তাই সত্যের মাপকাঠিতে খিলাফত-কারবালা ও রাজতন্ত্রের ভেতর-বাহির জানতে গার্ডিয়ান আপনাকে দিচ্ছে ‘আশুরা ও কারবালা প্যাকেজ’!
তিনটি বইয়ের সমন্বয়ে এই প্যাকেজে থাকছে-
খিলাফত ও রাজতন্ত্র : ইতিহাস ও পর্যালোচনা
রাষ্ট্রপরিচালনায় ইসলামের মৌলিক দর্শন কী হবেÑএ নিয়ে প্রচুর বির্তক বিদ্যমান। কেউ রাজতন্ত্রকে হারাম বিবেচনায় নিয়ে একে কেন্দ্র করে সাহাবিদেরও গালমন্দ করে বসে। আবার কিছু লোক মনে করে, রাজতন্ত্রই হলো ইসলামি রাষ্ট্রের প্রথম পছন্দ। দুঃখজনকভাবে উভয়পক্ষের কেউ-ই প্রান্তিকতামুক্ত নয়। এক্ষেত্রে আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামায়াতের ভারসাম্যপূর্ণ আচরণই ইসলামের সঠিক প্রতিনিধিত্ব করে। আহলে সুন্নাহ মনে করে—অপারগতা ও গ্রহণযোগ্য কারণ সাপেক্ষে রাজতন্ত্র কিংবা অন্য কোনো শাসনপদ্ধতি ইসলামে বৈধ। তবে ইসলাম খিলাফতকে প্রাধান্য দেয়। ইসলামি রাষ্ট্রব্যবস্থায় খিলাফত ও রাজতন্ত্রের মধ্যকার দ্বন্দ্বের ঐতিহাসিক ও ফিকহি পর্যালোচনাই খিলাফত ও রাজতন্ত্র গ্রন্থের মূল ভাষ্য।
ইতিহাসের অপবাদ; অপবাদের ইতিহাস
ইতিহাস জাতির স্মৃতিশক্তি। শত্রুরা আমাদের ইতিহাস মুছে ফেলতে সদা তৎপর, যেন আমরা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ি আমাদের অতীত গৌরব ও ঐতিহ্য থেকে। আর তারাও প্রমাণ করতে পারে আমরা এমন জাতি, যাদের কোনো গৌরবময় ইতিহাস নেই, নেই স্বর্ণালি ঐতিহ্যও। তারা তত্ত্ব হাজির করে—ইসলামের বাস্তব অনুশীলন হয়েছিল কেবল খিলাফতে রাশেদার যুগে। বিশেষত উমরের আমলে। এরপর আর ইসলাম রাষ্ট্রীয়ভাবে কোথাও কার্যকর ছিল না। পরবর্তী রাষ্ট্রনায়করা খিলাফতের মসনদে আসীন হয়েছিলেন অন্যায়ভাবে। ইসলামি শরিয়াহর সাথে তাঁদের রাষ্ট্রপরিচালনার ছিল না কোনো সম্পর্ক। এ কারণেই তারা উমাইয়া, আব্বাসি ও তৎপরবর্তী শাসনামলকে ‘আরব শাসন’ বলে আখ্যায়িত করে! একে ইসলামি শাসনামল বলতে তারা যারপরনাই নারাজ। আমাদের ইতিহাস ও সভ্যতা নিয়ে পশ্চিমাদের এমন অভিযোগ ও অপবাদের সমুচিত জবাব ড. ইউসুফ আল কারজাভি (রহ.)-এর ইতিহাসের অপবাদ; অপবাদের ইতিহাস।
কারবালা ও ইয়াজিদ
গল্প ও সাহিত্যকথায় জীবনের অর্থ খুঁজে ফেরা (জোছনাফুল)ইসলামের ইতিহাসে কারবালা এমন এক মর্মান্তিক ঘটনা, যার নৃশংসতা ভারাক্রান্ত করে প্রত্যেক মুমিনের অন্তর। একই সাথে এই ঘটনার অতিরঞ্জিত বর্ণনা ও জাল হাদিসের মাধ্যমে মুসলিমদের বিভ্রান্ত করার ষড়যন্ত্র চলছে শতাব্দীর শতাব্দী ধরে। কারবালার ঘটনার সাথে এ দেশের জনসাধারণের পরিচয় ঘটেছে মূলত বিষাদসিন্ধু’র মতো কল্পিত উপন্যাস, মুখনিঃসৃত বানোয়াট গল্প এবং মুহাররমে শিয়াদের তাজিয়া মিছিলের মধ্য দিয়ে। আদতে এসব সূত্র থেকে আমাদের সামনে চিত্রিত হয় বিকৃত ইতিহাসের একটি ভ্রান্ত রূপ। এর ফলে যেমন খারেজি-রাফেজিদের নিপুণ মিথ্যাচার দ্বারা প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তেমনই আশঙ্কা থাকে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াতের অনুসারী হিসেবে নিজেদের ইতিহাস ও আত্মপরিচয় নিয়ে সংশয়ে পড়ার। একজন মুসলমান হিসেবে পূর্বসূরিদের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা আমাদের আত্মপরিচয় প্রতিষ্ঠা ও বিশুদ্ধ বিশ্বাসের জন্য অত্যন্ত জরুরি। কীভাবে ঘটেছিল আলি (রা.)-এর পর খিলাফতে রাশেদার রূপান্তর? কীভাবে ক্ষমতার মসনদে অধিষ্ঠিত হয়েছিল ইয়াজিদ? তার হাত ধরে কীভাবে চিত্রিত হলো রক্তাক্ত কারবালা? এই বই এসবের নির্ভরযোগ্য ইতিহাসের সন্ধান দেবে, ইনশাআল্লাহ।
ড. ইউসুফ আল কারযাভী এর খিলাফত, কারবালা ও রাজতন্ত্র এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 722.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Khilafat, Karbala O Rajtontro by Dr. Youssef al-Qaradawiis now available in boiferry for only 722.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.