ভূমিকা
‘অবরোধ-বাসিনী’ লিখিয়া লেখিকা আমাদের সমাজের চিন্তা ধারার আর একটা দিক খলিয়া দিয়াছেন। অনেকে অনেক প্রকার ইতিহাস লিখিয়া যশস্বী হইয়াছেন;কিন্তু ভারতের অবরোধ -বাসিনীদের লাঞ্ছনার ইতিহাস ইতিপূর্বে আর কেহ লিখেন নাই।
পুস্তক খানি পাঠ করিয়া বারংবার এই কথাই মনে পড়ে ,-আমরা কোথা হইতে আসিয়া কোথায় গিয়া পড়েছি! যে মুসলিম সমাজ এককালে সমস্ত জগতের আদর্শ ছিল , সেই সমাজের এক বিরাট অংশ এখন প্রায় সমস্ত জগতের নিকট হাস্যাস্পদ হইয়া দাঁড়াইয়াছে, একথা বলিলে বোধ হয়ে অত্যুক্তি হইবে না।
কোথায় বীরবলা খাওলা ও রাজিয়া অশ্বপৃষ্ঠে আরোহন পূর্বক পুরুষ যোদ্ধাদের সহিত যুদ্ধ করিয়াছেন, আর কোথায় বঙগীয় মুসলিম নারী চোরের হস্তে সর্বঙ্গ সমর্পন করিয়া নীরবে অশ্রু বিসর্জন করিতেছেন।
আমার দৃঢ় বিশ্বাস , ‘অবরোধ -বাসিনী’ পাঠে ঘুমন্ত জাতির চিন্তা-চক্ষু উন্মীলিত হইবে।
সর্বশেষ লেখিকাকে েএই সৎসাহসের জন্য ধন্যবাদ জানাই। ‘অবরোধ-বাসিনী’র প্রতি পাঠক -পাঠিকাদের সহৃদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করিতেছি।
আবদুল করিম
(বি. এ. এম. এল. সি)
oborodh basini,oborodh basini in boiferry,oborodh basini buy online,oborodh basini by Begum Rokeya Sakhawat Hossein,অবরোধ-বাসিনী,অবরোধ-বাসিনী বইফেরীতে,অবরোধ-বাসিনী অনলাইনে কিনুন,বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন এর অবরোধ-বাসিনী,9844150396,oborodh basini Ebook,oborodh basini Ebook in BD,oborodh basini Ebook in Dhaka,oborodh basini Ebook in Bangladesh,oborodh basini Ebook in boiferry,অবরোধ-বাসিনী ইবুক,অবরোধ-বাসিনী ইবুক বিডি,অবরোধ-বাসিনী ইবুক ঢাকায়,অবরোধ-বাসিনী ইবুক বাংলাদেশে
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন এর অবরোধ-বাসিনী এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 68.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। oborodh basini by Begum Rokeya Sakhawat Hosseinis now available in boiferry for only 68.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন |
হার্ডকভার | ৫৫ পাতা |
প্রথম প্রকাশ |
2018-02-01 |
প্রকাশনী |
অবসর প্রকাশনা সংস্থা |
ISBN: |
9844150396 |
ভাষা |
বাংলা |
লেখকের জীবনী
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন (Begum Rokeya Sakhawat Hossein)
সাহিত্যসেবী মহলে তিনি বেগম রোকেয়া নামেই সমধিক পরিচিত; ৯ ডিসেম্বর ১৮৮০ - ৯ ডিসেম্বর ১৯৩২) হলেন ঊনবিংশ শতাব্দীর একজন খ্যাতিমান বাঙালি সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্কারক। তাঁকে বাঙালি নারী জাগরণের অগ্রদূত হিসেবে গণ্য করা হয়। তার প্রকৃত নাম "রোকেয়া খাতুন" এবং বৈবাহিকসূত্রে নাম "বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন"। রোকেয়া জন্মগ্রহণ করেন ৯ ডিসেম্বর ১৮৮০ সালে রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার অর্ন্তগত পায়রাবন্দ গ্রামে। তাঁর পিতা জহীরুদ্দিন মোহাম্মদ আবু আলী হায়দার সাবের সম্ভ্রান্ত ভূস্বামী ছিলেন। তাঁর মাতা রাহাতুন্নেসা সাবেরা চৌধুরানী। রোকেয়ার দুই বোন করিমুননেসা ও হুমায়রা, আর তিন ভাই যাদের একজন শৈশবে মারা যায়। তিনি একজন অসাধারণ নারী।১৮৯৮ সালে ১৮ বছর বয়সে রোকেয়ার বিয়ে হয় ভাগলপুরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনের সাথে। বিয়ের পর তিনি "বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন" নামে পরিচিত হন। তাঁর স্বামী মুক্তমনের মানুষ ছিলেন, রোকেয়াকে তিনি লেখালেখি করতে উৎসাহ দেন এবং একটি স্কুল তৈরির জন্য অর্থ আলাদা করে রাখেন। রোকেয়া সাহিত্যচর্চা শুরু করেন। ১৯০২ সালে পিপাসা নামে একটি বাংলা গল্প লিখে সাহিত্যজগতে তার অবদান রাখা শুরু হয়। স্কুল পরিচালনা ও সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত রোকেয়া নিজেকে সাংগঠনিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত রাখেন। ১৯১৬ সালে তিনি মুসলিম বাঙালি নারীদের সংগঠন আঞ্জুমানে খাওয়াতিনে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেন। বিভিন্ন সভায় তাঁর বক্তব্য তুলে ধরেন। ১৯২৬ সালে কলকাতায় অনুষ্ঠিত বাংলার নারী শিক্ষা বিষয়ক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। ১৯৩২ সালের ৯ ডিসেম্বর বেগম রোকেয়া মৃত্যুবরণ করেন। সেসময় তিনি ‘নারীর অধিকার’ নামে একটি প্রবন্ধ লিখছিলেন। তাঁর কবর উত্তর কলকাতার সোদপুরে অবস্থিত যা পরবর্তীকালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক অমলেন্দু দে আবিষ্কার করেন । বাংলাদেশের ৭ম বিভাগ হিসেবে রংপুর বিভাগের একমাত্র পূর্ণাঙ্গ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে 'রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়' ৮ অক্টোবর ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। অতঃপর ২০০৯ সালে 'নারী জাগরণের অগ্রদূত' হিসেবে তাঁর নামকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়টির বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় নামকরণ করেন । উল্লেখ্য , নারীর নামে বাংলাদেশে প্রথম কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এটি।ছাড়াও, মহিয়সী বাঙালি নারী হিসেবে বেগম রোকেয়ার অবদানকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের আবাসনের জন্য "রোকেয়া হল" নামকরণ করা হয়। রোকেয়ার তাঁর নারীবাদী চিন্তার প্রকাশ ঘটিয়েছেন মতিচূর প্রবন্ধসংগ্রহের প্রথম (১৯০৪) ও দ্বিতীয় খণ্ডে (১৯২২)। সুলতানার স্বপ্ন (১৯০৫), পদ্মরাগ (১৯২৪), অবরোধবাসিনী (১৯৩১) ইত্যাদি তাঁর সৃজনশীল রচনা। তাঁর সুলতানার স্বপ্নকে বিশ্বের নারীবাদী সাহিত্যে একটি মাইলফলক ধরা হয়।