খুব সুন্দর। খুবই সুন্দর বাড়ি। সুমন বিস্ময়ে হতবাক। প্রধান ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে হা করে তাকিয়ে আছে। দোতলা বাড়িটি আধুনিক উপকরণে তৈরি। এর কারুকার্যই বলে দেয় নির্মাণের অর্থ খরচের হিসাবটি নির্ণয় করে বলা যাবে না। লাল টাইলস আর সিরামিক ইটের পােক্ত গাঁথুনিতে উঁচু প্রাচীর ঘেরা। নীল হলুদ বেগুনী বিবিধ রঙে সম্মুখ ভাগ সুসজ্জিত। পুরাে বাড়ি হােয়াইট ওয়াশ করা। সকালের স্বচ্ছ রােদের আলােয় বাড়িটি আরাে উজ্জ্বল দেখা যাচ্ছে। সুমন হলফ করে বলতে পারে ঢাকার অভিজাত আবাসিক এলাকায় এ পর্যন্ত যতগুলাে বাড়ি দেখেছে- নির্মাণশৈলী, অধিক ব্যয় আর বিশালায়তনের বিচারে এর সমান একটিও নয়। বাড়িটি যেন এই এলাকার প্রেসিডেন্টের বাসভবন। অথবা এই বাড়িটি অন্যান্য বাড়ির তুলনায় প্রেসিডেন্ট বাড়ি। ভুল হচ্ছে না তাে! সুমন পকেট হাতড়ে ঠিকানার কাগজটি আরেকবার বের করল। ফটকের পাশের দেয়ালে গ্রথিত শ্বেত পাথরে খােদাই করা কৃষ্ণাক্ষরে লেখা নাম ঠিকানা হুবহু মিলে যাচ্ছে। বিন্দুমাত্র ভুল নেই। বাড়টির নাম লেখা হয়েছে। ‘রাজা কুঞ্জ'। উমহু, নাম রাখা উচিত ছিল রাজা বাড়ি বা রাজ বাড়ি। সুমনের বুক দুরু দুরু করে কাঁপছে। কোন দিকে খেয়াল নেই। তন্ময় হয়ে ভাবছিল ভিতরে ঢুকবে কি ঢুকবে না, নাকি আবার ফিরে যাবে গ্রামের বাড়িতে। বড় ভয় ভয় লাগছে।