Loading...

ছদ্মবেশ (হার্ডকভার)

স্টক: স্টকে আছে (১ এর বেশি কপি আছে)

৩০০.০০ ২২৫.০০

ভূমিকা মানুষ রহস্যময়তা পছন্দ করে। কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই সে সেটা বুঝতে পারে না। জীবনভর সে তার প্রিয়তম মানুষটিকেও পুরােপুরি বুঝে ফেলতে চায়, কিন্তু পুরােপুরি বােঝা হয়ে গেলে তার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। সে আসলে অবচেতনে সবসময়ই অনুদঘাটিত কিছু রহস্য উদঘাটন করতে চায়। যতক্ষণ অবধি সেই রহস্য থাকে, ততক্ষণ অবধি একটা প্রবল আগ্রহ, আকর্ষণ কাজ করে । রহস্য শেষ হয়ে গেলে আকর্ষণ ফুরিয়ে যায়। অথচ জীবনজুড়েই সে ভাবে, সে রহস্য পছন্দ করে না। মানুষের ভেতরে এই দ্বান্দ্বিক সত্ত্বাটা আছে। মানুষ ভাবে, সে ভয় পেতেও পছন্দ করে না, নৃশংসতা পছন্দ করে না। কথা সত্য না। সে অতি আগ্রহ নিয়ে গা হিম হয়ে আসা হরর সিনেমা দেখে, ভূতের বই পড়ে, সিরিয়াল কিলারের ভায়ােলেন্ট মুভি দেখে, সাহিত্য পড়ে। এ কারণেই শিল্প-সাহিত্যে বৈচিত্র্যময় নানান ঘরানার সৃষ্টি হয়েছে। রহস্যোপন্যাস সাহিত্যের সেরকমই একটি সমৃদ্ধ শাখা। এই শাখাটির প্রতি আমার আগ্রহ একদম শৈশবেই। তবে তা শুধুই পড়ার জন্য, লেখার জন্য নয়। কারণ, এই ঘরানাটিকে আমার খুবই কঠিন এবং একই সাথে গাণিতিক ক্যালকুলেটিভ’ মনে হয়। ফলে এতােদিনে কখনােই রহস্যোপন্যাস লেখার কথা আমি ভাবিনি। তাহলে এই উপন্যাসটি কেন লিখেছি? এই উপন্যাস লেখার কারণটা মজার। বহুবছর আগে এক দৈনিক পত্রিকায় হঠাৎ করেই একটি খুনের ঘটনা পড়েছিলাম। ঘটনাটি খুবই সাধারণ। পুলিশ লাশসহ খুনিকে গ্রেপ্তারও করেছে। কিন্তু তারপরও একটা রহস্য রয়ে গেছে। সেই রহস্যের কোনাে কুল কিনারা করতে পারছে না পুলিশ। বিষয়টা আমার মাথায় গেঁথে গেলাে। কিছুতেই মাথা থেকে তাড়াতে পারছি না। অবচেতনেই ঘুরেফিরে বারবার মাথায় চলে আসতে লাগলাে সেই ঘটনা। এই করতে করতেই আচমকা একদিন একটা গল্পও চলে এলাে মাথায়। সেই গল্প লিখেও ফেললাম। লিখতে গিয়ে হঠাৎই আবিষ্কার করলাম, গল্পের প্রধান চরিত্রটিকে আমি বিশেষ পছন্দ করে ফেলেছি। এই চরিত্রটি নিয়ে আমি ধারাবাহিকভাবে আরাে লিখতে চাই। প্রতিটি বইতে সে একেকটি রহস্যের সমাধান করবে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, রহস্য গল্প লেখা কঠিন। এই কঠিন কাজটি আমি নিয়মিত করতে পারবাে কিনা, সেটি নিয়ে খানিক সংশয়ও আছে। সেই সংশয় নিয়েই আমার প্রথম রহস্যোপন্যাস ছদ্মবেশ। ‘ছদ্মবেশ’ শেষ অবধি রহস্যোপন্যাস হয়ে উঠতে পেরেছে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত পাঠকের।
Chodmobesh,Chodmobesh in boiferry,Chodmobesh buy online,Chodmobesh by Sadat Hossain,ছদ্মবেশ,ছদ্মবেশ বইফেরীতে,ছদ্মবেশ অনলাইনে কিনুন,সাদাত হোসাইন এর ছদ্মবেশ,9789849431626,Chodmobesh Ebook,Chodmobesh Ebook in BD,Chodmobesh Ebook in Dhaka,Chodmobesh Ebook in Bangladesh,Chodmobesh Ebook in boiferry,ছদ্মবেশ ইবুক,ছদ্মবেশ ইবুক বিডি,ছদ্মবেশ ইবুক ঢাকায়,ছদ্মবেশ ইবুক বাংলাদেশে
সাদাত হোসাইন এর ছদ্মবেশ এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 225.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Chodmobesh by Sadat Hossainis now available in boiferry for only 225.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন হার্ডকভার | ১৪৪ পাতা
প্রথম প্রকাশ 2019-02-24
প্রকাশনী অন্যধারা
ISBN: 9789849431626
ভাষা বাংলা

