পেলের সমকক্ষ কেই নেই। ম্যারাডোনা, মেসি, রোনালদো, জিদান, দিদি, গ্যারিঞ্চা কেউ সমকক্ষ নন।
‘ভয়ঙ্কর দারিদ্র্যের মধ্য থেকেও ছোটবেলায় আমি পাইলট হতে চেয়েছিলাম। ১৪ মে ১৯৫৮ আমি শেষ পর্যন্ত উড়োজাহাজ ওঠার সুযোগ পেলাম। ডিসি ৭-সি আকাশে উড়ল। আমার কাছে সবকিছুই বিস্ময়কর ও নতুন। চোখ বড় করে খোলা রেখে সবকিছু অবাক হয়ে দেখছি। সুইস আল্পস পর্বতমালা পেরিয়ে সুইডেন। প্রথম দুটো খেলাতেই বাচ্চা ছেলে বলে বাদ পড়ে গেছি। দলের টিম শিটে আমার নাম যখন গেল খুব কৌতূহল সৃষ্টি হলো, আমার বয়স ১৭ বছর, টুর্নামেন্টের সবচেয়ে কনিষ্ঠ খেলোয়াড়।
সাংবাদিকরা কান খাড়া করে রাখল।
শক্তিশালী ওয়েলসের বিরুদ্ধে প্রথমার্ধ ০-০ কেটে গেল।
দ্বিতীয়ার্ধের একমাত্র এবং জয়সূচক গোলটি আমিই দিলাম।
আমরা তখন সেমিফাইনাল। দ্বিতীয়ার্ধে খেলার ৫২, ৬৪ ও ৭৫তম মিনিটে আমি যে পেলে হওয়ার স্বপ্ন দেখেছি সেই পেলে হয়ে উঠি। ফ্রান্সের জালে ঢুকে তিনটি বল, পৃথিবীর সবচেয়ে কম বয়সি ওয়ার্ল্ডকাপ খেলোয়াড়ের হ্যাটট্রিক। ফাইনালে সুইডেনকে হারিয়ে ব্রাজিল ফিফা ১৯৫৮ বিশ্বকাপ তুলে নেয়, আমরা প্রথমবারের মতো বিশ^চ্যাম্পিয়ন । আনন্দে আমরা কেঁদে ফেলি। বিশ^কাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরও আমার ব্যক্তিত্বের কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। এখনো আমি সেই আমিই, স্যান্তোসে আমার বন্ধুদের সঙ্গে সেভাবেই মিলেমিশে থাকছি; আর যা আমি ভালোবাসি তাই করছি, সেটাই ফুটবল খেলা।’
সবগুলো কথাই পেলের। সেই পেলে বিদায় নিলেন ২৯ ডিসেম্বর ২০২২।্ পেলের কথা ও কাহিনী নিয়ে সুখপাঠ্য বই কোথায় পাবেন? একমাত্র আন্দালিব রাশদী এবং এপিপিএলই সরবরাহ করতে পারে সুখপাঠ্য পেলে।