Loading...

ঢাকার ইতিহাস ১ম খণ্ড (হার্ডকভার)

অনুবাদক: কমল চৌধুরী

স্টক:

৬০০.০০ ৪২০.০০

একসাথে কেনেন

বাংলার প্রাচীন রাজধানী হিসেবে গৌড়, পান্ডুয়া সোনারগাঁও-এর পরে ঢাকার অবস্থান। মুর্শিদাবাদ, কলিকাতা ও ঢাকার মধ্যে বাংলার রাজধানী হিসেবে ঢাকা প্রাচীনতম। রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, প্রশাসনিক ও প্রতিরক্ষার দিক থেকে ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে মোগল বাদশাহ জাহাঙ্গীরের আমলে শেষ আলাউদ্দিন চিশতী ওরফে সুবেদার ইসলাম খান বাংলার সুবার রাজধানী বিহারের রাজমহল থেকে ১৬০৮ সালে ঢাকায় স্থানান্তর করেন। ঢাকার প্রাচীনত্ব, ঢাকাইয়া, ঢাকাইয়া ভাষা ও ঢাকার নামকরণ সম্পর্কে আমার মত হলো-নদীর গতিপথ পরিবর্তন ও ভৃপ্রকতির পরিবর্তনের ইতিহাসই হলো মূল ইতিহাস। কেননা পানি, মাটি সূর্যের আলোই মানুষ ও তার সভ্যতার ইতিহাসকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করে। ঢাকার মাটির লাল রং, স্তর ও গঠনপ্রকৃতি অনুযায়ী ঢাকার বসতভূমি কমপক্ষে ৫০০ বছরের প্রাচীন।
Dhaker itihas vol-1,Dhaker itihas vol-1 in boiferry,Dhaker itihas vol-1 buy online,Dhaker itihas vol-1 by Sreekedarnath Mojumdar,ঢাকার ইতিহাস ১ম খণ্ড,ঢাকার ইতিহাস ১ম খণ্ড বইফেরীতে,ঢাকার ইতিহাস ১ম খণ্ড অনলাইনে কিনুন,শ্রীকেদারনাথ মজুমদার এর ঢাকার ইতিহাস ১ম খণ্ড,9879849639473,Dhaker itihas vol-1 Ebook,Dhaker itihas vol-1 Ebook in BD,Dhaker itihas vol-1 Ebook in Dhaka,Dhaker itihas vol-1 Ebook in Bangladesh,Dhaker itihas vol-1 Ebook in boiferry,ঢাকার ইতিহাস ১ম খণ্ড ইবুক,ঢাকার ইতিহাস ১ম খণ্ড ইবুক বিডি,ঢাকার ইতিহাস ১ম খণ্ড ইবুক ঢাকায়,ঢাকার ইতিহাস ১ম খণ্ড ইবুক বাংলাদেশে
শ্রীকেদারনাথ মজুমদার এর ঢাকার ইতিহাস ১ম খণ্ড এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 450.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Dhaker itihas vol-1 by Sreekedarnath Mojumdaris now available in boiferry for only 450.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন হার্ডকভার | ৫৬০ পাতা
প্রথম প্রকাশ 2022-01-01
প্রকাশনী আকাশ
ISBN: 9879849639473
ভাষা বাংলা

ক্রেতার পর্যালোচনা

শ্রীকেদারনাথ মজুমদার
লেখকের জীবনী
শ্রীকেদারনাথ মজুমদার (Sreekedarnath Mojumdar)

