সুপ্রাচীনকাল থেকেই বাঙালিরা সঙ্গীত ও নৃত্যামােদী। প্রাচীন সাহিত্যে, ধর্মে, ভাস্কর্যে, টেরাকোটায় নৃত্যগীত বাদ্যের যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। প্রতিটি সচেতন মানুষেরই তার নিজের দেশের, বিশেষ করে যারা সংস্কৃতির বিভিন্ন বিষয়ের চর্চা করেন, তাদের নিজের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা একান্ত প্রয়ােজন। বাঙালি সংস্কৃতির গৌরবময় ঐতিহ্যকে জানতে হলে সংস্কৃতির শেকড়কে খুঁজে বের করতে হবে। প্রাচীন বাংলার নৃত্যকলা' বইটি সেই শেকড়ের সন্ধান দিবে। বাংলার নান্দনিক সংস্কৃতির অসাধারণ একটি ধারা নৃত্যকলা যে স্বমহিমায় উদ্ভাসিত তার প্রমাণ বিধৃত হয়েছে গবেষক ও নৃত্যজন মাহফুজুর রহমানের এই গ্রন্থে। নৃত্যকলা-বিষয়ক বই বাংলাদেশে অপ্রতুল। বর্তমান গ্রন্থটি নিঃসন্দেহে সেই অভাব অনেকটাই পূরণ করবে। | বাংলার নৃত্যকলার দুটি ধারা লােকজ ও শাস্ত্রীয় নৃত্য কিভাবে বহুমুখি প্রবণতা আর প্রেরণায় একাত্ম হলাে; কিভাবে এতাে ঐশ্বর্যশালী ও সমৃদ্ধ হয়ে আজকের যুগকে স্পর্শ করেছে এই গ্রন্থের বিভিন্ন অধ্যায়ে তা বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। বইটি আমাদের দেশের নৃত্যকলা সম্বন্ধে সাধারণ ধারণাকে পাল্টে দেবে। বহু তথ্য ও প্রমাণের মাধ্যমে লেখক বাংলার শাস্ত্রীয়। নৃত্যকলার নানাবিধ বিষয় এখানে বিশ্লেষণ করেছেন। নৃত্যকলার শিক্ষক, শিক্ষার্থী নৃত্যপ্রেমীদের জন্য বইটি অপরিহার্য। নৃত্যকলা সম্পর্কিত চমক্কার ও প্রয়ােজনীয় এই বই নৃত্যাঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ সংযােজন। বইটি বাংলাদেশের নৃত্যকলার ইতিহাসের একটি ভিত্তি তৈরি করেছে নিঃসন্দেহে।