পড়ে এসেছিলাে, বান্ধবীদের নতুন গয়নাটা দেখাবে বলে। কিন্তু এই গয়নাটাই যে শেষে কাল হয়ে দাঁড়াবে কে জানতাে খেলার সময় এতে সাবধানে পা টিপে টিপে গিয়েছে তারপরও কেমন করে বুঝে গেলাে বিপক্ষ দলের মেয়েটি, খুব অবাক লাগছে মিনুর কাছে । নাহ্ —সে আর এই নূপুর পড়বে না, এই নূপুর সে ছুঁড়ে ফেলে দেবে । মিনু মাঠের পাশে সবুজ রাস্তাটায় একা একা বসে রইল। এদিকে বিকেল শেষে সন্ধ্যা নামছে। খেলার মাঠ থেকে সবাই চলে যাচ্ছে। মিনু তবুও বসে রইল। পশ্চিমাকাশের শেষ লালিমাটুকু অন্ধকারে ঢেকে যাচ্ছে। মিনুর খুব কান্না। পাচ্ছে। মা হয়তাে এখনই ভাইয়া মিশুকে পাঠাকে মিনুকে বাড়ি নেয়ার। জন্য । ভাইয়া আর মিনু মিলে বাগানে পানি দেবে। ওদের বাগানে অনেক রকম ফুল। রােজ বিকেলে খেলার মাঠ থেকে ফিরে ভাই-বােন মিলে সব। গাছে পানি ঢালে । বালতি ভরে দুজনে মিলে পানি আনে। চাপকল চাপতে কষ্ট হলেও এ কাজে ওরা খুব আনন্দ পায়। মিশুর বেশি পছন্দ গােলাপ। তাই মিশু বেশি বেশি পানি ঢালে গােলাপের সারিতে। তবে বিশেষ কোনাে ফুলের প্রতি মিনুর দুর্বলতা নেই। সব ফুল, সব গাছই মিনুর প্রিয়। কোনাে ফুল আর কোনাে গাছকেই তার অপ্রয়ােজনীয় ও অসুন্দর মনে হয় না। স্কুলের বিজ্ঞান স্যারই তাে বলেছেন, পরিবেশ রক্ষার জন্য সব রকম। গাছেরই কোনাে না কোনাে রকম ভূমিকা থাকে। কোনাে গাছকেই অপ্রয়ােজনীয় ভাবা যাবে না। বাগানের সারি সারি গােছানো ফুল গাছগুলাের চেয়েও মিনুর বেশি ভালাে লাগে রাস্তার দু'পাশে অবলীলায় সহজভাবে যে গাছগুলাে নিজ থেকে জন্মায়। কী সুন্দর এদের ফুলগুলাে, কেমন একটা বনজ গন্ধ থাকে গাছগুলােতে। ,