Loading...

প্রবন্ধ-সংগ্রহ (হার্ডকভার)

স্টক:

৭৫০.০০ ৬০০.০০

একসাথে কেনেন

প্রায় এক শতাব্দীর প্রতিনিধি ডক্টর কাজী মোতাহার হোসেন (১৮৯৭-১৯৮১) ছিলেন মুক্তমানসের প্রতীক এক স্মরণীয় বাঙালি। তাঁর প্রতিভা নানাভাবে প্রকাশ লাভ করেছিল। ছিলেন আদর্শ শিক্ষক, জিজ্ঞাসু বিজ্ঞাসসাধক, ওস্তাদ দাবাড়ু, সঙ্গীত-সমঝদার, মুক্ত-মন বুদ্ধিজীবী, কুশলী সংগঠক এবং নিষ্ঠ সাহিত্যসেবী। ঢাকা ‘মুসলিম সাহিত্য সমাজ’ এর উদ্যোগে যে বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন গড়ে ওঠেছিল, তিনি ছিলেন তার অন্যতম নেতৃপুরুষ। একটি সংস্কারমুক্ত আধুনিক প্রগতিবাদী সমাজ গড়ে তোলাই ছিল এই প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। এই প্রতিষ্ঠানের সূত্রে যে পেয়েছিলেন, তাঁর প্রতিফলন আছে তাঁর জীবনচর্যা ও রচনায় বিশেষ করে প্রবন্ধাবলিতে। সাহিত্যচর্চায় তাঁর মূল পরিচয় সমাজভাবুক মননশীল প্রাবন্ধিক হিসেবেই চিহিৃত। তাঁর প্রথম বই, প্রবন্ধসংকলন ‘সঞ্চরণ’, ঢাকা থেকে ১৯৩৭-এ প্রকাশিত হয়। রবীন্দ্রনাথে এই বইয়ের ‘স্বচ্ছ প্রাঞ্জল ভাষা’, ‘বলবার সাহস’ ও ‘চিন্তার স্বকীয়তা’র প্রশংসা করেছিলেন। জানা যায়, প্রমথ চৌধুরী, কাজী আব্দুল ওদুদের মতো ধ্রুপদী-প্রাবন্ধিকদেরও সমাদর পেয়েছিল বইটি। ‘সঞ্চরণ’ এর পর দীর্ঘ ব্যবধানে প্রকাশ পায় তাঁর ‘নির্বাচিত প্রবন্ধ’র প্রথম খণ্ড (জুন ১৯৭৬)। তাঁর মৃত্যুর পর বাংলা একাডেমী থেকে চার খণ্ডে প্রকাশিত হয় ‘কাজী মোতাহার রচনাবলী’ (ডিসেম্বর ১৯৮৪). ডিসেম্বর ১৯৮৬, মে ১৯৯২, জুন ১৯৯২)। ‘রচনাবলীতে বেশকিছু অপ্রকাশিত অগ্রন্থিত রচনা সংকলিত হয়, তবে এর বাইরেও থেকে যায় অনেক বাংলা ইংরেজী রচনা। মোতাহার হোসেন তাঁর প্রবন্ধচর্চার প্রেরণার পটভূমির কথা এবং সেইসঙ্গে প্রবন্ধের বিষয় প্রকরণ ও উদ্দেশ্য লক্ষ্য সম্পর্কে উল্লেখ করেছেন : ‘বস্তুতঃ সমাজে সংস্কৃতি , শিল্প ও ধর্ম নিয়ে বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় ও তৃতীয় দশকে বাঙালী মুসলামন সমাজে যে নতুন চিন্তার উদ্‌গম হয় নব জাগরণের সেই চিন্তার ধ্বনি আমাদের সকলের