আল্লাহর ওলী বললেন, হে যুবক! তুমি যে তার যৌবনের চাহিদা মিটাতে। পারনি, সে কি কখনাে তােমার কাছে বলেছে? না হুজুর, বলেনি। হে যুবক! তােমার স্ত্রী তােমার সাথে তার যৌবনের কষ্ট নিয়ে আট বছর সংসার করেছে, কিন্তু তােমাকে একবারের জন্যও বলেনি। কারণ হলাে, যাতে তুমি লজ্জিত না হও। যাতে তােমার ইজ্জত নষ্ট না হয়, এই চিন্তা করে সে তার যৌবনকে বিসর্জন দিয়েছে এবং ধৈর্যধারণ করেছে। কারাে কাছে প্রকাশ করেনি তােমার অক্ষমতার কথা। তাই আল্লাহ তাআলা প্রতিদান স্বরূপ মৃত্যুর সাথে সাথে তাকে জান্নাতী করেছেন। (সুবহানাল্লাহ) আর তুমি জান্নাতী নারীর স্বামী। হে যুবক! দোয়া করি, তুমিও জান্নাতী যুবক হও। অন্য এক হাদীসে আছে, হযরত আসমা বিনতে ইয়াজিদ (রা) বলেন, কতিপয় নারী-পুরুষ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপবিষ্ট ছিলেন। তিনি বলেন : সম্ভবত কোনাে কোনাে পুরুষ সেসব কথা বর্ণনা করে যা তার মাঝে ও তার স্ত্রীর মাঝে গােপনীয়। আবার কোনাে কোনাে নারী | তাদের স্বামীর গােপনীয়তা সম্পর্কে আলােচনা করে। রাবী বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর একথা শুনে আমরা সবাই চুপ হয়ে গেলাম। আসমা বিনতে ইয়াজিদ (রা) বলেন, আমি আরজ করলাম : ইয়া রাসূলাল্লাহ! এরা এ ধরনের কথাবার্তা বলে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এ ধরনের কথাবার্তা পরিহার কর। এর উদাহরণ হচ্ছে এমন, যেমন কোনাে শয়তান শয়তানীর সাথে সহবাস করছে আর সবাই তাদেরকে দেখছে ।