“ফজরের নামায আদায়করত সূর্য পরিপূর্ণভাবে উদিত হওয়া পর্যন্ত সকল প্রকারের নামায থেকে বিরত থাকবে। কেননা সূর্যোদয়কালে শয়তানের শিংয়ের মধ্যবর্তী হয়ে তা উদয় হয়। আর তখন কাফের-মুশরিকরা সূর্যের ভক্তি করে। তাই সূর্য পরিপূর্ণ উদয়ের পর নামায পড়বে। কেননা নামাযে ফেরেশতাগণ হাজির হয়ে থাকেন। দ্বিপ্রহরের পূর্ব পর্যন্ত নামায পড়তে পারবে। তবে ঠিক দ্বিপ্রহরে নামায পড়া থেকে বিরত থাকবে। কেননা তখন দোযখে খুবই উত্তাপ দেওয়া হয়। তাই সূর্য হেলার পর নামায পড়াে। কেননা নামাযে ফেরেশতাগণ হাজির হয়ে থাকেন। সূর্য হেলার পর থেকে আসরের নামায পড়া পর্যন্ত নামায পড়তে পারবে। অতঃপর সূর্যাস্ত পর্যন্ত নামায পড়া থেকে বিরত থাকবে। কেননা সূর্যাস্তকালেও শয়তানের শিংয়ের মধ্যবর্তী হয়ে তা অস্ত যায়। আর তখন কাফেররা সূর্যের ভক্তি করে।” (সহীহ মুসলিম : ১/২৭৬, হা. ৮৩২)। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) অসংখ্য অগণিত বিশুদ্ধতম । হাদীসে উপরােল্লিখিত তিন সময়ে নামায পড়তে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন। তাই ফরয, ওয়াজিব, নফল, কৃাযা, তাহিয়্যাতুল মসজিদ, তওয়াফের নামায, এমনকি জানাযার নামায এবং সিজদায়ে সাহু সিজদায়ে তিলাওয়াতসহ সমস্ত নামায এ সময়ে পড়া মাকরূহে তাহরীমী” তথা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। তবে অন্য হাদীসের ভিত্তিতে সেদিনের আসরের নামায কোনাে কারণবশত না পড়ে থাকলে সূর্যাস্তের সময় পড়ার অনুমতি আছে। কেউ কেউ জুমু'আর দিন তথা শুক্রবার দ্বিপ্রহরে নামায পড়া বৈধ মনে করে থাকে।