Loading...

ধাত্রী দেবতা (হার্ডকভার)

স্টক:

৩৫০.০০ ২৮০.০০

একসাথে কেনেন

বাস্তবপ্রধান যুগে রােমান্সের প্রতি অনুরাগ অল্পসংখ্যক লেখকের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। বঙ্কিমচন্দ্রের পরে ঐতিহাসিক রােমান্সের সিংহদ্বার রুদ্ধ হইয়া গিয়াছে। রবীন্দ্রনাথ তাঁহার উপন্যাসে যে রােমান্স প্রবর্তন করিয়াছেন তাহা প্রধানত কাব্যধর্মী, প্রকৃতির রহস্যানুভবমূলক। রবীন্দ্রনাথ-প্রবর্তিত ধারাই আধুনিক লেখকেরা অনুসরণ করিয়াছেন- কেহ কেহ ঐতিহাসিকতার অব্যবহৃত রুদ্ধদ্বারের চাবি খুলিতে চেষ্টা করিয়াছেন। এই লেখকদের মধ্যে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় সম্মানিত স্থান অধিকার করেন। তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের বড়াে উপন্যাসের মধ্যে অকৃত্রিমতা ও ভাষার ঐশ্বর্যের পরিচয় পাওয়া যায়। তিনি শ্রমিকের যে অতৃপ্ত, অশান্ত বুভুক্ষা ও ক্ষুব্ধ বিদ্রোহােনুখতার চিত্র আঁকিয়াছেন তাহাতে সত্যসত্যই প্রধুমিত বহ্নিশিখার উত্তাপ ও দীপ্তি অনুভূত হয়। অন্যান্য লেখক শ্রমিকদের দুর্গতি বর্ণনা করিতে কেবল তথ্য-সন্নিবেশ করিয়াছেন, তাহাদের অবস্থা-দৈন্যের প্রতি সহানুভূতি দেখাইয়াছেন ও তাহাদের রিক্ত, ভাগ্যবিড়ম্বিত জীবন-কাহিনীতে করুণ-রসসঞ্চার করিতে প্রয়াসী হইয়াছেন। কিন্তু তারাশঙ্করের ভাষার শুদ্ধ কঠোর ভাবব্যঞ্জনাশক্তি ইহাদের নাই; ভাষার এই সাংকেতিকতার সাহায্যে তিনি এক ধূসর, উদাস, মরুভূমির ন্যায় জ্বালাময়, ছায়ালেশহীন জীবন-প্রতিবেশ সৃষ্টি করিতে সক্ষম হইয়াছেন। ‘ধাত্রীদেবতা' (সেপ্টেম্বর, ১৯৩৯), 'কালিন্দী' (আগস্ট, ১৯৪০), ‘গণদেবতা' (সেপ্টেম্বর, ১৯৪২), ও ‘পঞ্চগ্রাম' (জানুয়ারি, ১৯৪৪)তারাশঙ্করের ক্রমপরিণতির আর একটা উচ্চতর পর্যায় সূচিত করে। এই উপন্যাসগুলিতে রাঢ়ের জীবনযাত্রাপ্রণালীর বিভিন্ন স্তর চমক্কারভাবে আলােচিত হইয়াছে। প্রথম দুইখানিতে মধ্যযুগের আদর্শে লালিত জমিদার-গােষ্ঠীর জীবনে আধুনিক প্রভাবের বিক্ষোভ ও শেষ দুটিতে রাঢ়ের একটি জনপদে সমগ্র প্রজাসাধারণের সংসারযাত্রায় নূতন নূতন জটিল সমস্যার উদ্ভবই তাহার আলােচ্য বিষয়। পূর্ববর্তী উপন্যাসের
Dhatri Debota,Dhatri Debota in boiferry,Dhatri Debota buy online,Dhatri Debota by Tarashonkor Bondopadhai,ধাত্রী দেবতা,ধাত্রী দেবতা বইফেরীতে,ধাত্রী দেবতা অনলাইনে কিনুন,তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় এর ধাত্রী দেবতা,9847034303759,Dhatri Debota Ebook,Dhatri Debota Ebook in BD,Dhatri Debota Ebook in Dhaka,Dhatri Debota Ebook in Bangladesh,Dhatri Debota Ebook in boiferry,ধাত্রী দেবতা ইবুক,ধাত্রী দেবতা ইবুক বিডি,ধাত্রী দেবতা ইবুক ঢাকায়,ধাত্রী দেবতা ইবুক বাংলাদেশে
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় এর ধাত্রী দেবতা এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 280.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Dhatri Debota by Tarashonkor Bondopadhaiis now available in boiferry for only 280.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন হার্ডকভার | ২৪০ পাতা
প্রথম প্রকাশ 2018-02-01
প্রকাশনী মাটিগন্ধা
ISBN: 9847034303759
ভাষা বাংলা

