উনিশ শতকের সমাজ-সংস্কৃতি চর্চা বর্তমান সময়কে আরও উপাদেয় করার জন্যই প্রয়োজন। সমাজের অসঙ্গতি ব্যঙ্গের মাধ্যমে, পরোক্ষভাবে তুলে ধরার জন্য বিশ্বসাহিত্যে মহৎ সাহিত্য সৃষ্টি হয়েছে। বাংলা সাহিত্যে অনেক ‘প্রথমে’র মধ্যে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এক্ষেত্রেও প্রথম। আফিমখোর কমলাকান্তের মতো ‘অস্বাভাবিক’ মানুষই বলতে পারেন জোর গলায়; যার হারানোর কিছু নেই। কমলাকান্ত আফিম খেয়েছেন নিজে, মাতাল করেছেন আমাদের। তার মতো ‘দিব্যদৃষ্টি’ আমাদেরও প্রয়োজন; তাই বলে সবাইকে তো আর আফিম খাওয়া চলে না! তারচে’ মাতালের বয়ান [বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কমলাকান্ত] পড়া ঢের বুদ্ধিমানের কাজ। বর্তমান গ্রন্থে ‘কমলাকান্তের দপ্তর’, ‘কমলাকান্তের পত্র’, ‘কমলাকান্তের জবানবন্দী’-একত্রে পাওয়া যাবে। দীর্ঘ ভূমিকাটি কমলাকান্তকে বোঝার ক্ষুদ্র প্রয়াস। পরিশিষ্টে ‘কাকাতুয়া’ থাকল। ‘মশক’ প্রবন্ধটি প্রথমবারের মতো সংযোজিত হলো। গ্রন্থটি সাধারণ পাঠক-শিক্ষার্থী-গবেষকের কাজে আসবে- প্রত্যাশা করা যায়।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর কমলাকান্ত এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 160.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। komolakanto by Bankimacandro Chattopadhayis now available in boiferry for only 160.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.