“পিপলী বেগম" বইটির প্রথম দিকের কিছু কথাঃ
তারা তিন বােন – তিলু, বিলু, নীলু। সবচে' বড় হল তিলু, সে ভিকারুননেসা স্কুলে ক্লাস সেভেনে পড়ে। খুব শান্ত মেয়ে।।
তারপর বিলু, সেও ভিকারুননেসা স্কুলে পড়ে। ক্লাস থ্রী। সে মােটেও শান্ত না। দারুণ হৈচৈ করে। কদিন আগে সিড়ি থেকে পড়ে হাত ভেঙেছে। ভাঙা হাত প্লাস্টার করে এখন তার গলায় ঝােলানাে। বিলু খুব খুশি। হাতের প্লাস্টারে ছবি আঁকতে পারছে। সবচে’ ছােট নীলু। এবার তার স্কুলে ভর্তি হবার কথা ছিল। অনেক কষ্টা স্কুলে টেস্ট দিয়েও অ্যালাউ হয় নি। নীলু খুব কেঁদেছিল। নীলুর বাবা মতিন সাহেব বলেছেন - মা, পচা স্কুলগুলিতে তােমাকে পড়তে হবে না। আমিই তােমাকে পড়াব। নীলু অবাক হয়ে বলেছে, তুমি কী করে পড়াবে? তুমি তাে মাস্টার না। তুমি ডাক্তার।
‘ডাক্তাররাও পড়াতে পারে মা। ‘না, পারে না। নীলুর কথাই ঠিক হয়েছে। মতিন সাহেব পড়াতে পারছেন না। সময় পাচ্ছেন । তিনি সেই সকালে যান, ফিরতে রাত এগারােটা বাজে। তিলু বিলু ঘুমিয়ে পড়ে। ঘুম-ঘুম চোখে জেগে থাকে নীলু। মতিন সাহেব ঘরে ঢুকতেই সে বলে, বাবা, আমাকে পড়াবে না?
‘অবশ্যই পড়াব মা। ‘বই নিয়ে আসব?” ‘আজতাে অনেক রাত হয়ে গেছে। কাল থেকে আমরা শুরু করব। ‘আচ্ছা।
Piply Begum,Piply Begum in boiferry,Piply Begum buy online,Piply Begum by Humayun Ahmed,পিপলী বেগম,পিপলী বেগম বইফেরীতে,পিপলী বেগম অনলাইনে কিনুন,হুমায়ূন আহমেদ এর পিপলী বেগম,9789848799215,Piply Begum Ebook,Piply Begum Ebook in BD,Piply Begum Ebook in Dhaka,Piply Begum Ebook in Bangladesh,Piply Begum Ebook in boiferry,পিপলী বেগম ইবুক,পিপলী বেগম ইবুক বিডি,পিপলী বেগম ইবুক ঢাকায়,পিপলী বেগম ইবুক বাংলাদেশে
হুমায়ূন আহমেদ এর পিপলী বেগম এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 85 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Piply Begum by Humayun Ahmedis now available in boiferry for only 85 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন |
হার্ডকভার | ৫৫ পাতা |
প্রথম প্রকাশ |
1993-02-01 |
প্রকাশনী |
অবসর প্রকাশনা সংস্থা |
ISBN: |
9789848799215 |
ভাষা |
বাংলা |
লেখকের জীবনী
হুমায়ূন আহমেদ (Humayun Ahmed)
বাংলা সাহিত্যের এক কিংবদন্তী হুমায়ূন আহমেদ। বিংশ শতাব্দীর বাঙালি লেখকদের মধ্যে তিনি অন্যতম স্থান দখল করে আছেন। একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার ও নাট্যকার এ মানুষটিকে বলা হয় বাংলা সায়েন্স ফিকশনের পথিকৃৎ। নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবেও তিনি বেশ সমাদৃত। বাদ যায়নি গীতিকার কিংবা চিত্রশিল্পীর পরিচয়ও। সৃজনশীলতার প্রতিটি শাখায় তাঁর সমান বিচরণ ছিল। অর্জন করেছেন সর্বোচ্চ সফলতা এবং তুমুল জনপ্রিয়তা। স্বাধীনতা পরবর্তী বাঙালি জাতিকে হুমায়ুন আহমেদ উপহার দিয়েছেন তাঁর অসামান্য বই, নাটক এবং চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রের বদৌলতে মানুষকে করেছেন হলমুখী, তৈরি করে গেছেন বিশাল পাঠকশ্রেণীও। তাঁর নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘আগুনের পরশমনি’ দেখতে দর্শকের ঢল নামে। এছাড়া শ্যামল ছায়া, শ্রাবণ মেঘের দিন, দুই দুয়ারী, চন্দ্রকথা, ঘেটুপুত্র কমলা প্রভৃতি চলচ্চিত্র সুধীজনের প্রশংসা পেয়েছে। অনন্য কীর্তি হিসেবে আছে তাঁর নাটকগুলো। এইসব দিনরাত্র, বহুব্রীহি, আজ রবিবার, কোথাও কেউ নেই, অয়োময়ো আজও নিন্দিত দর্শকমনে। হিমু, মিসির আলি, শুভ্রর মতো চরিত্রের জনক তিনি। রচনা করেছেন নন্দিত নরকে, শঙ্খনীল কারাগার, জোছনা ও জননীর গল্পের মতো সব মাস্টারপিস। শিশুতোষ গ্রন্থ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক রচনা, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী মিলিয়ে হুমায়ূন আহমেদ এর বই সমূহ এর পাঠক সারাবিশ্বে ছড়িয়ে আছে। হুমায়ূন আহমেদ এর বই সমগ্র পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিতও হয়েছে। সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অর্জন করেছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৮১), একুশে পদক (১৯৯৪), হুমায়ুন কাদির স্মৃতি পুরস্কার (১৯৯০), লেখক শিবির পুরস্কার (১৯৭৩), মাইকেল মধুসূধন দত্ত পুরস্কার (১৯৮৭), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৩ ও ১৯৯৪), বাচসাস পুরস্কার (১৯৮৮), শিশু একাডেমি পুরস্কার, জয়নুল আবেদীন স্বর্ণপদকসহ নানা সম্মাননা। হুমায়ূন আহমেদ এর বই, চলচ্চিত্র এবং অন্যান্য রচনা দেশের বাইরেও মূল্যায়িত হয়েছে৷ ১৯৪৮ সালের ১৩ই নভেম্বর, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে, নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলায় কুতুবপুরে পীরবংশে জন্মগ্রহণ করেন হুমায়ূন আহমেদ। কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনের বেলভ্যু হাসপাতালে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন। গাজীপুরে তাঁর প্রিয় নুহাশ-পল্লীতে তাঁকে সমাহিত করা হয়।