কেশবপুর সে সময় থানা শহর হলেও স্বাধীনতা যুদ্ধে এখানকার বিশেষত যুবকদের রয়েছে গৌরবান্বিত ইতিহাস। তাঁদের স্বাধীনতা যুদ্ধের ভূমিকা ইতিহাসের পাতায় অান হয়ে থাকবে। কারণ এখানে তখন যেমন ছিল প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন বিশেষত ছাত্র ইউনিয়ন (মতিয়া), ছাত্র ইউনিয়ন (মেনন) এবং ছাত্রলীগের শক্ত ঘাঁটি। তেমনি পূর্বপাকিস্তান ছাত্র শিবিরেরও একটি গােপন শক্ত আস্তানা ছিল; যা মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনতার বিপক্ষে সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং এ গ্রুপটিকে সম্বল করেই জেলায় প্রথম গড়ে ওঠে রাজাকার বাহিনী। তঙ্কালীন কেশবপুর হাইস্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক আমিন উদ্দিনের নেতৃত্বে এখানে গড়ে ওঠে শক্তিশালী রাজাকার বাহিনী। এখানকার ক্যাম্পের শীর্ষ ঘাতকদের তালিকায় ছিল কন্দর্পপুরের মুন্সী দীন মােহাম্মদ, চালিতাবাড়িয়ার তত্ত্বালীন পােস্টমাস্টার মাে. ইজাহার আলী, চিংড়া গ্রামের মুজিবর রহমান, বড়েঙ্গা গ্রামের আবুল হােসেন, দোরমুটিয়ার কওসার আলী, আলতাপােলের আ, খালেক, আ, বারিক, পাঁজিয়ার পরশউল্লাহ প্রমুখ। পরেশ উল্লাহ সে সময় নিজের নামানুসারে পাঁজিয়ার নামকরণ করেছিল পরশনগর'। এ সব ঘাতকদের হাতে পঁয়তাল্লিশ জনকে প্রাণ দিতে হয়েছে। এদের বধ্যভূমি ছিল যশাের-সাতক্ষীরা মহাসড়কের মঙ্গলকোট ব্রীজ। এখানে চোখ বেঁধে রাতের অন্ধকারে নিয়ে আসা হতাে স্বাধীনতাকামীদের এবং গুলি করে বুড়ি দ্ৰায় ফেলে। দেওয়া হতাে।