‘কদর্য এশীয়’ আদ্যোপান্ত একটি রাজনৈতিক উপন্যাস। তিনি বলেছেন যে এ গল্প কল্পিত যে-কোনো এশীয় দেশের। কিন্তু আমরা দেখতে পাই, সে দেশের নাম বাংলাদেশ-যার জন্মই হয়েছে ঔপন্যাসিকের মৃত্যুর পরে। আরো লক্ষণীয়, দেশের রাজনীতিই কাহিনীর মুখ্য প্রতিপাদ্য নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তৃতীয় বিশ্বের সম্পর্কের বিন্যাস ও অভ্যন্তরীণ উৎকণ্ঠা উন্মোচন এর মূল লক্ষ্য। স্রষ্টা হিসাবে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ মহিমা এভাবে অন্য মাত্রা পেয়ে যায়। এ এক অচেনা শিল্পী, এতদিন যাঁকে আমরা জানার সুযোগ পাইনি
kodorjho-asiyo,kodorjho-asiyo in boiferry,kodorjho-asiyo buy online,kodorjho-asiyo by Syed Waliullah,কদর্য এশীয়,কদর্য এশীয় বইফেরীতে,কদর্য এশীয় অনলাইনে কিনুন,সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ এর কদর্য এশীয়,9844151988,kodorjho-asiyo Ebook,kodorjho-asiyo Ebook in BD,kodorjho-asiyo Ebook in Dhaka,kodorjho-asiyo Ebook in Bangladesh,kodorjho-asiyo Ebook in boiferry,কদর্য এশীয় ইবুক,কদর্য এশীয় ইবুক বিডি,কদর্য এশীয় ইবুক ঢাকায়,কদর্য এশীয় ইবুক বাংলাদেশে
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ এর কদর্য এশীয় এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 170.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। kodorjho-asiyo by Syed Waliullahis now available in boiferry for only 170.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন |
হার্ডকভার | ১৭৬ পাতা |
প্রথম প্রকাশ |
2018-02-01 |
প্রকাশনী |
অবসর প্রকাশনা সংস্থা |
ISBN: |
9844151988 |
ভাষা |
বাংলা |
লেখকের জীবনী
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ (Syed Waliullah)
Syed Waliullah (তাঁর জন্ম চট্টগ্রাম শহরের ষোলশহর এলাকায়, ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ আগস্ট) তাঁর পিতা সৈয়দ আহমাদুল্লাহ ছিলেন একজন সরকারি কর্মকর্তা; মা নাসিম আরা খাতুনও সমতুল্য উচ্চশিক্ষিত ও রুচিশীল পরিবার থেকে এসেছিলেন, সম্ভবত অধিক বনেদি বংশের নারী ছিলেন তিনি। ওয়ালীউল্লাহর আট বছর বয়সের সময় তার মাতৃবিয়োগ ঘটে। দুই বছর পর তার বাবা দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন টাঙ্গাইলের করটিয়ায়। বিমাতা এবং বৈমাত্রেয় দুই ভাই ও তিন বোনের সঙ্গে ওয়ালীউল্লাহর সম্পর্ক কখনোই অবনতি হয় নি। তার তেইশ বছর বয়সকালে কোলকাতায় চিকিৎসা করতে গিয়ে মারা যান। তার পিতৃমাতৃবংশ অনেক শিক্ষিত ছিলেন। বাবা এম এ পাশ করে সরাসরি ডেপুটি মেজিস্ট্রেট চাকুরিতে ঢুকে যান; মাতামহ ছিলেন কোলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স থেকে পাশ করা আইনের স্নাতক; বড়ো মামা এমএবিএল পাশ করে কর্মজীবনে কৃতি হয়ে খানবাহাদুর উপাধি পেয়েছিলেন এবং স্ত্রী ওয়ালীউল্লাহর বড়ো মামী ছিলেন নওয়াব আবদুল লতিফ পরিবারের মেয়ে, উর্দু ভাষার লেখিকা ও রবীন্দ্রনাথের গল্প নাটকের উর্দু অনুবাদক। ১৯৩৯ সালে তিনি কুড়িগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় হতে ম্যাট্রিক, এবং ১৯৪১ সালে ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন। তার আনুষ্ঠানিক ডিগ্রি ছিলো ডিস্টিঙ্কশনসহ বিএ এবং অর্থনীতি নিয়ে এমএ ক্লাশে ভর্তি হয়েও শেষে পরিত্যাগ করেন। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর ওয়ালীউল্লাহ ঢাকায় এসে প্রথমে ঢাকা বেতার কেন্দ্রের সহকারী বার্তা-সম্পাদক ও পরে করাচি কেন্দ্রের বার্তা-সম্পাদক (১৯৫০-৫১) হন। ১৯৫১-৬০ সাল পর্যন্ত তিনি পাকিস্তান সরকারের পক্ষে নয়াদিল্লি, সিডনি, জাকার্তা ও লন্ডনে বিভিন্ন উচ্চ পদে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬০-১৯৬৭ সাল পর্যন্ত তিনি প্যারিসে পাকিস্তান দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি এবং ১৯৬৭-৭১ সাল পর্যন্ত ইউনেস্কোর প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট ছিলেন। সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ দুটি গল্পগ্রন্থ নয়নচারা (১৯৫১), দুই তীর ও অন্যান্য গল্প এবং তিনটি নাটক বহিপীর (১৯৬০), তরঙ্গভঙ্গ (১৯৬৪) ও সুড়ঙ্গ (১৯৬৪) রচনা করেছেন। ছোটগল্প ও নাটকেও তিনি সমাজের কুসংস্কার, ধর্মীয় ভন্ডামি, মানসিক ও চারিত্রিক স্খলন ইত্যাদিকে প্রতিভাসিত করেছেন। তিনি দেশ-বিদেশের নানা সাহিত্য পুরস্কার এবং বাংলাদেশ সরকারের ‘একুশে পদক’ (মরণোত্তর, ১৯৮৩) লাভ করেন। ১৯৭১ সালের ১০ অক্টোবর প্যারিসে তাঁর মৃত্যু হয় এবং প্যারিসের উপকণ্ঠে মদোঁ-স্যুর বেল্ভু-তে তিনি সমাহিত হন।