১২৭৭ বঙ্গাব্দের ২৬ জ্যেষ্ঠ (ইংরেজি ১৮৭০) কিশোরগঞ্জ জেলার কাপাসাটিয়া গ্রামে নানার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম লোকনাথ মজুমদার ও মাতার নাম জয়দুর্গা দেবী। কেদারনাথ মজুমদারের পড়ালেখা শুরু হয় তার নিজ গ্রামের বিদ্যালয়ে। গ্রামে প্রাথমিক শিক্ষা শেষে তিনি ময়মনসিংহ শহরে যান। সেখানে তিনি নাসিরাবাদ এক্টাস স্কুলে ভর্তি হন। পরে ময়মনসিংহ শহর বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৮৮৪ সালে তিনি ময়মনসিংহ জিলা বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে ভর্তি হন। এ বিদ্যালয় থেকে তিনি ১৮৮৯ সালে এট্রাস পাশ করেন। পরিবার চালানোর জন্য তিনি ময়মনসিংহ জেলা ম্যাজিস্টেট অফিসের ফৌজদারি থানায় নকলনবীশের চাকরি নেন। তার মামা কৃষ্ণকুমার রায় তাকে এ চাকরিটির ব্যবস্থা করে দেন। এই চাকরির উপর নির্ভর করে তিনি সাহিত্য চর্চাও করেছেন। সাহিত্য চর্চার খরচ যোগানের জন্য চাকরির পাশাপাশি পাঠ্য বই প্রণয়ন মানচিত্র প্রকাশ ও ছাপখানা পরিচালনা ইত্যাদি কাজ করেছেন। চাকরি জীবনে তিনি একসময় খুবই অসুস্থ হয়ে পড়লে ১৯০১ সালে তিনি চাকরি ছেড়ে দেন। তার সাহিত্যিক জীবনের শুরু হয় তার নিজ বাড়ি থেকেই। তার বাবা-মার অনুপ্রেরণা থেকে সাহিত্যের প্রতি অনুরাগী হন। নাসিরাবাদ বিদ্যালয়ের প্রধান পণ্ডিত বেদজ্ঞ উমেশচন্দ্র বিদ্যারত্নের কাছ থেকে শাস্ত্র ও পুরাণনুশীলনে আগ্রহী হন। ময়মনসিংহ জিলা বিদ্যালয়ের শিক্ষক শ্রীনাথ চন্দ্র তাকে সাহিত্যচর্চার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি উৎসাহ জাগান। তিনি ময়মনসিংহ জিলা বিদ্যালয়ে 'মনোরঞ্জিকা ক্লাব'-এ সাহিত্য চর্চা করতেন।বিদ্যালয়ে পড়ার সময় তিনি তার প্রথম উপন্যাস 'স্রোতের ফুল' রচনা করেন। চাকরি অবস্থায় নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়েও তিনি সাহিত্যচর্চা করেন। এক সময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং চিকিৎসার জন্য কলকাতা যান। সেখানেও তিনি সাহিত্য চর্চা করেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন রকমের দুস্রাপ্য গ্রন্থ পাঠ সংগ্রহ করতেন ও হাতে লিখে নিতেন। কেদার নাথ মজুমদার একাধিক পত্রিকা প্রকাশ ও সম্পাদনা করেন। সম্পাদকতার পাশাপাশি তিনি সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত হয়েছিলেন। কেদারনাথ মায়ের স্মৃতি রক্ষার্থে ময়মনসিংহ শহরে ১৯১৭ সালে ‘জয়দুর্গা এম.ই স্কুল’ প্রতিষ্ঠা করেন যা পরবর্তী সময়ে হাইস্কুলে উন্নীত হয় এবং ‘জয়দুর্গা ইনস্টিটিউশন’ নামে পরিচিত হয়। এ ছাড়া তিনি মায়ের নামে নিজ গ্রামে একটি পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করেন। তার উদ্যোগে ময়মনসিংহ শহরে ‘সাহিত্য সভা’ স্থাপিত হয়। তিনি 'ময়মনসিংহরে ইতিহাস' নামে একটি আঞ্চলিক ইতিহাস বিষয়ক গ্রন্থ রচনা করেন যা একটি বিশিষ্ট গ্রন্থ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করে। ১৯০৪ সালে 'ময়মনসিংহের বিবরণ' প্রকাশ করেন এবং ১৯০৭ সালে বইটির দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশ করেন। ময়মনসিংহরে ইতিহাস' ও ময়মনসিংহরের বিবরণ" রচনা করে তিনি ইতিহাসবিদ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। এছাড়া তিনি ময়মনসিংহের কাহিনী ও ময়মনসিংহ পল্লী বিবরণ নামে দুটি ইতিহাস গ্রন্থ রচনা করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। ১৯১০ সালে তিনি 'ঢাকার বিবরণ' রচনা করেন। এছাড়া তিনি 'ফরিদপুরের বিবরণ' নামেও একটি ইতিহাস গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। ১৯১৫ সালে 'সারমত কুণ্ডা' নামে একটি গবেষণা গ্রন্থ রচনা করেন। তিনি জীবনে চারটি ডপন্যাস রচনা করেছিলেন। বিদ্যালয়ের ছাত্র অবস্থায় ১৮৮৮ সালে স্রোতের ফুল উপন্যাসটি রচনা করেছিলেন, পরবর্তীতে নাম পরিবর্তন করে তা প্রফুল্ল নামে প্রকাশ করেন। ১৩৩০ বঙ্গাব্দে তিনি শুভদৃষ্টি উপন্যাস এবং ১৩৩১ বঙ্গাব্দে ‘সমস্যা’ উপন্যাস প্রকাশ করেন। তিনি 'দস্যুর মহত্ত্ব', 'স্বপ্ন' ও 'ঋণ পরিশোধ' নামে তিনটি ক্ষুদ্র উপন্যাসও লিখছিলেন ও এই তিনটি উপন্যাসকে একত্র করে ১৯০৬ সালের জুলাই মাসে 'চিত্র' নামের একটি পূর্ণাঙ্গ উপন্যাস প্রকাশ করেন।

সংশ্লিষ্ট বই