বিশ শতকের শেষদিকে বৈজ্ঞানিক জগতে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংকে বাণিজ্যিকিকরণের এক প্রচণ্ড হিড়িক লক্ষ করা গেছে। ব্যাপারটা খুব দ্রুত ঘটেছে-কিন্তু বাইরে থেকে এ বিষয়ে এতাে কম মন্তব্য করা হয়েছে যে, এর বিশালতা আর ফলাফল কি হতে পারে, তা কেউ খুব একটা বুঝে উঠতে পারেনি। বায়ােটেকনলজি মানব ইতিহাসে এক সুবিশাল বিপ্লবের সুচনা করেছে। আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে আণবিক শক্তি আর কম্পিউটার যে অবদান রাখছে, এ দশকের শেষে দেখা যাবে এটি তার থেকেও জীবনকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। একজন পর্যবেক্ষকের ভাষায়, “বায়ােটেকনলজি মানব জীবনের সব কিছু বদলে দেবে : চিকিৎসাসেবা, খাদ্য, স্বাস্থ্য, বিনােদন এবং আমাদের দেহ। কোনােকিছুই আর আগের মতাে হবে না। এটি সত্যিকার অর্থে এ গ্রহের পুরাে চেহারাই বদলে দেবে। ” আগে যেসব বৈজ্ঞানিক পরিবর্তন ঘটেছে, বায়ােটেকনলজি বিপ্লব তা থেকে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দিক দিয়ে অনন্য। | প্রথমত, এটা সামগ্রিক দিক বিবেচনা করছে। লস আলামসের শুধুমাত্র একটি গবেষণাগারের কর্মের মাধ্যমে আমেরিকা আণবিক যুগে প্রবেশ করেছিল। কম্পিউটার যুগে প্রবেশ করেছে প্রায় কয়েক ডজন কোম্পানীর প্রচেষ্টার কারণে। কিন্তু বায়ােটেকনলজি রিসার্চ কেবলমাত্র আমেরিকাতেই দু’হাজারেরও বেশি ল্যাবরেটরীতে চলছে। পাঁচশাে কর্পোরেশন শুধুমাত্র এক বছরে এই টেকনলজিতে পাঁচ বিলিয়ন ডলার বিনিয়ােগ করেছে।