ক্রেতার পর্যালোচনা

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
লেখকের জীবনী
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় (Tarashonkor Bondopadhai)

তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায় বিংশ শতাব্দীর একজন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ছিলেন। ১৮৯৮ সালের ২৪ জুলাই ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলায় তাঁর জন্ম। তাঁর শৈশব কাটে এই বীরভূম জেলারই লাভপুর গ্রামে। ধর্মপরায়ণ ও আদর্শনিষ্ঠ বাবা-মায়ের কাছে তিনিও একই সততা ও আদর্শের শিক্ষা নিয়ে বেড়ে উঠতে থাকেন। লাভপুরের যাদবলাল হাই স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাশ করে তিনি সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে ভর্তি হন। তবে নানা কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রম শেষ করতে পারেননি। ভারতীয় স্বাধীনতা বিপ্লবের সময় রাজনৈতিক কারণে কারাভোগ করতে হয় তাঁর। মুক্তি পাওয়ার পর সাহিত্যে মনোনিবেশ করেন পুরোপুরি। তাঁর অনন্য প্রতিভায় জন্ম নিয়েছে একেকটি অসাধারণ পাঠকনন্দিত সাহিত্যকর্ম। তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায় রচনাবলী বাংলা সাহিত্যের অন্যতম সমৃদ্ধ সম্পদ। তাঁর লেখা কোনো নির্দিষ্ট শ্রেণীর মানুষের জীবনকে এককভাবে উপস্থাপন করে না, ফুটিয়ে তোলে গ্রামীণ ও নাগরিক জীবনের সব বৈশিষ্ট্যকে। সাহিত্য সৃষ্টি করতে তিনি বাদ রাখেননি কোনো শাখা। তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস হলো ‘চৈতালি ঘূর্ণি (১৯৩২)’, ‘পাষাণপুরী (১৯৩৩)’, ’ধাত্রীদেবতা (১৯৩৯)’, ’কালিন্দী (১৯৪০)’, ’কবি (১৯৪৪)’, ’হাসুলী বাঁকের উপকথা (১৯৫১)’, ‘কালরাত্রি (১৯৭০)’ ইত্যাদি। তারাশঙ্করের উপন্যাস সমগ্র সংখ্যার হিসাবে প্রায় ৬৫টি। এর মধ্যে ‘কবি’ উপন্যাসটি তারাশঙ্করের কালজয়ী উপন্যাস। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামার মাঝে তিনি বিভিন্ন শিল্পগোষ্ঠী ও সাহিত্য সম্মেলন এর নেতৃত্ব দান ও সভাপতিত্ব করেন। পশ্চিমবঙ্গের বিধান সভার নির্বাচিত সদস্য হিসেবে তিনি আট বছর দায়িত্ব পালন করেন। তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায় কবিতা সমগ্র হল ‘ত্রিপত্র (১৯২৬)। এছাড়াও সাহিত্য রচনা করেছেন ছোটগল্প, নাটক, প্রহসন ও প্রবন্ধ আকারেও। তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায়ের ছোটগল্প সংকলন হলো ‘ছলনাময়ী (১৯৩৭)’, ‘রসকলি (১৯৩৯)’, ‘হারানো সুর (১৯৪৫)’, ‘কালান্তর (১৯৫৬), ‘মিছিল (১৯৬৯)’, ‘উনিশশো একাত্তর (১৯৭১)’ ইত্যাদি। তাঁর রচিত অনেক উপন্যাস পেয়েছে চলচ্চিত্র রূপ, এদের মাঝে আছে ‘কালিন্দী’, ‘দুই পুরুষ’, ‘জলসাঘর’, ‘অভিযান’। তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায় উপন্যাস সমগ্র বাঙালি পাঠকের কাছে বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তাঁর কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ‘শরতস্মৃতি পুরস্কার (১৯৪৭)’, ‘জগত্তারিণী স্বর্ণপদক (১৯৫৬)’, ‘রবীন্দ্র পুরস্কার (১৯৫৫)’, ‘পদ্মশ্রী (১৯৬২)’, ‘পদ্মভূষণ (১৯৬৮)’ ইত্যাদি পুরস্কার ও উপাধি লাভ করেন। তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায় এর বই সমূহ মানুষের হৃদয়ে চিরস্থায়ী স্থান করে নিয়েছে। পাঠকনন্দিত এই বাঙালি কথাসাহিত্যিক ১৯৭১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পরলোকগমন করেন।

সংশ্লিষ্ট বই