ক্রেতার পর্যালোচনা

4
1 reviews

1-1 থেকে 1 পর্যালোচনা

  • পর্যালোচনা লিখেছেন 'আঁখি আক্তার'
    প্রচ্ছদ ও নামকরণ: প্রচ্ছদ শিল্পী খুব নিখুঁতভাবে মানুষের বহুমুখী চরিত্রের প্রতিচ্ছবি সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন । প্রচ্ছদের মধ্য দিয়েই সম্পূর্ণ উপন্যাসের কাহিনীর প্রতিচ্ছবি যেন ভেসে উঠে। বইটি পড়ে প্রচ্ছদ ও নামকরণ দেখে মনে হলো নামটি যথাযথ হয়েছে। উপন্যাসের সাথে প্রচ্ছদ আর নামকরণের মিল নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। জনরা : "ছদ্মবেশ" এই নামটা শুনলেই কেমন যেন একটা রহস্য রহস্য ভাব চলে আসে। বইয়ের নাম দেখেই বোঝা যাচ্ছে এটি একটি রহস্যোউপন্যাস। কাহিনী সংক্ষেপ: কলেজের বাংলার রিটায়ার্ড প্রফেসর লতিফুর রহমান শেষ বয়সে এসে কষ্টের টাকায় একটা তিনতলা বাড়ি করেছেন। এ বাড়ির বাসিন্দা বলতে তিনি, তার স্ত্রী নাসিমা ও গৃহ পরিচারিকা ডালিয়া। ছেলে সৈকত অনেক বছর ধরে দেশের বাইরে। নাসিমা ছেলের শোকে পাগলপ্রায়। বিত্তবান কোনো ভাড়াটিয়া পেলে এডভান্স নিয়ে বাড়ির বাকি কাজ করবে এই আশায় প্রতিদিন লতিফুর রহমান ভাড়া নিতে আসা লোকজনকে খুব যত্ন করে বাড়ি দেখান। একদিন এরকম একজনকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বাড়ি দেখানোর সময় তিনতলার এক বাথরুমে বহুদিনের পচাগলা লাশ পড়ে থাকতে দেখলেন। লাশটার গলা থেকে মাথাটা প্রায় ছুটে এসে বিভৎসভাবে ঝুলে আছে বুকের ওপর, পচে যাওয়া লাশটার শরীর বেয়ে ভনভন করে উড়ছে মাছি। লতিফুর রহমান চিৎকার করতে গিয়েও আচমকা থমকে দাঁড়ালেন,দ্রুত নতুন আগন্তুককে সরিয়ে অন্য রুমে নিয়ে যান তিনি। তারপর বৃষ্টির রাতে লাশটাকে তার বাড়ির পাশের জলাশয়ে ফেলে আসেন। পুরো শহর জুড়ে আলোড়ন। নির্বাচন প্রার্থী চুন্নু মিয়ার ভাগ্নেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর রেজা হক তদন্তের স্বার্থে লতিফুর রহমানের বাড়ির কাছে আসতেই কিসের যেন একটা আভাস পেলেন। কিন্তু কিছুতেই ধরতে পারছেন না । রেজা হক যতবার মনে করেছে সমস্যার সমাধান প্রায় করে ফেলছেন, ততবারই যেন নতুন আরো ঝামেলা এসে ভিড় করেছে। তিনি কি শেষ পর্যন্ত এই কেসের সুরাহা করতে পেরেছিলেন? ভালো লাগার অংশ: সাদাত হোসাইনের প্রথম রহস্যোপন্যাস "ছদ্মবেশ"। এই উপন্যাস লেখার কারণটা মজার। বহুবছর আগে এক দৈনিক পত্রিকায় হঠাৎ করেই একটি খুনের ঘটনা পড়েন। বিষয়টা তার মাথায় গেঁথে যায়। তারপর আচমকা একদিন লিখেও ফেললেন। এই কথাগুলো খুব ভালো লেগেছে। তাছাড়া পুরো বইটা জুড়েই একটা রহস্যময় আভাষ ছিল। লতিফুর রহমানসহ আরো কয়েকটা চরিত্রকে যতটা সহজ সরল ভেবেছিলাম ততটা ছিল না। যেটা আমাকে অবাক হতে বাধ্য করেছে। উপন্যাসের শেষের এই টুইস্টটা অসাধারণ ছিল। পছন্দের কিছু লাইন: রোজকার ভানের পৃথিবীতে,ছদ্মবেশী অসংখ্য মানুষের ভিড়ে এমন একটি পৃথিবী খুব দরকার। এমন ভানহীন,অকপট, আনন্দময়। পাঠ প্রতিক্রিয়া: লেখকের লেখা এটাই আমার প্রথম বই পড়া। উনি যে যথেষ্ট ভালো লেখেন এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। নির্দ্বিধায় বলা যায় উপন্যাসটি আমার অসম্ভব ভালো লেগেছে। সবশেষে বলবো,বইটি পরে কেউ নিরাশ হবেন না। পার্সোনাল রেটিং ৯/১০
    July 08, 2022
সাদাত হোসাইন
লেখকের জীবনী
সাদাত হোসাইন (Sadat Hossain)

