নতুন বছরের প্রথম পক্ষ অতিক্রান্ত হতে চলেছে। এরই মধ্যে গণমাধ্যমে গেল | বছরের সাফল্য ও ব্যর্থতার বিষয়গুলাে কমবেশি আলােচিত হয়েছে। নতুন করে তার আর পুনরাবৃত্তির প্রয়ােজন নেই। তবে সাফল্যের তালিকায় বাংলাদেশ ২০১৫ সালে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে প্রবেশের ঘটনাটি বিশেষভাবে আলােচনায় এসেছে। জনগণের ওপর কোনাে ধরনের সারচার্জ না বসিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে বাংলাদেশ পদ্ম। | সেতুর মতাে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে এই বছর যাত্রা শুরু করেছে, আরাে বেশকিছু | মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন চলছে। বাংলাদেশ নিঃসন্দেহে গত কয়েক বছরের ধারাবাহিক অগ্রগতির একটি নতুন উচ্চতায় উঠে এসেছে, যা দেশ-বিদেশে স্বীকৃতি পেয়েছে। বস্তুত ২০০৮ সালে ‘দিন বদলের ইশতেহার’ বাংলাদেশকে কত দ্রুত পরিবর্তনের এমন উচ্চতায় নিয়ে এসেছে, তা ভাবতেই অবাক হতে হয়। ধারণা করা হচ্ছে, ২০১৬ সালে আমাদের অগ্রগতির ধারা বাধাগ্রস্ত না হলে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের। দেশে প্রবেশের যাত্রায় অনেকদূর এগিয়ে যাবে। গেল বছরের শুরুতে ৯৩ দিন দেশে। টানা অবরােধ ও হরতাল, পেট্রোলবােমার আতঙ্ক থাকার পরও দেশের অর্থনীতি পরবর্তী মাসগুলােতে যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল, তা এক কথায় অবিশ্বাস্য। দেশের কৃমি, গার্মেন্ট, শিল্প, প্রযুক্তি, বিদ্যুৎ, রেমিট্যান্স, সেতু নির্মাণ, সড়ক উন্নয়ন, রপ্তানি ইত্যাদি খাত নিরবচ্ছিন্নভাবে অগ্রগতির চাকা সচল রেখেছে। ফলে বাংলাদেশের এত অর্জন সম্ভব হয়েছে। নতুন বছরেও বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি অর্জনের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেও বাংলাদেশে সবকিছু যে স্তব্ধ করে। দেওয়া সম্ভব নয়, তা ২০১৩-১৪ ও ২০১৫ সালের ঘটনাবলি থেকে স্পষ্ট হয়ে গেছে। বিষয়টি বুঝতে হবে রাজনৈতিক দলগুলােসহ সমাজের সব সচেতন মহলকে। তবে দেশের রাজনীতি যদি আমাদের আরাে পরিচ্ছন্ন হতাে, আদর্শবাদিতার চর্চা হতাে, নিয়মতান্ত্রিকতা দ্বারা পরিচালিত হতাে, সংঘাত-সংঘর্ষ বাদ দিয়ে গণতান্ত্রিক রাজনীতির মূল বিধান মতাে চলত, তাহলে বাংলাদেশের সামগ্রিক চেহারা যেমন আরাে অনেক বেশি পরিবর্তিত হতাে, একইভাবে স্বস্তির। জীবন পরিচালনার প্রকৃত স্বাদও আমরা উপলব্ধি করতে সক্ষম হতাম।