হুমায়ূন আহমেদ এর অমানুষ এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 160 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Omanush by Humayun Ahmedis now available in boiferry for only 160 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
একসাথে কেনেন
হুমায়ূন আহমেদ এর অমানুষ এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 160 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Omanush by Humayun Ahmedis now available in boiferry for only 160 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন | হার্ডকভার | ১২৮ পাতা |
---|---|
প্রথম প্রকাশ | 2016-02-01 |
প্রকাশনী | অন্বেষা প্রকাশন |
ISBN: | 9847011600727 |
ভাষা | বাংলা |
ক্রেতার পর্যালোচনা
1-1 থেকে 1 পর্যালোচনা
-
পর্যালোচনা লিখেছেন 'fatemaismail keya'
উপন্যাসটির কাহিনী শুরু হয় ইতালিতে। এই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র জামশেদ। জামশেদ হলো তেমন একটা চরিত্র যে ভালোবাসা পাওয়ার জন্য কাজ করে না, বরং ভালোবেসে কাজটা করে। জামশেদ অন্যায়ের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে তুলে নেয়। এরকম একটা চরিত্র আমরা কল্পনা করে থাকি। লেখক আমাদের কল্পনাকে ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন এই চরিত্রের মাধ্যমে। এই উপন্যাসে লেখক এতরার মতো কিছু মানুষ রুপী পশুর চিত্রও আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। যারা আমাদের সকলের সামনেই ভালো মানুষের মুখোশ পরে ঘুরে বেড়ায়। ছোট্ট অ্যানির চরিত্রে লেখক নিঃসঙ্গ একটি মেয়েকে দেখিয়েছেন। যে নিজের অজান্তেই এক ভয়ংকর প্ল্যানের শিকার হয়ে যায়।একজন মাঝবয়সী বডিগার্ড জামশেদের সাথে বাচ্চা মেয়ে অ্যানির বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্কের পরিচয় দিয়েছেন লেখক এই উপন্যাসে। আর এই বন্ধুত্ব ও ভালোবাসা এতই প্রগাঢ় ছিলো যে জামশেদ অ্যানির জন্য নিজের জীবন দিতেও দ্বিধা করে না। সর্বদা নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকা মহিলার মধ্যেও যে গভীর মমতা লুকিয়ে থাকে তা রুনের চরিত্রের মধ্য দিয়ে লেখক ফুটিয়ে তুলেছেন।টাকার অভাবে নিজের মেয়ে অ্যানিকে কিডন্যাপের মত এক জঘন্য প্ল্যানে রাজি হওয়া অসহায় বাবার চরিত্র দ্বারা তুলে ধরেছেন ভিকিকে। কিন্তু কি হলো শেষে? ভিকি কি টাকাটা পেল?অ্যানির সাথে ঘটে যাওয়া ভয়ংকর ঘটনাটা কি? জামশেদের জীবনই বা কেন মৃত্যু ঝুঁকিতে পড়লো?রুনের মমতা কিভাবে প্রকাশ পেল? আর এতরার মত পশুদের কি শাস্তি হলো?জানতে হলে 'অমানুষ' বইটি পড়তেই হবে। লেখকের বইটির কাঠামো 'ম্যান অন ফায়ার' এর মতো হলেও এটি সম্পূর্ন ভিন্ন। হুমায়ুন আহমেদ তার অসাধারন লেখনী এমনভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন যে বইটির শেষের অংশে কিছু আক্ষেপ রয়েই গেল! সেই আক্ষেপ নিয়েই বিড়বিড় করে যাচ্ছি, "এখানে একজন 'মানুষ' ঘুমায়। তাকে শান্তিতে ঘুমুতে দাও"। রেটিংঃ ৮/১০
June 30, 2022
হুমায়ূন আহমেদ (Humayun Ahmed)
বাংলা সাহিত্যের এক কিংবদন্তী হুমায়ূন আহমেদ। বিংশ শতাব্দীর বাঙালি লেখকদের মধ্যে তিনি অন্যতম স্থান দখল করে আছেন। একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার ও নাট্যকার এ মানুষটিকে বলা হয় বাংলা সায়েন্স ফিকশনের পথিকৃৎ। নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবেও তিনি বেশ সমাদৃত। বাদ যায়নি গীতিকার কিংবা চিত্রশিল্পীর পরিচয়ও। সৃজনশীলতার প্রতিটি শাখায় তাঁর সমান বিচরণ ছিল। অর্জন করেছেন সর্বোচ্চ সফলতা এবং তুমুল জনপ্রিয়তা। স্বাধীনতা পরবর্তী বাঙালি জাতিকে হুমায়ুন আহমেদ উপহার দিয়েছেন তাঁর অসামান্য বই, নাটক এবং চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রের বদৌলতে মানুষকে করেছেন হলমুখী, তৈরি করে গেছেন বিশাল পাঠকশ্রেণীও। তাঁর নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘আগুনের পরশমনি’ দেখতে দর্শকের ঢল নামে। এছাড়া শ্যামল ছায়া, শ্রাবণ মেঘের দিন, দুই দুয়ারী, চন্দ্রকথা, ঘেটুপুত্র কমলা প্রভৃতি চলচ্চিত্র সুধীজনের প্রশংসা পেয়েছে। অনন্য কীর্তি হিসেবে আছে তাঁর নাটকগুলো। এইসব দিনরাত্র, বহুব্রীহি, আজ রবিবার, কোথাও কেউ নেই, অয়োময়ো আজও নিন্দিত দর্শকমনে। হিমু, মিসির আলি, শুভ্রর মতো চরিত্রের জনক তিনি। রচনা করেছেন নন্দিত নরকে, শঙ্খনীল কারাগার, জোছনা ও জননীর গল্পের মতো সব মাস্টারপিস। শিশুতোষ গ্রন্থ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক রচনা, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী মিলিয়ে হুমায়ূন আহমেদ এর বই সমূহ এর পাঠক সারাবিশ্বে ছড়িয়ে আছে। হুমায়ূন আহমেদ এর বই সমগ্র পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিতও হয়েছে। সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অর্জন করেছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৮১), একুশে পদক (১৯৯৪), হুমায়ুন কাদির স্মৃতি পুরস্কার (১৯৯০), লেখক শিবির পুরস্কার (১৯৭৩), মাইকেল মধুসূধন দত্ত পুরস্কার (১৯৮৭), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৩ ও ১৯৯৪), বাচসাস পুরস্কার (১৯৮৮), শিশু একাডেমি পুরস্কার, জয়নুল আবেদীন স্বর্ণপদকসহ নানা সম্মাননা। হুমায়ূন আহমেদ এর বই, চলচ্চিত্র এবং অন্যান্য রচনা দেশের বাইরেও মূল্যায়িত হয়েছে৷ ১৯৪৮ সালের ১৩ই নভেম্বর, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে, নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলায় কুতুবপুরে পীরবংশে জন্মগ্রহণ করেন হুমায়ূন আহমেদ। কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনের বেলভ্যু হাসপাতালে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন। গাজীপুরে তাঁর প্রিয় নুহাশ-পল্লীতে তাঁকে সমাহিত করা হয়।