সাদাত হােসাইন নিজেকে বলেন গল্পের মানুষ। তার কাছে চারপাশের জীবন ও জগৎ, মন ও মানুষ সবই গল্প । গল্প বলার সেই আগ্রহ থেকেই একের পর এক লিখেছেন-তুমুল জনপ্রিয় সব উপন্যাস। নির্মাণ করেছেন, স্বল্প ও পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, তথ্যচিত্র, টিভি ফিকশন। নিজের অভ্যস্ত পরিসরের পাশাপাশি শুরু করেছেন, মৌলিক থ্রিলার রেজা সিরিজ, কিশাের উপন্যাস, শিশুদের জন্য বই ইত্যাদি। জিতেছেন জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রকার পুরস্কার, এসবিএসপিআরপি ফাউন্ডেশন সাহিত্য পুরস্কার, ভারতের চোখ সাহিত্য পুরস্কার, শুভজন সাহিত্য সম্মাননা।। '২০১৯-এ জিতেছেন এক্সিম ব্যাংক-অন্যদিন । হুমায়ুন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার। ২০২১-এ পেয়েছেন অন্যদিন সম্ভাবনার বাংলাদেশ (কথাসাহিত্য) সম্মাননা ও Marvel of Tomorrow Influencers Award. জিতেছেন আইএফআইসি ব্যাংক-কালি ও কলম সাহিত্য পুরস্কার ২০২১ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগ। থেকে স্নাতকোত্তর সাদাত হােসাইনের জন্ম ১৯৮৪ সালের ২১ মে, মাদারীপুর জেলার কালকিনি থানার কয়ারিয়া গ্রামে।

সংশ্লিষ্ট বই