কানে ভেসে এলো বাংলোর সিঁড়িতে কারো উঠে আসার শব্দ। ঠক্ ঠক্। তিনি একটু এগিয়ে বললেন, ‘কে! কে ওখানে?’ কোনো জবাব নেই।
আওয়াজটাও আর শোনা যাচ্ছে না। খুব বিশেষ কিছু না ভেবে জহুরগণি ভাবলেন কোনো বন্য বিড়াল হবে হয়তো। এই ভেবে বাংলোর ভেতরে গিয়ে লাইটের সুইচ অফ করতেই কিছু একটা চোখে পড়ল তার। চাঁদের অল্প আলোতেই মনে হচ্ছে দরজার সামনে দুটো ছায়ামূর্তি। ধীরে ধীরে ছায়ামূর্তি ভেতরের দিকে আসতেই তিনি এগিয়ে যেতে চাইলেন। ‘থামুন, আর এক কদমও এগোবেন না’, হুমকির কণ্ঠস্বরে কেউ একজন বলল।
জহুরগণি পিছিয়ে গেলেন। ডান হাতে অন্ধকারে সুইচবোর্ড খোঁজার চেষ্টা করছেন তিনি। কিন্তু হাতটাও কেমন ভারী হয়ে এলো তার। একটু আগেই যে সুইচবোর্ডের সুইচ অফ করেছিল তা এখন হাতের কাছেই পাচ্ছেন না তিনি। ঘাবড়ে গেলে মানুষের যেমন সহজ পথটায় খুব কঠিন মনে হয় তেমনই পরিস্থিতিতে পড়েছেন জহুরগণি।
‘কে ওখানে! কি চাও?’, কাঁপা গলায় বললেন জহুরগণি। ‘চুপ, কোনো কথা নয়’, ধমকে কেউ একজন বলল। ছায়ামূর্তিগুলো বেরিয়ে এসেছে আড়াল থেকে। তবে অন্ধকারে তাদের চেহারা বোঝা মুশকিল, তাদের মুখ চাদরে মোড়ানো।
Janatar Johurgani,Janatar Johurgani in boiferry,Janatar Johurgani buy online,Janatar Johurgani by Tokib Towfiq,জনতার জহুরগণি,জনতার জহুরগণি বইফেরীতে,জনতার জহুরগণি অনলাইনে কিনুন,তকিব তৌফিক এর জনতার জহুরগণি,Janatar Johurgani Ebook,Janatar Johurgani Ebook in BD,Janatar Johurgani Ebook in Dhaka,Janatar Johurgani Ebook in Bangladesh,Janatar Johurgani Ebook in boiferry,জনতার জহুরগণি ইবুক,জনতার জহুরগণি ইবুক বিডি,জনতার জহুরগণি ইবুক ঢাকায়,জনতার জহুরগণি ইবুক বাংলাদেশে
তকিব তৌফিক এর জনতার জহুরগণি এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 210.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Janatar Johurgani by Tokib Towfiqis now available in boiferry for only 210.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন |
হার্ডকভার | ১৪৪ পাতা |
প্রথম প্রকাশ |
2023-03-01 |
প্রকাশনী |
অক্ষরবৃত্ত |
ISBN: |
|
ভাষা |
বাংলা |
লেখকের জীবনী
তকিব তৌফিক (Tokib Towfiq)
তকিব তৌফিক- বর্তমান সময়ের পাঠকপ্রিয় একজন লেখক। পাঠক মহলের অনেকেই যাকে বলে ‘বিষাদ যপা লোক’। লেখকের লেখাজুড়ে বিষাদের যে ছাপ তা পাঠকের অন্তরে বেশ গেঁথে যায়। এবং পাঠকের মনে লেখককে বাঁচিয়ে রাখতে এই বিষাদী আকুলতাই যেন যথেষ্ট। ২০১৮ সালের গ্রন্থমেলায় লেখকের প্রথম বই ‘এপিলেপটিক হায়দার’ প্রকাশিত হয়। বইটি মূলত একটি মৌলিক উপন্যাস। ব্যতিক্রমধর্মী শিরোনামের এই উপন্যাসটি লেখকের প্রথম উপন্যাস হলেও সাড়া পায় দ্রুত। এই উপন্যাসের প্রেক্ষাপট ছিল সম্পূর্ণ রূপে বাস্তবমুখী। সামাজিক এই উপন্যাসটি মূলত মৃগীরোগ নিয়ে সমাজের কুসংস্কার নিয়ে এবং আত্মশুদ্ধি নিয়ে লেখা হয়েছে। উপন্যাসটি প্রকাশিত হয় নালন্দা প্রকাশনী থেকে। ২০১৯ সালের গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হয় লেখকের দ্বিতীয় উপন্যাস ‘অধ্যায়’। এটি মূলত প্রেমের উপন্যাস। এবং এই উপন্যাসটি’ই তকিব তৌফিককে অসংখ্য নতুন পাঠকের কাছে লেখক হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়। যার মধ্যে রয়েছে লেখকের দারুণ সব কথা মালা এবং গল্পের প্রয়োজনে লেখকের সৃষ্ট কিছু বিক্ষিপ্ত কবিতা। একই বছরে লেখক ব্যতিক্রমধর্মী এক বই রচনা করে বসলেন। বইটির নাম 'কাঙালের সংলাপ'। এই বইটি মূলত কথোপকথনের বই। যার শুরু থেকে শেষ শব্দটি সংলাপের মধ্যে দিয়েই হয়। এই ব্যতিক্রম বইটিও রোমান্টিক গল্প নির্ভর। ২০২০ সালের গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হয় তকিব তৌফিকের তৃতীয় এবং ত্রয়ী উপন্যাসের প্রথম খণ্ড 'নিদাস্তিয়া'। যা পুরপুরি সফলতা বয়ে আনে লেখক তকিব তৌফিকের জন্য। এবং গল্পের মূল চরিত্র নিদাস্তিয়া'র শেষ পরিণতি থেকে নিষ্কৃতির দাবি উঠে পাঠকমহলে। আর তখন পাঠকমহলে জানানো হয় মূলত এই উপন্যাস একটি ত্রয়ী উপন্যাস। যার আরও দুইটি খণ্ড আগামীতে যেকোনো সময় প্রকাশ পাবে। সেই খণ্ডগুলোতেই হয়তো 'নিদাস্তিয়া' চরিত্রের মুক্তি হবে। ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময় লেখক তকিব তৌফিক পাঠকের জন্য নিয়ে এলেন কবিতার বই- ক্যাকটাস। ক্যাকটাস কবিতার বইয়ের মধ্যে দিয়ে তকিব তৌফিককে পাঠক একজন কবি হিসেবেও চিনতে শুরু করে। ক্যাকটাস কবিতার বইয়ের কবিতাগুলোর মধ্যে ‘ক্যাকটাস’, ‘সংসার’, চিরকুট সংলাপ’, ‘সাবলেট’, বিচ্ছেদের বর্ষপূর্তি’, ‘লিকারের তেজ;, ‘সময়ের ভোজ’সহ অসংখ্য কবিতা দুই বাংলার অসংখ্য পাঠকের হৃদয় জয় করে। ২০২১ সালের গ্রন্থমেলায় লেখক তকিব তৌফিক পাঠকদের উদ্দেশ্যে প্রকাশ করেন ‘রিঙ্গণপুর’ শিরোনামের সামাজিক উপন্যাস। যা সমাজের রাজনৈতিক চিত্র যেমন উপস্থাপন করে তেমনই মানুষের গোঁড়ামি থেকে সৃষ্ট উপদ্রব থেকে জীবননাশের চিত্র উপস্থাপন হয়। ২০২১ সালের অক্টোবর মাসেই লেখক তকিব তৌফিক পাঠকদের জন্য নতুন বইয়ের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন। যার নাম ‘একটি হলুদ ফুল’। লেখক তকিব তৌফিক ব্যতিক্রম সব গল্প লেখেন পাঠকের জন্য। তার গল্প বলে দেয়, তিনি পাঠকের স্রোতে গা ভাসিয়ে উপন্যাস, গল্প রচনা করেন না, তিনি এমন সব গল্প রচনা করেন যা পাঠককে কৌতূহলী করে তুলে আর একঘেয়েমিতা থেকে মুক্তি দেয়। লেখক তকিব তৌফিকের জন্মস্থান চট্টগ্রাম জেলায়৷ তিনি ফটিকছড়ি উপজেলার, লেলাং ইউনিয়নে জন্ম গ্রহণ করেন। বাবা মোস্তফা কামাল পাশা এবং মা জোছনা আকতার-এর চার সন্তানের একমাত্র ছেলে সন্তান তিনি। ব্যবস্থাপনা বিষয়ের উপর স্নাতকোত্তর পাশ করা ছেলেটি একদিন বাংলা সাহিত্যের তরুণ লেখকদের তালকায় ভূমিকা রাখবে তা হয়তো তার নিকটস্থ অনেকেই ভাবেনি৷ এখন সেটা তারা দেখতেই অভ্যস্ত। ‘ইউনাইটেড ন্যাশন'স হাই কমিশনার ফর রিফিউজিস (ইউ এন এইচ সি আর)’-এ রেজিষ্ট্রেশন ইউনিটে একজন কর্মী হিসেবে তিনি নিযুক্ত ছিলেন। তাঁর ত্রয়ী উপন্যাস 'নিদাস্তিয়া'-এর প্রথম খণ্ডে তার কর্মস্থানের কিছুটা চিত্র ফুটে উঠেছে। এছাড়াও তিনি শরনার্থী শিবিরে তুর্কী পাহাড়ে বসে সূর্যের বিদায় বেলায় দিগন্তরেখায় দৃষ্টি রেখে রচনা করেছিলেন 'আমি শরনার্থী শিবির থেকে বলছি' কবিতাটি। বর্তমানে তিনি বেপজার চট্টগ্রাম শাখার অধীনে ডেলমাস এ্যাপারেলস (প্রাঃ) লিমিটেড-এ কমপ্লায়েন্স বিভাগের প্রধান ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্বরত আছেন।