছে সালাত ট্র্যাকার, কুরআন ট্র্যাকার, প্রতিদিনের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তিসমূহ ট্রাক করার সুযোগ সহ আরও অনেক কিছু।

আসন্ন রমাদানকে স্বার্থক করতে আজই অর্ডার করুন রারমাদান প্ল্যানার।
Ramadaner Khushbu Package,Ramadaner Khushbu Package in boiferry,Ramadaner Khushbu Package buy online,Ramadaner Khushbu Package by Arif Azad,Ramadaner Khushbu Package Ebook,Ramadaner Khushbu Package Ebook in BD,Ramadaner Khushbu Package Ebook in Dhaka,Ramadaner Khushbu Package Ebook in Bangladesh,Ramadaner Khushbu Package Ebook in boiferry,রমাদানের খুশবু প্যাকেজ,রমাদানের খুশবু প্যাকেজ বইফেরীতে,রমাদানের খুশবু প্যাকেজ অনলাইনে কিনুন,আরিফ আজাদ এর রমাদানের খুশবু প্যাকেজ,রমাদানের খুশবু প্যাকেজ ইবুক,রমাদানের খুশবু প্যাকেজ ইবুক বিডি,রমাদানের খুশবু প্যাকেজ ইবুক ঢাকায়,রমাদানের খুশবু প্যাকেজ ইবুক বাংলাদেশে
আরিফ আজাদ এর রমাদানের খুশবু প্যাকেজ এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 956.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Ramadaner Khushbu Package by Arif Azadis now available in boiferry for only 956.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন পেপারব্যাক | ৬৫৮ পাতা
প্রথম প্রকাশ 2024-03-06
প্রকাশনী বইফেরী কালেকশন
ISBN:
ভাষা বাংলা

ক্রেতার পর্যালোচনা

আরিফ আজাদ
লেখকের জীবনী
আরিফ আজাদ (Arif Azad)

আরিফ আজাদ আরিফ আজাদ একজন জীবন্ত আলোকবর্তিকা- লেখক আরিফ আজাদকে বর্ণনা করতে গিয়ে একথাই বলেছেন ডঃ শামসুল আরেফিন। গার্ডিয়ান প্রকাশনী আরিফ আজাদের পরিচয় দিতে গিয়ে লিখেছে, “তিনি বিশ্বাস নিয়ে লেখেন, অবিশ্বাসের আয়না চূর্ণবিচুর্ণ করেন।” আরিফ আজাদ এর বই মানেই একুশে বইমেলায় বেস্ট সেলার, এতটাই জনপ্রিয় এ লেখক। সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের সাহিত্য অঙ্গনে সবচেয়ে আলোড়ন তোলা লেখকদের একজন আরিফ আজাদ। ১৯৯০ সালের ৭ই জানুয়ারি চট্টগ্রামে জন্ম নেয়া এ লেখক মাধ্যমিক শিক্ষাজীবন শেষ করে চট্টগ্রাম জিলা স্কুলে। একটি সরকারি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং সেখানে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করেন। লেখালেখির ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই আরিফ আজাদ এর বই সমূহ পাঠক মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলে। তার প্রথম বই ‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ’ ২০১৭ সালের একুশে বইমেলায় প্রকাশ পায়। বইটির কেন্দ্রীয় চরিত্র সাজিদ বিভিন্ন কথোপকথনের মধ্যে তার নাস্তিক বন্ধুর অবিশ্বাসকে বিজ্ঞানসম্মত নানা যুক্তিতর্কের মাধ্যমে খণ্ডন করে। আর এসব কথোপকথনের মধ্য দিয়েই বইটিতে অবিশ্বাসীদের অনেক যুক্তি খণ্ডন করেছেন লেখক। বইটি প্রকাশের পরপরই তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। এটি ইংরেজি ও অসমীয়া ভাষায় অনূদিতও হয়েছে। ২০১৯ সালের একুশে বইমেলায় ‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ - ২’ প্রকাশিত হয়ে এবং এটিও বেস্টসেলারে পরিণত হয়। সাজিদ সিরিজ ছাড়াও আরিফ আজাদ এর বই সমগ্রতে আছে ‘আরজ আলী সমীপে’ এবং ‘সত্যকথন’ (সহলেখক) এর মতো তুমুল জনপ্রিয় বই।

সংশ্লিষ্ট বই