মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর চতুষ্কোণ এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 127.50 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Catuskon by Manik Bondhopadhaiis now available in boiferry for only 127.50 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
চতুষ্কোণ (হার্ডকভার)
৳ ১৫০.০০
৳ ১১২.৫০
একসাথে কেনেন
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর চতুষ্কোণ এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 127.50 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Catuskon by Manik Bondhopadhaiis now available in boiferry for only 127.50 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন | হার্ডকভার | ৯৫ পাতা |
---|---|
প্রথম প্রকাশ | 2017-02-01 |
প্রকাশনী | বিভাস |
ISBN: | 9847034307221 |
ভাষা | বাংলা |
ক্রেতার পর্যালোচনা
1-1 থেকে 1 পর্যালোচনা
-
পর্যালোচনা লিখেছেন 'Mijun Uddin Masud'
হঠাৎ করেই পড়ে ফেললাম মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'চতুষ্কোণ' উপন্যাস।এটা কি ধরণের উপন্যাস ছিলো আমি এখনও বুঝতে পারছি না।সামাজিক,ব্যক্তিক,রোমান্টিক,মনস্তাত্ত্বিক নাকি অন্যকিছু?যাই হোক:- রাজকুমার নামের একটি ছেলের অস্বাভাবিক জীবন এবং তার সাথে কিছু মেয়ের সম্পর্ক নিয়ে মানিক রচনা করেছিলেন তার এই বিখ্যাত নামের উপন্যাসটি।এতে দেখানো হয়েছে,রাজকুমারের সাথে যেসব মেয়ের সম্পর্ক আছে তারা সবাই রাজকুমারকে ভালোবাসতে চায় কিন্তু রাজকুমার কাউকেই সে অমূল্য সম্পদ দিচ্ছে না।শেষ পর্যন্ত রাজকুমার উপলব্ধি করতে পারে যে ভালোবাসা নিয়ে তার এবং সেই মেয়েদের মধ্যে সম্পর্ক হওয়ার ধারণার মধ্যে এক বিরাট ফাঁকি ছিলো।শুধু সরসী চরিত্রটাকেই মনে হয়েছে ভালোবাসা জিনিসটা সে বুঝতে পেরেছে এবং সেই ভালোবাসার খাতিরেই সে শেষ পর্যন্ত এক বিরাট সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছিলো।রিণি মেয়েটা তো ভালোবাসা বুঝতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত পাগলই হয়ে গেলো।আর এটাই উপন্যাসের সমাপ্তি।রাজকুমার সেই পাগলীর জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করতেও দ্বিধাবোধ করলো না।🥀 ভালো লেগেছে।পড়লে ভালোই লাগে।সেটা যে ধরনের উপন্যাসই হোক না কেনো।🖤
June 30, 2022
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় (Manik Bondhopadhai)
শ্রমজীবী মানুষের সংগ্রাম, মধ্যবিত্ত সমাজের কৃত্রিমতা, নিয়তিবাদ ইত্যাদি বিষয়কে লেখার মধ্যে তুলে এনে বাংলা সাহিত্যে যিনি অমর হয়েছেন, তিনি হলেন প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি কথাসাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়। খ্যাতিমান এই সাহিত্যিক ১৯০৮ সালের ১৯ মে বিহারের সাঁওতাল পরগনায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর প্রকৃত নাম প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, আর মানিক ছিলো তাঁর ডাকনাম। বাবার বদলির চাকরিসূত্রে তাঁর শৈশব, কৈশোর ও ছাত্রজীবন কেটেছে বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে, যার ফলে বিভিন্ন অঞ্চলের পটভূমিতে বিভিন্ন সাহিত্য রচনা করেছেন তিনি। প্রবেশিকা ও আইএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার পর মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় গণিত বিষয়ে অনার্স করতে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হন। এখানে পড়াশোনাকালে বন্ধুদের সাথে বাজি ধরে তিনি 'অতসী মামী' গল্পটি লেখেন। সেই গল্পটি বিখ্যাত 'বিচিত্রা' পত্রিকায় ছাপানো হলে তা পাঠকনন্দিত হয় এবং তিনি সাহিত্যাঙ্গনে পরিচিত হয়ে ওঠেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি সাহিত্য রচনায় পুরোপুরি মনোনিবেশ করেন, যার ফলে তাঁর পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এবং তিনি আর পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি। তাঁর হাতে বাংলা সাহিত্যে এক বৈপ্লবিক ধারা সূচিত হয় ঐ সময়ে, যখন সারা পৃথিবী জুড়ে মানবিক বিপর্যয়ের এক চরম সংকটময় মুহূর্ত চলছে। কমিউনিজমের দিকে ঝুঁকে যাওয়ায় তাঁর লেখায় একসময় এর ছাপ পড়ে এবং মার্ক্সীয় শ্রেণীসংগ্রাম তত্ত্ব দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয় মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর বই সমগ্র। ফ্রয়েডীয় মনোসমীক্ষণেরও প্রভাব লক্ষ্য করা যায় মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচনাসমগ্র-তে। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর বই সমূহ এর মধ্যে 'পদ্মানদীর মাঝি', 'দিবারাত্রির কাব্য', 'পুতুলনাচের ইতিকথা', 'শহরতলি', 'চতুষ্কোণ', 'শহরবাসের ইতিকথা' ইত্যাদি বিখ্যাত উপন্যাস, এবং 'আত্মহত্যার অধিকার', 'হারানের নাতজামাই', 'বৌ', 'প্রাগৈতিহাসিক', 'সমুদ্রের স্বাদ', 'আজ কাল পরশুর গল্প' ইত্যাদি গল্পগ্রন্থ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতা রচনার কিছু নিদর্শন থাকলেও সেগুলো তেমন উল্লেখযোগ্যতা অর্জন করেনি। অসামান্য এই কথাসাহিত্যিক মাত্র ৪৮ বছর বয়সে ১৯৫৬ সালের ৩ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।