কাজল এখন চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে। চাচা জর্জ অবশ্য তিয়ানজিনে ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত। রেড ফরেস্ট থেকে বেঁচে ফিরবে, স্বপ্নেও ভাবেনি কাজল। সত্যি, দক্ষিণের শহর শেনজেন ওদের বড় রকম একটা ধাক্কা দিয়েছে। বেইজিং পৌছেই ওরা জড়িয়ে যায় আরেক ঘটনার আবর্তে। অর্জুন এর নাম দিয়েছে ‘চুকুদিয়ান ফসিল-রহস্য'। কাজল ও অর্জুন যেখানেই যায়, কোনাে না কোনাে রহস্য ওদের পিছু নেবেই। রহস্য ও গােয়েন্দাগল্প ওদের ভীষণ পছন্দ। ওদের প্রিয় চীনেবন্ধু ছি মা ওয়্যাং ওরফে 'মাছি' নানকাই ভার্সিটির ল্যাবরুমে গবেষণা নিয়ে আছে। মাছির গবেষণার বিষয়টা বেশ মজার। ব্যাঙ যখন লাফায়, তখন তার জিহ্বা কোথায় থাকে? মুখের ভেতরে নাকি বাইরে! খিলখিলিয়ে হাসে কাজল। বাপের জন্মে সে এমন গবেষণার কথা শােনেনি। মাছিদের সাথে ব্যাঙের চিরশত্রুতা। কোনাে কোনাে ব্যাঙ নাকি মাছিদের ধরে ধরে খায়। বিশেষত কাঠাল-মাছি ব্যাঙদের খুব প্রিয়। সেই রাগেই হয়ত মাছি ব্যাঙের লাফালাফি নিয়ে গবেষণা করছে। এসব কথা অবশ্য ওর জানার কথা নয়। সে বেইজিং এসেছে অর্জুনের সাথে। বুলেট ট্রেনে চেপে তিয়ানজিন থেকে বেইজিং পৌছতে সময় লাগে মাত্র পঁয়ত্রিশ মিনিট। অথচ দূরত্ব একেবারে কম নয় – তা প্রায় দেড়শ কিলােমিটার হবে। বেইজিং শব্দের মানে উত্তরের রাজধানী। আর ন্যানজিং মানে দক্ষিণের রাজধানী।