চিন্তায় আশ্রয় গ্রহণ করে। আমার অনেকগুলো প্রবন্ধে সেই মানসিকতার ছাপ রয়ে গেছে। বর্তমান ‘প্রবন্ধ-সংগ্রহটি প্রকাশশের মূল উদ্দেশ্য মোতাহার হোসেনের ১১০ তম জন্মবর্ষে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন। নামকরণে ‘নির্বাচিত’ শব্দটি না থাকলেও এক অর্থে এটি তাঁর নির্বাচিত প্রবন্ধের সংকলনই। মোতাহার হোসেন নানা বিষয়ে যে সব প্রবন্ধ বা প্রবন্ধধর্মী রচনা লিখেছিলেন তা থেকে বিষয়-বৈচিত্র্য ও ভাষা-বৈশিষ্ট্যকে প্রাধাণ্য দিয়ে প্রবন্ধগুলো নির্বাচন করা হেয়ছে। এই ‘প্রবন্ধ-সংগ্রহে’র সংকলন-সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেছেন প্রফেসর ড. আবুল আহসান চৌধুরী, কাজী মোতাহার হোসেন -চর্চায় যাঁর আগ্রহের স্বাক্ষর মুদ্রিত রয়েছে নানা প্রয়াসে। ‘প্রবন্ধ সংগ্রহ’ নামে সংকলিত প্রবন্ধগুচ্ছে কাজী মোতাহার হোসেনের বিচিত্র আগ্রহ, মানসতা ও সন্ধিৎসার পরিচয় যেমন , পাশাপাশি তাঁর চিন্তা-চেতনার মৌল প্রবণতা ও প্রকৃত স্বরূপটির প্রতিফলনও লক্ষ করা যাবে।
Probondho Somogro,Probondho Somogro in boiferry,Probondho Somogro buy online,Probondho Somogro by Kazi Motahar Hossain,প্রবন্ধ-সংগ্রহ,প্রবন্ধ-সংগ্রহ বইফেরীতে,প্রবন্ধ-সংগ্রহ অনলাইনে কিনুন,কাজী মোতাহার হোসেন এর প্রবন্ধ-সংগ্রহ,9848401326,Probondho Somogro Ebook,Probondho Somogro Ebook in BD,Probondho Somogro Ebook in Dhaka,Probondho Somogro Ebook in Bangladesh,Probondho Somogro Ebook in boiferry,প্রবন্ধ-সংগ্রহ ইবুক,প্রবন্ধ-সংগ্রহ ইবুক বিডি,প্রবন্ধ-সংগ্রহ ইবুক ঢাকায়,প্রবন্ধ-সংগ্রহ ইবুক বাংলাদেশে
কাজী মোতাহার হোসেন এর প্রবন্ধ-সংগ্রহ এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 600.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Probondho Somogro by Kazi Motahar Hossainis now available in boiferry for only 600.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন হার্ডকভার | ৬৭৯ পাতা
প্রথম প্রকাশ 2007-07-01
প্রকাশনী নবযুগ প্রকাশনী
ISBN: 9848401326
ভাষা বাংলা

