পাবনা চাটমোহর বাজারের পশ্চিম পাশের্^ চলনবিলের একটি অংশ বিলকুড়ালিয়া। বিলটিকে ঘিরে রেখেছে কয়েকটি শ্যামল গ্রাম- ভাদ্রা, লাউতি, কাতুলি, বুড়িপাড়া, মল্লিকপাঠ, সন্দোভা, মমিনপাড়া, দাসপাড়া, চৌধুরিপাড়া, পাঁচবাড়ি, চড়ইকোল, হরিপুর, ধরইল।
বিলকুড়ালিয়ার পাশ্ববর্তী এলাকায় তৎকালীন জমিদারগণ ছিলেন- কাসিমপুুরের শ্রী অন্নদাপ্রসন্ন লাহিড়ী, নাটোরের রায় বাহাদুর, হরিপুরের শ্রী ক্ষীতীশ চন্দ্র চৌধুরী এবং ধরইলের শ্রী কৃষ্ণদাস কু-ু। ১৯৫০ সালে জমিদারি প্রথা বাতিল ও প্রজাস্বত্ব আইন পাস হলে পূর্বপাকিস্তান সরকার ১৯৫৬ সালে বিলকুড়ালিয়ার প্রায় ১৫০০ বিঘা জমি (প্রকৃতি; জল, জঙ্গলা) অধিগ্রহণ করে।
এ সময় ভূমিদস্যুদের একটি দল জমিদারদের নিকট থেকে জমি পত্তনি নেওয়ার কাগজপত্র তৈরি করে জমির মালিকানা দাবি করে। এরা জোতদার গ্রুপ নামে পরিচিত। পরবর্তীকালে তাদের কাগজপত্র ভুয়া প্রমাণিত হয়। এই সুযোগে ভূমিদস্যুদের আরেকটি দল ১৯৬০-৬১ সালে নিজেদের নামে এসএ রেকর্ড করিয়ে নেয়।
তারাই কবুলিয়াত গ্রুপ। দেখা যায়, তাদের কাগজপত্র রাজশাহী শহরের একটি ছাপাখানা থেকে তৈরি এবং সিল স্বাক্ষর সবই জাল। ফলত সমুদয় জমি খাস হিসাবে রেকর্ড হয়। পুরুষানুক্রমে বিলকুড়ালিয়ার আশপাশের গ্রামগুলোতে বাস করতো প্রায় পাঁচ শতাধিক নিতান্তই দীন-হীন হতোচ্ছারা কাঙাল; এরা প্রকৃত ভূমিহীন হিসেবে পরিচিত। উপন্যাসটি অনুধাবন করতে হলে এই তিন গ্রুপ সম্বন্ধে পরিষ্কার ধারণা থাকা বাঞ্ছনীয় বলে মনে করি।
মোখলেস মুকুল এর মৃন্ময়বৃক্ষ এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 357 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। mrinmoybrikkho by Mokhles Mukulis now available in boiferry for only 357 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.