নেতিবাচক চিন্তা একটি অতি সাধারণ সমস্যা যার সম্মুখীন বেশীরভাগ লোকেরাই তাদের জীবনের কোন না কোন ক্ষেত্রে হয়ে থাকেন। যদিও সুস্বাস্থ্য এবং ভালো থাকার জন্য বিশেষজ্ঞরা ব্যাপকভাবে ইতিবাচক চিন্তারই পক্ষ নিয়ে থাকেন, তবুও নেতিবাচক চিন্তার শেকড় থেকে নিজেকে মুক্ত করা হতে পারে দুঃসাধ্য। এমনকি আপনি যদি এমন একজন ব্যাক্তি হয়ে থাকেন যিনি কিনা প্রতিনিয়ত তার ভাবনাগুলোকে মূল্যায়ন করে থাকেন, তবুও নেতিবাচক চিন্তা আর দৈনন্দিন সাধারন ভয়-দুশ্চিন্তা যার মোকাবিলা প্রত্যেকেই করে থাকে এই উভয়ের মধ্যে পার্থক্য করাটা আপনার জন্য মুশকিল হতে পারে। যেখানে এটা খুবই স্বাভাবিক ডিভোর্স এবং আর্থিক সমস্যার মতো বিষয়গুলো নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়া, তবে যখন এই চিন্তাগুলো প্রতিনিয়ত আপনাকে পেয়ে বসে তখন এগুলো শুধু আপনার ব্যাক্তিজীবনই নয় বরং আপনার কর্মজীবন এবং পেশাদার সম্পর্কগুলোরও সাড়ে সর্বনাশ করে ছাড়বে। এটা এইজন্য যে আপনাকে বুঝতে হবে নেতিবাচক চিন্তা আসলে কি, কীভাবে আপনার জীবনে এর আবির্ভাব ঘটে এবং কীভাবে আপনি এটাকে পরাস্ত করবেন। এরকমটা করার মাধ্যমে আপনি নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারবেন, পারিপার্শ্বিক পরিবর্তনগুলোর সাথে আরও সহজে খাপ খাইয়ে নিতে এবং আপনার ব্যাক্তিজীবন ও পেশাজীবনে আগত চ্যালেঞ্জসমূহের মোকাবিলা করতে আরও বেশিমাত্রায় সক্ষম হয়ে উঠবেন। তো নেতিবাচক চিন্তা আসলে কি এবং কীভাবে আপনি নির্ধারণ করবেন যে কোন চিন্তাগুলো সাধারণ দুশ্চিন্তার আওতায় পড়ে আর কোনগুলো অতিমাত্রায় নেতিবাচক?