ক্রেতার পর্যালোচনা

কাজী মোতাহার হোসেন
লেখকের জীবনী
কাজী মোতাহার হোসেন (Kazi Motahar Hossain)

পৈতৃক বাড়ি ফরিদপুর জেলার পাংশা উপজেলার বাগমারা গ্রামে। তবে তার জন্ম কুষ্টিয়া (তখনকার নদীয়া) জেলার কুমারখালি থানার লক্ষ্মীপুর গ্রামে তাঁর মামাবাড়িতে ১৮৯৭ সালের ৩০ জুলাই। তাঁর পিতা কাজী গওহরউদ্দীন আহমদ ছিলেন সেটেলমেন্টের আমিন। মায়ের নাম তাসিরুন্নেসা। শৈশব কাটিয়েছেন ফরিদপুরের বাগমারায়। ১৯২১ সালে এম. এ শ্রেণিতে অধ্যয়নকালীন সময়ে কলকাতার তালতলা নিবাসী মোহাম্মদ ফয়েজুর রহমানের কন্যা সাজেদা খাতুনের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। তাঁদের সংসারে চার পুত্র ও সাত কন্যা ছিল। তন্মধ্যে - সনজীদা খাতুন, ফাহমিদা খাতুন, মাহমুদা খাতুন, কাজী আনোয়ার হোসেন, কাজী মাহবুব হোসেন প্রমুখ রয়েছেন। কাজী মোতাহার হোসেনের শিক্ষাজীবন শুরু হয় কুষ্টিয়াতেই। মেধাবি ছাত্র হিসাবে বৃত্তি নিয়ে ১৯০৭ সালে নিম্ন প্রাইমারি ও ১৯০৯ সালে উচ্চ প্রাইমারি পাশ করেন। ১৯১৫ সালে Kushtia Muslim High School থেকে মেট্রিক পরীক্ষা পাস করে ভর্তি হন কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে। এখানে তিনি শিক্ষক হিসেবে পান প্রফুল্ল চন্দ্র রায়কে। ১৯১৭ সালে রাজশাহী কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। ১৯১৯ সালে ঢাকা কলেজ থেকে পদার্থবিজ্ঞানে অনার্সসহ বিএ পরীক্ষায় বাংলা ও আসাম জোনে প্রথমস্থান অর্জন করে মাসিক ৩০ টাকা বৃত্তিলাভ করেন। ঢাকা কলেজে তার শিক্ষকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন ওয়াল্টার অ্যালেন জেনকিন্স, পদ্মভূষণ ভূপতি মোহন সেন, ১৯২১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ঢাকা কলেজ থেকে পদার্থবিজ্ঞানে দ্বিতীয় শ্রেণিতে প্রথম স্থান নিয়ে এমএ পাশ করেন। উল্লেখ্য, সেবছর কেউ প্রথম শ্রেণি পান নি। ১৯৩৮ সালে ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট থেকে পরিসংখ্যান বিষয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রি লাভ করেন। যুগপৎভাবে, তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতে এম.এ ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ১৯৫১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যানে পি.এইচ.ডি করেন। তার গবেষণার বিষয় ছিল 'Design of Experiments'। তাঁর ডক্টরাল থিসিসে তিনি 'Hussain's Chain Rule' নামক একটি নতুন তত্ত্বের অবতারণা করেন। বস্তুত, তৎকালীন পূর্ববঙ্গে (বর্তমান বাংলাদেশ) তিনিই প্রথম স্বীকৃত পরিসংখ্যানবিদ। ১৯২১ সালে ঢাকা কলেজে ছাত্র থাকাকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ডেমনেস্ট্রেটর হিসেবে চাকরি শুরু করেন এবং একই বিভাগে ১৯২৩ সালে একজন সহকারী প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পান। কাজী মোতাহার হোসেনের নিজ উদ্যোগে ১৯৪৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যানে এম.এ কোর্স চালু হয় এবং তিনি এই নতুন বিভাগে যোগ দেন। তিনি গণিত বিভাগেও ১৯৪৯ থেকে ১৯৫৯ সাল পর্যন্ত শিক্ষকতা করেন। ১৯৫১ সালে তিনি পরিসংখ্যানে একজন রিডার ও ১৯৫৪ সালে অধ্যাপক হন। ১৯৬১ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি পরিসংখ্যান বিভাগে ১৯৬১ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেন। ১৯৬৪ সালে স্থাপিত পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউটের তিনি প্রথম পরিচালক।১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে অনারারি (Professor Emeritus) অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ দেয়। ১৯৬০ সালে পাকিস্তান সরকার অধ্যাপক কাজী মোতাহার হোসেনকে সিতারা-ই-ইমতিয়াজ উপাধিতে ভূষিত করে। ১৯৬৬ সালে প্রবন্ধসাহিত্যের জন্য বাংলা একাডেমি পুরস্কার এবং বিজ্ঞান চর্চায় অসাধারণ অবদানের জন্য ১৯৭৯ সালে দেশের “সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার”হিসাবে পরিচিত “স্বাধীনতা পুরস্কার” প্রদান করা হয় তাকে। ১৯৭৪ সালে বিজ্ঞান ও কলা বিষয়ে অবদানের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে ডি.এস.সি ডিগ্রি দ্বারা সম্মানিত করে। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ সরকার তাঁকে জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে সম্মানিত করে। উপমহাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দাবাড়ু হিসেবে ১৯২৯ থেকে ১৯৬০ পর্যন্ত অবিভক্ত বাংলা ও পূর্ব পাকিস্তানে একক চ্যাম্পিয়ন ছিলেন তিনি। তিনি ১৯৮১ সালের ৯ অক্টোবর তিনি ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।

সংশ্লিষ্ট বই