সময় তো সর্বদা এক রকম থাকে না। আগে এক রকম ছিল, এখন আরেক রকম। সময় পাল্টেছে। সারা দেশ জুড়ে ছিল গ্রাম। কেবলই গ্রাম। বড় গ্রাম, ছোট গ্রাম, মাঝারি আকারের গ্রাম। কোথাও কয়েকটি গ্রাম পাশাপাশি। কোথাও আবার দূরে দূরে। যদি পাশাপাশি হয়, তখন এক গাঁ থেকে আরেক গাঁ যেতে কোনো অসুবিধে নেই। কিন্তু দূরে হলে? তখন হয়তো হেঁটে হেঁটে একটা বড় মাঠ পার হতে হবে। সাইকেল থাকলে অবশ্য সুবিধে হয়, কম সময়ে পেঁৗছানো যায়। কিন্তু গ্রামগুলোর মাঝখানে যদি খালবিল থাকে, জলা থাকে, নদী থাকে? তখন না পায়ে হাঁটা, না সাইকেলে চাপা, কোনোটাই চলবে না। তখন কাজে লাগবে ডিঙি নৌকা। পানির ওপরে নৌকা ছাড়া আর কিছু তো চলে না।
দেশময় গাঁওগেরাম ছড়িয়ে থাকত এইভাবে। শহর ছিল মাত্র দু—চারটে। তাও আবার অনেক দূরে দূরে। গাঁয়ের লোক শহরে যেতে ভয় পেত। প্রথম কারণ : শহর তো কাছে নয়, তাই যেতে পরিশ্রম হয়, সময় লাগে। দ্বিতীয় কারণ : শহুরে মানুষের কাপড়—জামা, পোশাকআশাক সব অন্য ধরনের, কথাবার্তাও কেমন যেন, তাই ভয় করে। তৃতীয় কারণ : শহরের লোকজন সবসময় বড়ো ব্যস্ত, গল্পগুজব করার সময়ই পায় না, তা হলে বেড়াতে গিয়ে কী লাভ? এই তিন কারণ ছাড়াও চার নম্বর একটা কারণ ছিল। সেই কারণটিই ছিল সবচাইতে বেদনার, দুঃখ—কষ্টের। সেটি হলো শহুরে মানুষজন গাঁওগেরামের মানুষদের যেন মানুষ বলেই মনে করে না, অবহেলা করে, আদর—যত্ন করে না, ভালোভাবে কথা বলে না। শহরের লোকের মনে অনেক দেমাগ, ভারি অহংকার। গাঁয়ের লোক এই রকম ভাবে। আর ভাবে বলেই দরকার ছাড়া শহরে—বন্দরে যাওয়া—আসা করে না, সেখানকার বাসিন্দাদের তেমন পছন্দ করে না।
শহর আর গ্রাম, বন্দর আর গেরাম—গন্জো আলাদা—আলাদা নিজের মতো পড়ে থাকে। দূরে—দূরে থাকে, কাছে আসে না। অথচ গ্রাম যে—দেশের শহরও সে—দেশেরই। দেশ তো একটাই আর তার নাম বাংলাদেশ। এরই আরেকটা নামু পুব—বাংলা বা পূর্ববঙ্গ।
এই দেশেরই এক বিখ্যাত ব্যক্তি নিয়ে আমরা একটু গল্প—গুজব করব। বিখ্যাত কেন? বিখ্যাত হওয়ার কারণ, এই মানুষটি যে কবি। সবাই কি কবিতা লিখতে পারে? পারে না। যিনি লিখতে পারেন তাঁকে সবাই ‘কবি’ বলে
হায়াৎ মামুদ এর পল্লীকবি জসীম উদ্দীন এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 102.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Polli Kobi Josimoddin by Hayat Mamudis now available in boiferry for only 102.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.